এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা পুলিশকে উচিত শিক্ষা, ঝাঁটা হাতে ময়দানে শুভেন্দু! সরব বিজেপি!

মমতা পুলিশকে উচিত শিক্ষা, ঝাঁটা হাতে ময়দানে শুভেন্দু! সরব বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের পুলিশের কাজ কি, হয়ত তারা নিজেরাও জানে না। শুধুমাত্র ওপরতলা থেকে যে নির্দেশ আসবে, যেভাবে বিরোধীদের কেস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে, সেই ভাবেই তারা কাজ করবে। প্রতি পদে পদে এই প্রশাসন প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, তারা মহিলাদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার কাজ সামলাতে ব্যর্থ। সম্প্রতি রাজ্যে একের পর এক জায়গায় বৃদ্ধি পেয়েছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। দীঘার মত জায়গাতেও এক পর্যটকের সঙ্গে কিছু ব্যক্তি যে আচরণ করেছেন, তা লজ্জায় মাথা হেঁট করছে বাংলার। কিন্তু তারপরেও সেখানকার প্রশাসন চুপচাপ নীরবতা পালন করছে। তাই বাধ্য হয়েই সেই প্রশাসনকে উচিত শিক্ষা দিতে ময়দানে নেমে পড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মহিলা মোর্চাকে সাথে নিয়ে একেবারে ঝাঁটা হাতে দীঘা থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দীঘাতে এক মহিলা পর্যটককে বেশ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। আর সেই বিষয় নিয়েই নারী নিরাপত্তা ঠিক কোথায় পৌঁছেছে, সেই প্রশ্ন তুলে সোচ্চার হয় বিরোধীরা। কিন্তু এই প্রশাসনের লজ্জা বলতে কিছু নেই। কোথায়, এই ঘটনার পরেই তারা কড়া পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু তা না করে যেভাবে পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা সামনে আসছে, তার বিরুদ্ধেই এদিন পথে নামতে বাধ্য হয়েছে গেরুয়া শিবির। আর সেখানেই মহিলা মোর্চারা একেবারে ঝাঁটা হাতে দীঘা থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যুক্ত হন। যে কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে এই পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। একাংশ বলছেন, সমাজকে যদি এগিয়ে দিতে হয়, তাহলে মহিলাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু সেই মা-বোনেরা যেভাবে প্রতিমুহূর্তে বাংলাতে অপমানিত হচ্ছেন, তাতে তাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাই ঝাঁটা হাতে একটা প্রতিকী প্রতিবাদ করে এই পুলিশের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে নারী শক্তি বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, নিজেদের অধিকার নিজেদেরকেই ছিনিয়ে নিতে হবে। তাই বাংলার নারীরা এবার রাস্তায় নেমেছে। পশ্চিমবঙ্গে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে মহিলারাই নিরাপদ নন। আগামী দিনে এই প্রতিবাদ বাড়িয়ে তুলবে মাতৃশক্তি। কিন্তু তারপরেও এই পুলিশের শিক্ষা হবে না। কারণ তারা অপরাধীদের দেখে টেবিলের তলায় লুকিয়ে থাকে। তবে এই সমবেত প্রতিবাদেই ধ্বংস হয়ে যাবে ফ্যাসিস্ট সরকার বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর রাজ্যের মানুষ অনেক ভরসা করেছিলেন। অনেক আশা করে তাকে মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিলেন। কিন্তু সব আশা তিনি ভঙ্গ করেছেন। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, মানুষের ভোট নিয়ে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গকে পিছিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাতে বিরক্ত এই রাজ্যের মানুষ। তাই শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে সাড়া দিয়ে দীঘায় এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও, যখন পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তখন রাস্তায় নেমেছে মাতৃশক্তি। আর শাসকের বিরুদ্ধে যখন নারী শক্তি সমস্ত ভয়কে উপেক্ষা করে রাস্তায় নামে, তখন বুঝে নিতে হবে যে, শেষের সময় আসন্ন। তবে বিদায়ের আগে অন্তত শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তা না হলে আগামী দিনে ফ্যাসিস্ট তৃণমূলের রাজনৈতিক অস্তিত্বও সংকটের মুখে পড়বে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!