এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হতেই স্বস্তি মমতার, পাশে পেলেন এই হেভিওয়েটকে!

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হতেই স্বস্তি মমতার, পাশে পেলেন এই হেভিওয়েটকে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। যেখানে জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে রাজ্যপালকে দুর্নীতি পরায়ন বলে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। আর তারপরেই এই গোটা ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। এভাবে একজন সাংবিধানিক প্রধানকে মুখ্যমন্ত্রী আক্রমন করতে পারেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের।

স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন তুলে ধরে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উপর ক্রমাগত চাপ বাড়াতে শুরু করেছে তারা। তবে বিরোধীরা যখন এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপ বাড়াতে শুরু করেছেন, ঠিক তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল বিশিষ্ট দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনকর্মী বিনীত নারায়ণকে। যেখানে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ধরনের সাহসী পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানালেন তিনি।

স্বাভাবিক ভাবেই বাংলায় বিরোধী দল থেকে শুরু করে রাজ্যপালের কটাক্ষের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়লেও, যেভাবে একজন আন্দোলনকর্মীকে পাশে পেলেন তিনি, তাতে রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বস্তুত, সম্প্রতি জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই পাল্টা বিবৃতি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছেন বলে জানিয়ে দেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। তবে এই গোটা ঘটনার পেছনে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়াতে দেখা গেল বিশিষ্ট আন্দোলনকর্মী বিনীত নারায়ণকে।

এদিন তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহসী পদক্ষেপের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং রাজ্যপাল হিসেবে জাগদীপ ধনকারের মিথ্যা কথা বলা উচিত নয়। আমি তাকে প্রশ্ন করব, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা জৈন হাওয়ালা মামলার অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন কি? নৈতিকতার কারণে কেরলের বর্তমান রাজ্যপাল আরিফ মহাম্মদ খান এবং পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারের অবিলম্বে রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে কার্যত সমর্থন জানিয়ে বাংলার রাজ্যপালের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিশিষ্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা এই আন্দোলনকর্মী। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রাজ্যপাল বিরোধী মনোভাবের বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বলা বাহুল্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে সরকারকে আক্রমণ করা হয়। যার জেরে শাসক দলের পক্ষ থেকে পাল্টা রাজ্যপালকে একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে বলে অভিহিত করা হয়।

স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে। তবে সম্প্রতি জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের কথা তুলে ধরে সেই রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে প্রশাসনিক প্রধানের পক্ষ থেকে এই রকম আক্রমণ রীতিমতো শোরগোল ফেলে দেয় গোটা রাজ্যজুড়ে।

অনেকেই গোটা ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করতে শুরু করেন। তবে এই পরিস্থিতিতে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে জগদীপ ধনকারের ইস্তফা দাবি করে ঘাসফুল শিবিরের স্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বিনীত নারায়ন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!