এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ‘ব্যবসায়ী’ দাদা বিজেপিতে যেতেই সরগরম শাসকদলের অন্দরমহল! শুরু জল্পনা

প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ‘ব্যবসায়ী’ দাদা বিজেপিতে যেতেই সরগরম শাসকদলের অন্দরমহল! শুরু জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দলে যোগদান করার প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। কেউ তৃণমূলে, কেউ বিজেপিতে যোগদান করছেন। কিন্তু এবার একই পরিবারের একজন তৃণমূলে রয়েছেন এবং অন্যজন বিজেপিতে যোগ দিলেন। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তুমুল শোরগোল। অবশ্য একই পরিবারের ভিন্নমত পোষণকারীর সংখ্যা কম নয় এ রাজ্যে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অন্য জায়গায়। কারণ, প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার দাদা কিভাবে বিজেপিতে যোগদান করলেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।

সম্প্রতি চন্দ্রকোনা রোড ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি জ্ঞানাঞ্জন মন্ডলের দাদা রঞ্জন মন্ডল সদ্য যোগ দেন বিজেপিতে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পেছনে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণ থাকতে পারে। সূত্রের খবর, জ্ঞানাঞ্জন মন্ডল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর অনুগামী। অন্যদিকে রয়েছেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। সে ক্ষেত্রে জ্ঞানাঞ্জন মন্ডলের দাদা রঞ্জন মন্ডল বিজেপিতে যোগ দিতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে শুরু হয়েছে একের পর এক পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে।

এবং যথারীতি তৃণমূলের অন্দরেও শুরু হয়েছে প্রবল গুঞ্জন। রঞ্জন মন্ডল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর জ্ঞানাঞ্জন বিরোধী শিবিরের এক নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেন এই হিসাবে যে আগামী দিনে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, সেই আশায় তড়িঘড়ি নিজের দাদাকে বিজেপিতে পাঠিয়ে রাস্তা খোলা রাখলেন জ্ঞানাঞ্জন মন্ডল। এরকমই বিভিন্ন মত এসেছে দলের ভেতর থেকেই। পরবর্তীতে অবশ্য জ্ঞানাঞ্জনও পোস্ট করেন বলে জানা গেছে। তাঁর কথায়, ‘দলের অন্তর্কলহের সুযোগ নিয়ে বিজেপি তোমরা আমার পরিবারে দাঙ্গা বাঁধিয়েছো। মনে রেখো তোমাদের দাঙ্গাবাজ রাজনীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামবে না’।

প্রসঙ্গত, এই পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরেই তিনি পোস্টটি ডিলিট করে দেন। অন্যদিকে রঞ্জন মন্ডলের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। সূত্রের খবর, রঞ্জন মন্ডল নিজে দাবি করেছেন যে তিনি এক সময় বিজেপি করতেন। কিন্তু পরে সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তৃণমূলে যোগ দেন। তবে পরবর্তীতে তৃণমূলের নেতৃত্তের একাংশের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আবার পুরনো দল বিজেপিতে ফেরত গেলেন। যদিও ভাই জ্ঞানাঞ্জনের দাবি, তাঁর দাদা রঞ্জন মন্ডল কোনদিনও রাজনীতি করেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপরেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, যদি জ্ঞানাঞ্জনের দাদা বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে এত সমস্যা হচ্ছে কেন? অন্যদিকে জ্ঞানাঞ্জন জানিয়েছেন এ প্রসঙ্গে, দলের অন্দরেই বিভিন্ন মতাবলম্বী মানুষের উস্কানির সুযোগ নিয়েছে বিজেপি আর তাই তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে তিনি তাঁর পোস্ট প্রত্যাহার করে নেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

যদিও এদিন ব্লক তৃণমূল এর কার্যকরী সভাপতি রাজীব ঘোষ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন বলে জানা গেছে। তবে দলীয় স্তরে পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি মদন রুইদাস এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ‘‘তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু বলব না, তবে তৃণমূলে বীতশ্রদ্ধ হয়ে অনেকেই আসছেন, রঞ্জন মণ্ডলও এসেছেন।’’ অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, বর্তমানে শাসক দল ছেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে দলীয় অন্তর্কলহ।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, সেক্ষেত্রে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি তৃণমূল নেতৃত্ব ক্রমাগত বেড়ে চলা গোষ্ঠীদ্বন্দ বা অন্তর্কলহের ব্যাপারে নজর না দেন, তাহলে অবশ্যই পরবর্তী সময়ে শাসকদলকে বিপাকে পড়তে হতে পারে। আপাতত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই বা বাংলার মসনদ দখলের লড়াই ঘিরে যে টানটান পটভূমিকা তৈরী হচ্ছে রাজ্যবাসীর জন্য তা এককথায় মেনে নিচ্ছেন সবাই। তাই এখন সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই পাখির চোখ 2021।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!