এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা নাকি পাহাড়াদার! রাজ্যকে ধ্বংস করে বড় বড় কথা, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির!

মমতা নাকি পাহাড়াদার! রাজ্যকে ধ্বংস করে বড় বড় কথা, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই এমন সব কথা বলে ফেলেন, যা শুনে বিরোধীরা হাসবে নাকি কাঁদবে, তা সত্যিই বোঝা বড় দায়। শুধু গাল ভরা গল্প আছে কিন্তু কাজের কাজ কিছু নেই সেটা প্রতি পদে পদে প্রমাণ করে দিচ্ছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তারপর রাজ্যের মানুষ অনেক ভরসা করেছিল সত্যিই তাকে রাজ্যের মানুষ ভেবেছিল যে তিনি এই রাজ্যবাসীর অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করবেন কিন্তু চোরেদের চুরি করতে দিতে এবং অপরাধ বৃদ্ধি করার প্রশ্রয় দিতে এই রাজ্যের সরকারের জুড়ি মেলা ভার। বিরোধীদের পক্ষ থেকে তেমনটাই বলা হয়। এদিন হাওড়ায় একটি কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার একটি বড় কথা বলে ফেললেন। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে যার সত্যি কোনো মিল নেই। তিনি যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন, তার আক্ষরিক অর্থ তিনি আদৌ বোঝেন তো! তা নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। কিন্তু কি এমন বলেছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান?

প্রসঙ্গত, গত বুধবার হাওড়ায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে রাজ্যবাসীর পাহারাদার হিসেবে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের পাহারাদার। আমি জমিদার নই। আমি সরকারে আছি একজন নাগরিক হিসেবে।” অর্থাৎ নিজেকে সাধারন মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে সকলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন কথা হচ্ছে, সত্যিই তো তাই! যিনি জনতার হয়ে কাজ করবেন, জনতার প্রতিনিধি হবেন, তার তো মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া উচিত! কিন্তু সেটা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ করেন?

যদি তাই করতেন, তাহলে দিনের পর দিন ধর্না করা, চাকরির দাবিতে আন্দোলন করা ব্যক্তিদের দিকে একটু তাকাতেন। নজর দিতেন অবহেলিত সরকারি কর্মচারীদের দিকে। কিন্তু সব জায়গায় কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই তাদের পুলিশ দিয়ে সরিয়ে দেওয়া, বিরোধীদের মিথ্যা মামলা দেওয়া কি সত্যিই একজন পাহারাদারের কাজ? যিনি জনতার পাহারাদার হবেন, তার কি এই সমস্ত দমন পীড়ন করা সাজে! তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না জেনে, না বুঝেই উল্টো কাজ করা সত্ত্বেও এই “পাহারাদার” শব্দ প্রয়োগ করেছেন! আসলে ভোট আসছে। তাই জনতার প্রতি গদগত প্রেম দেখাতেই এবং জনদরদী ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত করতেই তার এই ধরনের আহ্লাদিত বক্তব্য বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই যদি পাহারাদারের অবস্থা হয়, তাহলে রাজ্যের মানুষের এইরকম পাহারাদার চাই না। যিনি পাহারাদার থাকার সময় রাজ্যে চুরি বাড়ছে, দুর্নীতি বাড়ছে, মানুষ ঠিকমতো থাকতে পারছে না, তাহলে এমন পাহারাদারের অর্থ কি? আসলে চোরকে চুরি করতে বলে গৃহস্থকে সজাগ থাকতে বলছেন এই রাজ্যের মাননীয়া। তাই আজকে পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে গোটা দেশে চর্চা হচ্ছে। আজকে বাংলার দুরাবস্থা দেখে লজ্জা পাচ্ছে ভারতবর্ষ। তাই ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বড় বড় ডায়লগে আর চিড়ে ভিজবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে এমন জনতা প্রেমী কথাবার্তা শোনা যেত, তিনি যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন সেই সময়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তার কাছে কেউ কোনো অভাব, অভিযোগ তুলে ধরলেই তিনি তাকে ধমকে চমকে রাখতেন। তাই আজকে লোকসভা নির্বাচনের আগে আবার যেন একটু অন্যরকম মুখ্যমন্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া গেল। তবে এই সমস্ত কিছুই যে নির্বাচনের জন্য। সামনে যখন লোকসভা নির্বাচন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন যে, তার দল এবার পশ্চিমবঙ্গে বেশিরভাগ আসনেই পরাজিত হবে। যে পরিমাণ অন্যায় তারা বাংলার মানুষের সঙ্গে করেছেন, তাতে তৃণমূলের ওপর মানুষ বিরক্ত। এই দলকে তারা আর সহ্য করতে পারছে না। স্বভাবতই সবটা বুঝেই আবার একটু গদগদ ভাব দেখানোর জন্যই নিজেকে জনতার পাহারাদার বলে সিমপ্যাথি আদায়ের নাটক শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃনমূলের এই দীর্ঘ রাজত্ব থেকে শিক্ষা না নিয়ে এই ফাঁদে পা দিলে গোটা রাজ্যবাসী আবার একটা বড় ভুল করবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!