এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > BREAKING – প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলতেই দলীয় শাস্তির মুখে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী?

BREAKING – প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলতেই দলীয় শাস্তির মুখে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী?


এমন কিছু যে হবে, তা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। আর অবশেষে রাজনৈতিক মহলের একাংশের জল্পনাতেই সীলমোহর পড়ল। এতদিন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছিলেন সকলেই। অনেকেই ভাবছেন, কী এমন হল, যা নিয়ে এত গুঞ্জন! সম্প্রতি রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান। আর এরপরই বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় বড় বড় গাছ পড়ে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে শুরু করে পানীয় জল পরিষেবা।

ইতিমধ্যেই বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। যার ফলে বিরোধীদের তরফ থেকে কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। তবে শুধু বিরোধীরা নয়, সম্প্রতি এই ব্যাপারে নাম না করে সেই ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাধন পান্ডে। যেখানে তিনি বলেন, “আমপান নিয়ে আগেই হাওয়া অফিস সতর্ক করেছিল। কিন্তু পৌরসভা প্রস্তুতি নেয়নি। নিলে সাতদিনের মাথাতেও শহরের এই হাল থাকত না।”

অর্থাৎ বিরোধীদের সুরে সুর না মেলালেও শাসকদলের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে সাধন পান্ডে এই ব্যাপারে তারই সহকর্মী ফিরহাদ হাকিমকেই যে কটাক্ষ করলেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল রাজনৈতিক মহল। আর তারপর থেকেই গোটা বিষয়ের দিকে নজর রাখতে শুরু করেছিলেন সকলে। সম্প্রতি এই ব্যাপারে সাধন পান্ডের মন্তব্যকে পাল্টা কটাক্ষ করতে দেখা যায় সেই ফিরহাদ হাকিমকে। যেখানে তিনি বলেন, “আমি বাড়িতে বসে বড় বড় কথা বলছি না। রাস্তায় নেমে কাজটা করছি। রাস্তায় নামুন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও জানান, “আমি গাছ কাটব, জল সরবরাহ দেখব, না লোকের বাড়ি বয়ে পরামর্শ আনতে যাব! সদিচ্ছা থাকলে এসে পরামর্শ দিচ্ছেন না কেন!” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার 2 গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের এই তরজা রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। একাংশ মনে করেছিলেন, যেখানে বর্তমানে ফিরহাদ হাকিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, সেখানে সেই ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করে সাধন পান্ডে ঠিক কি বার্তা দিতে চাইলেন?

আর নানা মহলে যখন এই প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই সেই সাধন পান্ডের ওপর নেমে এল কোপ। সূত্রের খবর, এবার প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে দলেরই সহকর্মীর বিরুদ্ধে তোপ দাগার জন্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শোকজ করা হল মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী সাধন পান্ডেকে। জানা গেছে, এদিন দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মোতাবেক উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধনবাবুকে শোকজ করেন।

পাশাপাশি তিনি দলের বাইরে প্রকাশ্যে কেন এভাবে মুখ খুললেন, তা নিয়েও তার কাছে জবাবদিহি করেছে তৃণমূল। ভয়াবহ দুর্যোগের সময় নিজের সহকর্মীর বিরুদ্ধে মুখ খুলে এবার যেভাবে সাধন পান্ডে দলের শোকজের মুখে পড়লেন, তাতে তার পদক্ষেপ নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে সাধনবাবু কোনো মন্তব্য না করলেও একাংশ বলছেন, এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরমহলে আলোড়ন সৃষ্টি হতে পারে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে তা কেউ জানে না।

কেননা সাধন পান্ডে এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি একাধারে দক্ষ সংগঠক এবং অন্যদিকে জনসাধারণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে তার। তার থেকেও বড় কথা, আমপান পরবর্তী পরিস্থিতিতে – পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। আর তখনই সাধারনের অসুবিধার কথা তুলে ধরে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সাধনবাবু। তাই এহেন ব্যাক্তিত্বের বিরুদ্ধে এবং সাধারনের অসুবিধার কথা তুলে ধরার জন্য – তৃণমূল পদক্ষেপ নেওয়ায় এখন সাধনবাবুর তরফে কি প্রতিক্রিয়া আসে, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!