এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > খেলা ঘুরছে, সন্দেশখালিতে পালিয়ে বাঁচলো তৃণমূল! তুলোধোনা বিজেপির!

খেলা ঘুরছে, সন্দেশখালিতে পালিয়ে বাঁচলো তৃণমূল! তুলোধোনা বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পুলিশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, তৃণমূলের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে সত্যিই এবার হয়ত মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। সত্যিই এবার বাংলার মানুষ প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, এই বাংলায় শাসকের স্বৈরাচারী মনোভাব শেষ কথা বলে না। দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করলেও, মুখ বুজে সবকিছু মেনে নেওয়া হবে না। তাই এবার যে সন্দেশখালি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত, সন্দেশখালির বাঘ বলে পরিচিত শেখ শাহজাহান, সেই সন্দেশখালিতেই এবার খেলা ঘুরতে শুরু করলো। এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানকে পাওয়া না গেলেও, আজ গ্রামবাসীরা সবাই মিলে যে কান্ড ঘটিয়ে দিল, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবার মানুষ জাগতে শুরু করেছে।

এতদিন সকলেই এই শেখ শাহাজাহানদের দাপটের জন্য সন্দেশখালি এলাকাকে উপদ্রুত অঞ্চল বলেই জানত। কিন্তু সেখানেও যেভাবে মানুষের মধ্যে জাগরণ হয়েছে, এবং পড়ি কি মরি বলে পালাতে বাধ্য হয়েছেন তৃণমূলের নেতারা, তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু কেন এমনটা হলো! কিভাবে তৃণমূলের এই শক্ত ঘাঁটিতেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল তৃণমূল! কোথায় গেল তাদের বড় বড় ডায়লগ দেওয়া নেতারা! আর তৃণমূলকে এমন শিক্ষাই বা কারা দিল?

প্রসঙ্গত, গত বুধবার গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলকে তাড়া করা হয়। আর তার ফলেই কোনোরকমে নৌকায় চেপে পালাতে বাধ্য হন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি হলো? অনেকে বলছেন, দীর্ঘদিন সহ্য করেছেন এই এলাকার গ্রামবাসীরা তৃণমূলের অত্যাচার। ভেড়ির পর ভেড়ি তৃণমূলের নেতারা দখল করে নিয়েছেন। কিন্তু এবার তারা প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নিয়েছেন। এতদিন শেখ শাহজাহানের জন্য এই এলাকার মানুষরা কথা পর্যন্ত বলতে পারেননি। এখনও এই শেখ শাহজাহানকে নিজেদের কাছে রেখে পুলিশ তাকে আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তবে এলাকাকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। তাই এবার প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নিয়ে তৃণমূল নেতাদের তাড়া করে এই এলাকার মানুষ বুঝিয়ে দিল যে, এখানে বাঘ, সিংহ বলে কেউ শেষ কথা বলে না। শেষ কথা বলে মানুষ। তাই তৃণমূল নেতারা যদি গায়ের জোর দেখাতে চায়, তাহলে ফল খুব একটা ভালো হবে না।

এদিকে সন্দেশখালীর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই শাসক দলকে তুলোধোনা করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, জনতার জাগরণের আওয়াজ পেতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই এলাকার মানুষকে প্রচুর ভয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু আর তারা ভয়ের কাছে মাথা নত করতে রাজি নয়। তাই এবার চোখে চোখ রেখে লড়াই শুরু হয়ে গেল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে মানুষ চলে গিয়েছে, তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট। যত সময় যাবে, ততই তৃণমূল বুঝতে পারবে যে, তাদের হাত থেকে সবকিছু বেড়িয়ে গিয়েছে। অন্যায় করে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। তাই যে পাপ এখানকার তৃণমূল নেতারা করেছেন এবং গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস করছে, সন্দেশখালি থেকে সেই প্রতিরোধের আওয়াজ শুরু হলো বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সন্দেশখালীর এই ঘটনা দেখে সত্যিই সেখানকার মানুষকে স্যালুট জানাতে হয়। রাজ্যের যে সমস্ত এলাকায় তৃণমূল সবথেকে বেশি সন্ত্রাস করেছে, তার মধ্যে অন্যতম এই সন্দেশখালি। শেখ শাহজাহানের মত ব্যক্তির ইন্ধনে এখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের গায়ে পর্যন্ত হাত পড়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আজকে সাধারণ মানুষ তাদের যে প্রতিবাদ যে প্রতিরোধ করে দেখালো, তাতে প্রমাণ হয়ে গেল, সব সময় স্বেচ্ছাচারী শাসক এবং তাদের সন্ত্রাস দীর্ঘস্থায়ী হয় না। মানুষ যদি জেগে উঠতে শুরু করে, মানুষ যদি প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নেয়, তাহলে যতই সংখার জোর থাক না কেন, গুটিসুটি মেরে পালাতে বাধ্য তৃণমূল নেতারা। তাই সন্দেশখালীর এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্তত সমঝে যাওয়া উচিত এই ফ্যাসিস্ট শাসকের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!