এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তেলেনিপাড়া কাণ্ডকে কড়া হাতে দমনে এবার বড়সড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর! জানুন বিস্তারিত

তেলেনিপাড়া কাণ্ডকে কড়া হাতে দমনে এবার বড়সড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর! জানুন বিস্তারিত


করোনা যুদ্ধে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে, ভয়ংকরভাবে আতঙ্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে ঠিক সেই সময় অন্য এক আতঙ্ক দেখা গেল ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়া অঞ্চলে। বেশ কিছুদিন ধরেই তেলিনীপাড়া অঞ্চল সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে এলাকার তুমুল গন্ডগোলের জেরে। গন্ডগোল এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে সেখানে অবস্থা সামাল দিতে নামাতে হয়েছে র‍্যাফ। কিন্তু তাতেও যে অবস্থার উন্নতি হয়েছে তা বলা যায় না। কারণ র‍্যাফ নামার পরেও এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যেই র‍্যাফের উপরেও আক্রমণ করা হয় বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার সরাসরি ভদ্রেশ্বর থানার ওসি নন্দন পানিগ্রাহীকে সরিয়ে তার জায়গায় আনা হলো পূর্ব মেদিনীপুর সাইবার ক্রাইম থানার ইন্সপেক্টর কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সন্ধ্যে থেকে। তেলিনিপাড়ায় বিভিন্ন কারণে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চূড়ান্ত গন্ডগোল শুরু হয়, চলতে থাকে ব্যাপক বোমাবাজি। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের দুই দল বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যেও শুরু হয় রাজনৈতিক কড়চা। বিজেপির পক্ষ থেকে এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। অন্যদিকে পরিস্থিতির খোঁজ নিতে এলাকায় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এলে তাঁকে পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। আর সেই নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, পুরো বিষয়টিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের জন্য বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল সরকার ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সংক্রান্ত অভিযোগ জানায় রাজ্যপালের কাছে। অন্যদিকে জেলাশাসকের দপ্তরেও পৌঁছে যান হুগলি সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুর সংসদ অর্জুন সিং যৌথভাবে। যদিও জেলাশাসকের দেখা তাঁরা পাননি। কিছুক্ষণ পরেই তাঁরা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানেই চন্দননগরের এসিপি (ওয়ান) হেডকোয়ার্টার গোলাম সারোয়ারের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন দুই সাংসদ বলে জানা গেছে। অন্যদিকে হুগলির সাংসদ প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন, চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার ও ভদ্রেশ্বর থানার ওসিকে বদলি করার জন্য।

রাতেই ভদ্রেশ্বর থানার ওসি বদল হওয়ার ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। খুব স্বাভাবিক ভাবেই যেভাবে ওসি বদল নিয়ে তরজার সৃষ্টি হয়েছে তাতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবস্থা সামাল দেওয়ার থেকে ইগোর লড়াই বেশি দেখছেন। অন্যদিকে ওসি বদল হলেও এখনো পর্যন্ত খুব একটা ইতিবাচক পরিস্থিতি হয়নি তেলিনিপাড়ায়। অন্যদিকে স্থানীয় দুই রাজনৈতিক শিবিরের অন্দরে যে এক ক্ষোভের আগুন মাথাচাড়া দিচ্ছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত এলাকাবাসী। আপাতত নতুন ওসি আসায় তাঁর হাত ধরে এলাকায় শান্তি ফেরে কিনা সেদিকেই এখন লক্ষ্য সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!