এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আজ মমতার রাজ্য বাজেট! গিমিক ছাড়া কিছুই হবে না, বিজেপির দাবিতে বেকায়দায় তৃণমূল!

আজ মমতার রাজ্য বাজেট! গিমিক ছাড়া কিছুই হবে না, বিজেপির দাবিতে বেকায়দায় তৃণমূল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-লোকসভা ভোটের আগে আজ রাজ্য বাজেট পেশ হতে চলেছে। আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরেই সেই রাজ্য বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য‌। তবে রাজ্য সরকারের পেশ করা এই বাজেট নিয়ে উৎসাহিত নন অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে রাজ্যের সাধারণ মানুষ, এমনকি বিরোধীরাও। তারা সকলেই জানেন যে, নতুন ঘোষণা হলেও, সেটা রাজ্যের মানুষের পরিকাঠামগত উন্নয়ন এবং তার দিশা দেখাবে না। বরঞ্চ কি করে ভোটব্যাংক ধরে রাখা যায়, তার জন্য কিছু চমকপ্রদ ঘোষণা করে রাজ্যের বোঝা আর বাড়িয়ে দেবে এই সরকার। বাজার থেকে লোন নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি এমনিতেই সংকটের মুখে। স্বাভাবিক ভাবেই আজকে রাজ্য বাজেট পেশ করা হলেও, তাতে তেমন কিছু বড় মানুষের উন্নয়নের জন্য ঘোষনা হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু কেন এমন কথা বলা হচ্ছে? বাজেট পেশ হওয়ার আগেই কেন এইরকম হতাশ সমালোচক মহল থেকে শুরু করে বিরোধীরা!

প্রসঙ্গত, রাজ্য বাজেটে কি চমক থাকবে, কি নতুন ঘোষণা হবে, সেটা আর কিছু সময় পরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে সম্প্রতি বিধানসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন যে, রাজ্য সরকার যারা বঞ্চিত সরকারি কর্মচারী, তাদের জন্য ঘোষণা করবেন। যারা ডিএর দাবিতে লড়াই করছেন, তাদের জন্য ঘোষণা করবেন। লক্ষীর ভান্ডারের 500 টাকার বদলে সেটা 2 হাজার টাকা করে দেবেন, এটা আমরা আশা করছি। কিন্তু সেই আশাতে ছাই পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ অনেকেই বলছেন যে, এই রাজ্যের যা পরিস্থিতি, রাজ্যের কোষাগারের যা অবস্থা, তাতে কোনোমতেই নতুন কোনো প্রকল্প ঘোষণা করতে পারবে না এই সরকার। পাশাপাশি যে সমস্ত প্রকল্প গুলো চলছে, সেখানেও যে বরাদ্দ খুব একটা বাড়িয়ে দেবে, সেই পরিস্থিতিও এই রাজ্যের নেই। কারণ ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের গা জোয়ারি দেখানোর জন্য ঘোষণা করেছেন, তিনি নাকি ১০০ দিনের টাকা ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে দেবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিপুল অংকের টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাকে তো বাজার থেকে লোন নিতে হবে! তাহলে তিনি কি করে যে সমস্ত প্রকল্প মহিলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলছে, সেই বরাদ্দ বাড়াবেন! কারণ ১০০ দিনের কাজের টাকা যদি তাকে দিতে হয়, তাহলে বাজার থেকে লোন নেওয়ার পর সেই লোন শোধ করতে হবে এই রাজ্যকে। স্বাভাবিক ভাবেই একটা বড় বিড়ম্বনার মুখে এই রাজ্যের সরকার এমনিতেই পড়ে গিয়েছে তাই তাদের কাছ থেকে এবারের রাজ্য বাজেটে তেমন কিছু চমকপ্রদ বিষয়ে আশা না করাই সমীচীন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, এবারের রাজ্য বাজেট লোকসভা নির্বাচনের আগে হচ্ছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার হয়ত কিছু চমকপ্রদ ঘোষণা করতে পারে ভোট নেওয়ার জন্য। কিন্তু আখেরে পরিকাঠামো গত উন্নয়ন এই রাজ্যের হবে না। লক্ষ্মীর ভান্ডারের মত যে সমস্ত প্রকল্প চলছে, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করার চেষ্টার দিকে দৃষ্টি দেওয়ার সময় হবে না এই রাজ্যের সরকারের। বরঞ্চ ভোট কেনার জন্য তারা কিছু গিমিক পদক্ষেপ নিতে পারে। তাই এবার একটা অন্তঃসারশূন্য বাজেট দেখবে রাজ্যের মানুষ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক হোক বা দলীয়, বিভিন্ন সভায় একটাই কথা বলেন যে, তার সরকারকে নাকি বঞ্চিত করা হচ্ছে! তার সরকারের কোষাগারে নাকি টাকা নেই! তবুও তাকে নাকি কষ্ট করে এই রাজ্য চালাতে হচ্ছে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এত কিছুর মধ্যে বাজার থেকে লোন নেওয়া ছাড়া এই সরকারের আর কোনো উপায় নেই। তাই আবার রাজ্যের মানুষের বোঝা বাড়িয়ে ১০০ দিনের কাজে টাকা চুরি করার পরেও নিজেই মাতব্বরি করে সেই টাকা শোধ করার কথা বলে একটা জনদরদী ভাব মূর্তি গ্রহণ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাস্তবে এর জন্য যে লোন বাজার থেকে নেওয়া হচ্ছে, তাতে তো আখেরে ক্ষতি হবে এই রাজ্যের মানুষের, সেটা কেন এই সরকার বুঝতে পারছে না! সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিরোধীদের মধ্যে। তবে এতকিছু চর্চা, বিশ্লেষণকে এক মিনিটেই উড়িয়ে দিতে পারে এই রাজ্যের সরকার। যদি তারা গঠনগত উন্নয়নের দিকে নজর দিয়ে রাজ্য বাজেটে তেমন কিছু ঘোষণা করতে পারে। তাই শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা হতাশ হলেও, রাজ্যের মানুষ আশাবাদী। আশাবাদী এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে শেষ মুহূর্তে মানুষকে সুবিধা পৌঁছে দিতে হলে এবার অন্তত রাজ্য বাজেট চমক প্রদ নয়, বরঞ্চ গঠনগত হবে। কিন্তু আদৌ সেটা করার হিম্মত হবে তো এই রাজ্য সরকারের! দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!