এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের চরম মিথ্যাচার মমতার, রাজ্যের মুখোশ খুলে দিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপির!

ফের চরম মিথ্যাচার মমতার, রাজ্যের মুখোশ খুলে দিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একজন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি কি করে এত মিথ্যা বলতে পারেন বলুন তো? শুধুমাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে এবং নিজে প্রচার পাওয়ার জন্য এত মিথ্যা কি কারও মুখ থেকে বেরোতে পারে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মাঝেমধ্যেই এইরকম কটাক্ষ এবং প্রশ্ন করতে দেখা যায় এই রাজ্যের বিরোধী দলগুলোকে। বর্তমানে একশো দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে রেড রোডে লাগাতার ধর্না করছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম দুইদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  হাওড়ায় একটি সরকারি কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে আবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একটা চরম মিথ্যাচার করতে দেখা গেল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। বিরোধীদের দাবি অবশ্য তেমনটাই। কিন্তু কেন, আবার কি এমন বললেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, যা নিয়ে আবার সোচ্চার হচ্ছে বিরোধীরা! তার কোন বক্তব্য আবার মিথ্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো?

প্রসঙ্গত, বুধবার হাওড়ায় একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি আবার অভিযোগ করেন যে, একশো দিনের কাজে রাজ্য প্রথম। তাই কেন্দ্র এই রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না। আর এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, পুরোটাই মিথ্যা কথা বলছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সব জায়গায় মিথ্যা কথা বলা তার অভ্যাস। রাজ্যকে পিছিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এতই যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে কেন কেন্দ্রের কাছে হিসাব দিয়ে টাকা নিচ্ছেন না! হিসাব দিতে তার ভয় কোথায়? তাহলে কেন্দ্র যে আশঙ্কা করছে, সেটা কি সত্যি? সত্যিই কি ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে এতদিন যে টাকা দেওয়া হয়েছে, সেই টাকা চুরি করেছেন তৃণমূলের নেতারা? তাই হিসাব না দিয়ে টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে কান্নাকাটি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বিষয়কে ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় রাজ্যের মুখোশ খুলে দিতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপিও। তাদের দাবি, এত কথা বলার কোনো দরকার নেই। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে হিসাব চাওয়া হয়েছে, সেই হিসাবটুকু অন্তত দিয়ে দিন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে সেই হিসাব যদি ঠিকঠাক থাকে এবং তারপরেও যদি কেন্দ্র টাকা না দেয়, তাহলে আন্দোলনে সামিল হবে বিরোধীরা। কিন্তু এটা করার মত ক্ষমতা কেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে না! তাহলে কি গোড়াতেই গলদ রয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারছেন যে, কেন্দ্রকে হিসাব দিলে তার চুরি ধরা পড়ে যাবে! তাই নিজের দলকে বাঁচাতে, নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে শুধুমাত্র বঞ্চনার কথা বলে, প্রতিনিয়ত সরকারি মঞ্চকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও খুব ভালো মতো জানেন, সবদিক থেকে তার দল এখন চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে। একের পর এক চুরি, দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই জেলে গিয়েছেন। তাই একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রেও যদি তিনি সঠিক হিসাবটা দিয়ে দেন, তাহলে তাদের চুরি প্রকাশ্যে চলে আসবে। আর সেটা নিয়ে তদন্ত হলে নীচুতলা থেকে ওপরতলা অনেকের ভবিষ্যতই অন্ধকারের গর্ভে চলে যাবে। সেদিক থেকে হিসাব না দিয়ে রাজনীতি করা খুব সোজা। তাই সেটাই করে ক্রমশ মানুষকে মিথ্যে বলে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!