এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের বিজেপিতে বড় ভাঙ্গন, স্বস্তিতে তৃণমূল! জানুন বিস্তারিত

ফের বিজেপিতে বড় ভাঙ্গন, স্বস্তিতে তৃণমূল! জানুন বিস্তারিত

 

লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হেভিওয়েট নেতা কর্মীরা বিজেপিতে নাম লেখাতে শুরু করেন। কখনও বাম থেকে, আবার কখনও বা তৃণমূল থেকে নেতাকর্মীদের গেরুয়া শিবিরে যোগদান, বিজেপিকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। কিন্তু রাজনীতি সব সময় এক গতিতে চলে না। আর তাই 6 মাস আগে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর বিজেপি সাফল্য পেলে, অনেক নেতাকর্মীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেও, এখন অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। বর্তমানে বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখাতে শুরু করেছেন সেই বিজেপিতে যাওয়া নেতাকর্মীরা। আর এবার কেশপুরেও এই প্রবণতা দেখা যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কেশপুরের বিজেপির উত্থান উঠেছিলেন তন্ময় ঘোষ এবং শেখ সেলিম। জানা গেছে, সিপিএম থেকে এই দুই নেতা বিজেপিতে নাম লেখানোর পরই কেশপুরে বিজেপির সংগঠন বাড়তে শুরু করে। কিন্তু একাধিক গোলমালের ঘটনায় এই তন্ময় ঘোষ এবং শেখ সেলিমের নাম জড়ানোয় তারা জেলবন্দি ছিলেন। প্রায় পাঁচ মাস জেল খাটার পর চলতি মাসের শুরুতে জামিনে মুক্ত হয়েছেন সেই শেখ সেলিম। আর এবার ছাড়া পেয়েই বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা শোনা গেল তার গলায়। যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে।হঠাৎ কেন তিনি দল ছাড়ছেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, “বিজেপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু নতুন নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পরে বিজেপির উপরে আর কোনো ভরসা রাখতে পারছি না।” কিন্তু শুধুমাত্র নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার কারণেই কি বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করছেন তিনি! নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও অন্য কোনো কারণ! এদিন এই প্রসঙ্গে সেই শেখ সেলিম বলেন, “বিজেপি দলটা সাধারণ মানুষের জন্য নয়। লোকসভায় এলাকায় বিজেপির হয়ে ভোট করেছিলাম। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে প্রয়োজনে বিজেপি নেতৃত্বকে পাশে পাইনি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু দলকে অক্সিজেন যোগানো শেখ সেলিম যদি সত্যিই বিজেপি ত্যাগ করেন, তাহলে তা যে বিজেপির কাছে বড়সড় ধাক্কার কারণ হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তবে এই গোটা ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, “শাসকদলের চাপে বাধ্য হয়ে কেউ কেউ দল ছাড়তে পারেন। কিন্তু এতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। সাধারণ মানুষ বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন।”

কিন্তু শেখ সেলিম যদি বিজেপি ছাড়েন, তাহলে তিনি কোথায় যোগ দেবেন! এদিন এই ব্যাপারে সেলিম কোনো মন্তব্য না করলেও তৃণমূলের গলায় শোনা গেছে জল্পনার সুর। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বিজেপি ছেড়ে কেশপুরের শতাধিক কর্মী তৃণমূলে যোগ দেবেন। কয়েকজন আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। দলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। আমি বিষয়টা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। কে কে, তা আমি এখনও বলছি না। শুধু এতোটুকু বলছি, কিছু মানুষ যারা আগে তৃণমূল করতেন, লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি করেছিলেন, তাদের অনেকে ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে ফিরে আসতে চাইছেন।”

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যদি তৃণমূল সভাপতির এই কথা সত্যি হয়, এবং সত্যি সত্যিই যদি শেখ সেলিমের মত নেতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসেন, তাহলে তা বিজেপির কাছে অত্যন্ত ধাক্কার কারণ হিসেবে দেখা দেবে। ফলে গোটা ঘটনায় এখন কোন দিকে মোড় নেয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!