প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য ও দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সাধারণ মানুষ যেমন করোনার শিকার হচ্ছেন, তেমনি রেহাই পাচ্ছেন না সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও। সম্প্রতি রাজনৈতিক মহলে করোনা তার ব্যাপক থাবা বিস্তার করেছে। বহু রাজনীতিবিদ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এবার করোনা হানা দিলো বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের বাড়িতে। তাঁর বাড়ির এক সদস্যের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে আইসোলেশন চলে গেলেন গৌতম গম্ভীর। তিনি নিজেই টুইট করে তাঁর বাড়িতে করোনা সংক্রমণের কথা জানালেন। সেইসঙ্গে তিনি জানালেন যে, তাঁর বাড়ির এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে, তিনি নিজের করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। তবে, তাঁর করোনা রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। এর পরেই তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচারণা করেন। তবে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েও ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি তিনি। ক্রিকেট নিয়ে মাঝে মাঝে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন তিনি। সম্প্রতি আরবে অনুষ্ঠিত আইপিএল খেলায় বিশেষজ্ঞের ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। তাঁর আইসোলেশনে চলে যাবার পর টুইট করে গৌতম গম্ভীর লিখলেন, ” বাড়িতে কোভিড আক্রান্তের হদিশ মেলায় আপাতত সেলফ আইসোলেশনে রয়েছি। নিজের ফলাফলের অপেক্ষাও করছি। প্রত্যেকে সতর্ক থাকো। একদমই বিষয়টাকে হালকাভাবে নিও না।”

এদিকে দিল্লিতে ক্রমাগত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। সম্প্রতি দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০০ অতিক্রম করে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, দিল্লিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনার ঢেউ শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, করোনা পরীক্ষার সংখ্যা দিল্লিতে কমিয়ে দেয়া হয়েছে। করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার কারণে, আদালত দিল্লি সরকারকে ভৎসনা করেছে। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দিল্লি খুব তাড়াতাড়ি করোনার রাজধানী হতে চলেছে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি সুব্রমনিয়ম প্রসাদ জানালেন যে, দিল্লিতে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, সেকারণে দিল্লিকে খুব শীঘ্রই করোনার রাজধানী বলে ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, একসময় দিল্লিতে করোনার সংক্রমণ যথেষ্ট বেশি থাকলেও, গত জুলাই মাস থেকে দিল্লিতে করোনার পরিস্থিতি বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। সেসময় দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের নিচে নেমে এসেছিল। কিন্তু চলতি নভেম্বর মাস থেকেই দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গতকাল নতুনভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৭২ জন। কিন্তু, মহারাষ্ট্রে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। গতকাল, দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয়, সর্বোচ্চ সংখ্যা রয়েছে কেরালার।