এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সবটাই নাটক মমতার, ভাইপোকে বাঁচাতেই কানামাছি খেলা! ধরে ফেললো বিজেপি!

সবটাই নাটক মমতার, ভাইপোকে বাঁচাতেই কানামাছি খেলা! ধরে ফেললো বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে ধরা পড়ে গেল পিসি ভাইপোর নাটক। ভাইপোর সঙ্গে নাকি পিসির সম্পর্ক নেই! দলের কোনো সিদ্ধান্ত ঘিরে নাকি দুজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ! এতদিন অনুপ্রাণিত মিডিয়াদের দিয়ে অনেক খবর করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার তার সেই সব নাটকের পর্দা ফাঁস হয়ে গেল। শুভেন্দু অধিকারী প্রথম দিন থেকেই বলেছেন যে, ভাইপো কোথায় আছেন, কেন তিনি ধরনা মঞ্চে যাচ্ছেন না, তা খুব ভালো করেই বলতে পারবেন তার পিসি। প্রতি পদে পদে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারী এই রাজ্য রাজনীতির বর্তমানে ধারক এবং বাহক হয়ে উঠেছেন। প্রশাসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা হলেও, রাজ্য রাজনীতিতে কখন কি হবে, কিভাবে ঘটবে, তার সবকিছুই আগে থেকে চাণক্যের মত বলে দিচ্ছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

অনেকে তো আবার বলতে শুরু করেছিলেন, ভাইপো পিসির ওপর রাগ করে বিদেশে চলে গিয়েছেন। তবে এসব মান-অভিমানের পালা শেষ করে এবার আবার তৃণমূল দলে নিজের হাতে সমস্ত রাজনীতিতে ময়দানে নেমে পড়লেন সেই স্বনামধন্য যুবরাজ। আসলে রাজনীতি থেকে ইনকাম করা যাদের উদ্দেশ্য, তারা রাজনীতি ছেড়ে বেশি দিন থাকতে পারবেন না। হয়ত সেটাই এই যুবরাজের ক্ষেত্রে হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি খবর সামনে এসেছে। আর সেই খবর দেখে যুবরাজের যারা অনুগামী, তারা লাফালাফি শুরু করেছেন। তবে দিনের শেষে আবার একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, ওই যে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বলেছিলেন যে, এই সমস্ত গন্ডগোল, মান অভিমান আসলে নাটক, সেটাই বাস্তবায়িত হলো। কিন্তু কি এমন হলো! কি এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যাকে ঘিরে এত আলোচনা?

তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী 16 ফেব্রুয়ারি সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক ব্লক সভাপতিদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই খবর সামনে আসার পরেই প্রশ্ন উঠছে যে, হঠাৎ করে কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলেন ভাইপো? এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন! পিসি যখন ধর্না কর্মসূচিতে ছিলেন, দলের নেত্রীকে নিয়ে বড়াই করে বড় বড় দাবি করেন। তার কথাই নাকি শেষ কথা, তাহলে সেই পিসি যখন একটা বড় কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে, তখন কোথায় ছিলেন! কেন তাকে দেখা গেল না? তাহলে কি বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যুবরাজ বাঁচার জন্য দিল্লিতে সেটিং করতে গিয়েছেন বলে যে কথা বলা হয়েছিল, সেটাই সত্যি?

অনেকে বলছেন, কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যা, সেটা পরের বিষয়। কিন্তু এটা প্রমাণ হয়ে গেল যে, তৃণমূল এই দুর্নীতি, একের পর এক ঘটনায় ফেঁসে যাওয়া, এই খবরগুলোকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতেই ভাইপো পিসির গন্ডগোল চলছে বলে একটা খবর বাজারে আনার চেষ্টা করেছিল। যখন সেগুলো ধামাচাপা পড়ে গেল, যখন আর ভাইপোর সামনে বিপদ নেই, সেই কারণেই তিনি আবার ময়দানে ফিরে আসতে শুরু করলেন। অনেকে আবার বলছেন, গত 6 তারিখ অমৃতা সিনহা কি নির্দেশ দেবেন, তা নিয়ে ভয় ছিল ভাইপোর মধ্যে। তাই তিনি কিছুদিন গা- ঢাকা দিয়েছিলেন। আর সেটাকে বাজারে রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, পিসি ভাইপোর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ দেওয়ার পর ভাইপো এখন আবার দলের হিরো হয়ে ওঠার চেষ্টা করতেই নিজের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, এসব নাটক নিয়ে বাংলার মানুষ মোটেই মাথা ঘামাতে রাজি নয়। তারা সকলেই চায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। তাই পিসি ভাইপো যতই নরমে গরমে থাকার চেষ্টা করুন না কেন, লাভের লাভ কিছুই হবে না। আইন আইনের পথেই চলবে এবং শেষ পর্যন্ত যারা মানুষের টাকা লুট করেছে, তাদের সকলকে জেলে যেতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, আর যাই হোক, ভাইপো বলে তো কথা। তাই পিসিমণি তো তাকে ফাঁসিয়ে দিতে পারেন না! কারণ ভাইপো যদি একবার ফেঁসে যায়, তাহলে পিসিমনিও সেই জালে ধরা পড়ে যাবেন। ফলে ভাইপোর সঙ্গে গন্ডগোল চলছে, এমন একটা খবর বাজারে খাইয়ে দিয়ে কানামাছি ছো ছো খেলার চেষ্টা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করার ভাবনায় ছিলেন। এমন করে ভাইপো আবার সামনে চলে এলেন, যাতে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, সবটাই পিসি ভাইপোর নাটক। যেটা বহুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ধরে ফেলেছিলেন। যার ফলে তৃণমূল দলে আবার ভাইপো কর্তৃত্ব নেওয়ার জায়গায় আসার চেষ্টা করছেন। আর কার হাতে ক্ষমতা থাকবে, তা নিয়ে এবার লোকসভা নির্বাচনের মুখে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে নতুন করে সমস্যায় পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!