এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ঠান্ডায়, বৃষ্টিতে মরণপণ লড়াই চালাচ্ছে কৃষকেরা, সমাধানসূত্র বার করতে আজ বৈঠক

ঠান্ডায়, বৃষ্টিতে মরণপণ লড়াই চালাচ্ছে কৃষকেরা, সমাধানসূত্র বার করতে আজ বৈঠক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিল্লীতে চরমে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন। দিল্লি-হরিয়ানা সিঙ্ঘু সীমান্তে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে কৃষকদের। দিল্লির রাজপথে ঠান্ডার মধ্যে লক্ষ লক্ষ কৃষক এই মুহূর্তে এক টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠান্ডা তো ছিলই, তার মধ্যেই নেমেছে বৃষ্টি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছেও হার না মেনে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ কৃষক মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশের দিকে ঠেলে দিয়ে দাবি করছেন একটাই- ফিরিয়ে নেওয়া হোক কৃষকদের সর্বনাশের পথে ঠেলে দেওয়া এই কালা আইন। জানা গিয়েছে আজ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা বসতে চলেছেন কৃষকদের সঙ্গে।

সামনে আসছে 26 শে জানুয়ারি অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবস। ভারতে ভিড় জমাবেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অতিথিরা। আর তাঁদের সামনে কৃষক সমস্যা নিয়ে যাতে কোনরকম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে না হয় দেশের সরকারকে তাই তড়িঘড়ি এই সমস্যার সমাধান করতে প্রস্তুত মোদি সরকার। যদিও কৃষি আইন ইস্যুতে উভয় পক্ষেই যেভাবে অনড় অবস্থান গ্রহণ করেছেন, তাতে সমস্যা কতদূর সমাধান হবে তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে কৃষকদের পাশে এই মুহূর্তে প্রায় সবকটি বিরোধীদল একজোট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী কৃষকদের পক্ষে সরব হয়েছেন।

মোদী সরকারকে তাঁরা কৃষি আইন নিয়ে একটার পর একটা উত্তর দিতে চলেছেন। অন্যদিকে সোনিয়া গান্ধী জানিয়েছেন, দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় গত 39 দিন ধরে কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে ইতিমধ্যেই 50 জন প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু তাতেও মোদি সরকারের কোন ভাবান্তর নেই। সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী দাবি জানিয়েছেন, মোদি সরকার যেন 3 কৃষি আইন বাতিল করে। তাহলেই আন্দোলন সমাপ্ত হবে। অন্যদিকে রবিবার তুমুল বৃষ্টি নেমেছে সিঙ্ঘু সীমানায়। এই বৃষ্টিতে কৃষকদের অস্থায়ী আস্তানা থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় জল ঢুকে গেছে। তাঁদের কম্বল, বালিশ ভিজে গেছে। নানান প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও অবস্থানে অনড় কৃষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্পষ্ট ভাষায় তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, জলে, রোদে ভিজে পুড়ে ফসল ফলান তাঁরা। তাই এত সহজে তাঁরা হাল ছেড়ে দেবেন না। সূত্রের খবর, কৃষি আন্দোলনে সামিল হতে নাগপুর থেকে আরো বড় কৃষক মিছিল দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। দিল্লির ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে প্রতিদিন দাঁতে দাঁত চিপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষি আন্দোলনকারীরা। রবিবার বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমে গিয়েছে আরও কয়েকগুণ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, বিক্ষোভরত চাষীদের সামনে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে চলেছে। তবে কৃষকরা কিন্তু মাথা নোয়াবেন না, তা তাঁরা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন।

অন্যদিকে সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি ইতিমধ্যেই তীব্র কটাক্ষ করে জানিয়েছে, তিনটি কৃষি আইন বাতিলের প্রক্রিয়া জটিল না হলেও ইচ্ছাকৃতভাবেই কেন্দ্রীয় সরকার তা বাতিল করছে না। কৃষকদের সঙ্গে পুলিশি গন্ডগোলের খবর পাওয়া যাচ্ছে বেশ কিছু জায়গা থেকে। তবে কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে কৃষকেরাও তাঁদের দাবী থেকে একচুলও সরতে নারাজ। এই অবস্থায় আজ কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার কোনো সমঝোতায় আসেন কিনা তাই এখন লক্ষণীয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!