অকালে প্রেমের বোধন – কলমে – অপরাজিতা , পর্ব ৯ অন্যান্য অপরাজিতা গল্পে-আড্ডায় টেকনোলজি December 26, 2019 খাওয়াদাওয়া শুরু হলো। অভিজিৎ খেতে খেতে বললো – এবারে গুঞ্জারানীকে রেস্ট দিতে হবে। নাহলে এবার ও পড়বে। আজ তিন দিন ধরে ও টানছে। আর বৌ এসেছে বলে সব গা ঝাড়া দিয়ে নতুন বৌয়ের কাঁধে সব দ্বায়িত্ব চাপিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে। সুপ্রিয়া – ২ পিস্ মাংস কম দেওয়া হবে আপনাকে। এতবড় অপবাদ দিচ্ছেন আপনি আমাদের। আমরা পায়ের উপর পা তুলে বসে আছি। অভিজিৎ -আচ্ছা ভুল হয়ে গেছে। পায়ের উপর পা তুলে বসে আছ আর অর্ডার করছো। সুপ্রিয়া – ইসশ, অনুপমা – তাকে বারণ করলে সে শুনবে বলো। কাল থেকেই বলছি সে তো করছে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। অভিজিৎ – না, এবার আর রেস্ট না নিলে ও পড়বে। দেখে বুঝছেন না বৌদি শরীরটা বইছে না, জোর করে টানছে । খাওয়াদাওয়া হলো সাথেই অনেক আলোচনা। গুঞ্জার প্রসংসা। মুখে কথা নেই, কোনো দাবি নেই, যা বলবে সব করবে. কোনো না নেই, রাগ নেই। এমন বৌ ভাগ্য করে মেলে। খাওয়াদাওয়া হলে তিনতলায় গেলো অভি। তার মানে গুঞ্জাকে নিয়ে রিম্পা যা যা বলেছে সবই মিথ্যা কথা। সবাই খুশি গুঞ্জাকে নিয়ে। তাহলে রিম্পা কেন মিথ্যা বললো? কিসের স্বার্থ ওর ? অভিও দেখছে গুঞ্জাকে রিম্পার বর্ণনার সাথে কোনো মিল নেই। এত বিষ ঢাললো রিম্পা ?কেন? না আর নয় এবার কাজে বসতে হবে। অফিসের বাকি কাজ না করলে এবার ম্যানেজার ছাত থেকে ঝাঁপ দেবে আর তার জন্য অভিকেই দায়ী করবে। ফেরার টিকিটও কাটতে হবে। দু দিন পরের টিকিট কাটলো। আর ১ মাস পর পুজো। এখন না গেলে পুজোতে আর আসতে পারবে না। সারাটা দিন কাজ করেই কেটে গেলো।রিম্পা অভিকে বোঝাতে এসেছিলো- অভি পাল্টা কত প্রশ্ন করেছিল ,বলেছিলো পরে উত্তর দিতে, সে বেকায়দায় পরে বাড়ি চলে গেছে। মেজপিসির মেয়ের ছেলের পরীক্ষা আছে। মেয়ে সব সামলাতে পারবে না তাই মেয়ের বাড়ি ফিরে গেছেন। অনেক রাতে ঘরে এলো দেখলো গুঞ্জা ওর জায়গায় সেই আগে মতোই ঘুমোচ্ছে গুটিসিটি হয়ে। পরের দিন সকালে উঠে অভি ঘর থেকে বেরোতে যাবে দেখলো গুঞ্জা বারান্দায় চুল ঝাড়ছে। সদ্যস্নাতা নববধূকে দেখে বুকের ভিতরে উথালপাথাল হলো কি সদ্য বিবাহিত যুবকের? জানা যায়নি। তবে সে নববধূকে এতটাই বিভোর হয়ে দেখছিলো যে জুঁই তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে সে দেখতে পেলো না। জুঁই একটু ঠেলা দিতেই ঘোর কাটলো। অভি – কি হয়েছে? জুঁই – বলছি , বৌটা তো তোরই, ঘরে গিয়ে কাছে ডেকেই ভালো করে দেখ না , এখানে ওই ভাবে দেখছিস? লোকে দেখলে খারাপ বলবে। অভি – ভাগ, যা পড়তে বোস বলে চলে গেলো। কাজের বারবার মনে পড়ছে সকালের দেখা গুঞ্জাকে। আচ্ছা জুঁই সবাইকে বলে দেয়নি তো। ইসশ খুব খারাপ হবে ব্যাপারটা। যদি গুঞ্জাকে বলে? কি ভাববে গুঞ্জা।আচ্ছা বলবে তো কি হবে ? ভাবাভাবির কি আছে ? সে আমার বৌ আমি তাকে দেখতেই পারি। ফের কাজে মন দিলো। মন বসলো না। একটু চা খাবে তাহলেই মাথাটা ফাঁকা হবে কাজে মন বসবে। নিচে গেলো। রান্নাঘরে মা, ছোটমা, গুঞ্জা, জুঁই সবাই রয়েছে। জুঁই এখন নুন চিনি লেবুর সরবত খাবে, গুঞ্জা ছুঁড়িতে লেবু কাটছে। জুঁই গ্লাসে জল আর চিনি নিয়ে জোরে জোরে গুলছে। মা , ছোটমা রান্না করছে। অভি – মা একটু চা খাবো? অনুরাধা – আচ্ছা দাঁড়া দিচ্ছি। জুঁই একটু মুচকি হেঁসে অভির দিকে তাকিয়ে গুঞ্জার দিকে ইশারা করলো, অভি – পড়াশোনা করেছিস তুই? জুঁই — এই মাত্র পরে এলাম , চেঁচাবিনা। জানো তো মা আজ সকালে না ……………………… অভি – জুঁই, বলে জুঁইকে ধরে মুখটা টিপে ধরে আস্তে আস্তে বললো – ৫০০। জুঁই মাথা নাড়ছে , ঠিক আছে ১০০০, তবুও মাথা নাড়ছে জুঁই, ওকে ২০০০। জুঁই সম্মতি জানালে ছেড়ে দিলো ওকে। অনুরাধা, সুপ্রিয়া, গুঞ্জা অবাক হয়ে গেছে। কিছু একটা লোকাতে বলছে বুঝেছে কিন্তু কি ? সুপ্রিয়া – এই কি হয়েছে রে ? তোরা ভাই বোন কি লুকাচ্ছিস রে ? জুঁই – কিছু না। পরে বলবো। তবে রে, ফের , জুঁইকে ধরতে গেলো অভি। জুঁই গুঞ্জার পিছন দিয়ে পালিয়ে গেলো। অভির সাথে ধাক্কা লেগে গুঞ্জার হাত কাটলো। গুঞ্জা – আঃ অভি – সরি, বলেই হাত ধরে অভি বেসিনে নিয়ে গিয়ে জল দিতে লাগলো। অনেকটা কেটেছে।সুপ্রিয়া ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে অভির হাতে দিলো। অভিই গুঞ্জার হাতে বরফ লাগাতে লাগাতে জুঁইকে বললো ফার্স্ট এড বাক্স টা নিয়ে আয়। অনুপমা – তোদের না সবেতে বাড়াবাড়ি, রান্নাঘরে কেউ লাফালাফি করে। অভি গুঞ্জার হাত ধরে বসার ঘরে নিয়ে গেলো। গুঞ্জা – আমার কিছু লাগবে না। এমন কিছু কাটেনি। অভি – দেখা যাচ্ছে, চুপ করে বোসো। জুঁই ফার্স্ট এড বাক্স নিয়ে এলে অভি গুঞ্জার হাতে ব্যান্ডেজ করে দিলো। চা হলো অভি চা নিয়ে উপরে গেলো। এদিকে বৌয়ের প্রতি ছেলের যত্ন দেখে বেজায় খুশি অনুপমা, সুপ্রিয়া। যাই হোক একটু একটু করে ভাব হচ্ছে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া ও মিটলো ফের তিনতলায় কাজে গেলো অভি। দুপুরের দিকে ভীষণ মেঘ করে এলো এখুনি বৃষ্টি নামবে ঝেঁপে। ছাতে কাপড় মেলা আছে। গুঞ্জা আর সুপ্রিয়া কাপড় তুলতে এসেছে। অভি ছাতের এককোনে সিগারেট খাচ্ছিলো। অন্য কেউ হলে ফেলে দিতো কিন্তু ছোটমা। দূর, কতবার সিগারেট শেষ হয়ে গেছে কাকুর সিগারেটের প্যাকেট থেকে সিগারেট এনে দিয়েছে। সাথেই জ্ঞান দিয়েছে- এবারেই লাস্ট ,আর নয়, এসব খাওয়া ভালো নয়। সুপ্রিয়া দেখেছে অভি আছে। এখনো কাপড় তুলছে গুঞ্জা। এখুনি ঝেঁপে বৃষ্টি আসবে। সিঁড়িতে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো সুপ্রিয়া। গুঞ্জা এতক্ষন খেয়াল করেনি। এবার দেখলো দরজা বন্ধ। কয়েকবার ডাকলো- ছোটমা, ছোটমা। সাড়া এলো না। ডাক শুনে এলো অভি , জিজ্ঞাসা করলো কি হয়েছে ? গুঞ্জা আস্তে আস্তে বললো- দরজা বন্ধ। অভিও ডাকলো কয়েকবার। ডাক শুনে জুঁই আসছিলো। সুপ্রিয়া ইশারা করায় থেমে গেলো। এদিকে এই সময় জোর বৃষ্টি এলো। গুঞ্জার হাত ধরে অভি ছুটলো তিনতলার ঘরের দিকে। দরজার খরখরি সরিয়ে সুপ্রিয়া দেখলো ওরা তিনতলার ঘেরা বারান্দায় ঢুকলো। হাসতে হাসতে চললো নিচে। তিনতলার বারান্দায় এসে অভি যে ঘরে কাজ করছিলো সেঘরেই ঢুকলো ওরা। অন্য ঘর পরিষ্কার করা নেই ফলে এই ঘরেই বসতে হবে। প্রচন্ড বৃষ্টির সাথেই শুরু হয়েছে ডাক ডাকা। অভি গুঞ্জাকে বললো বিছানায় বসতে। সে টেবিলে রাখা ল্যাপটপ আর ফোন বন্ধ করে এদিকের জানালাটা হালকা করে খুলে আর একটা সিগারেট ধারালো। চেয়ারে বসে টুলে পা তুলে দিয়ে গুঞ্জাকে বললো – বিছানায় পা তুলে বোস ডাক ডাকছে। গুঞ্জা বাধ্য মেয়ের মতো বিছানায় পা তুলে বসলো। মুখ ছাড়া কিছু দেখা যাচ্ছে না। গায়েতেও শাড়ীটা জড়িয়ে বসেছে। যেন ভাসুর শ্বশুরের সামনে বসে আছে। অভি জিজ্ঞাসা করলো – হাতে ব্যাথা আছে ? মাথা নামিয়ে খুব আস্তে আস্তে গুঞ্জা বললো – না আর একটা পেইন কিলার খেয়ে নেবে নাহলে রাত্রে ব্যাথা করবে। এবার অভি জিজ্ঞাসা করলো – সন্দীপদার কথা মনে পরে না ? গুঞ্জা – না অভি – কেন? বিয়েতে মত ছিল না, গুঞ্জা – না আমার ইচ্ছা ছিল চাকরি করার। অভি – তোমার অমতে বিয়ে দিচ্ছিলো কেন? গুঞ্জা – মায়ের শরীর ভালো নয় তাই ভালো ছেলে পেয়ে হাতছাড়া করতে চায়নি। অভি – সন্দীপদার সাথে আমাদের বিয়ের পর আর কথা হয়েছে তোমার ? গুঞ্জা, মাথা নাড়িয়ে বললো – না। অভি – ফোন করে জানতে চাওনি – কেন আগে বলেনি? কেন বিয়ের দিন এমন করলো ? গুঞ্জা – আমার কাছে ওনার ফোন নম্বর নেই। অভি – মানে? বিয়ের আগে তোমাদের কথা হতো না। গুঞ্জা – না। অভি – মানে সন্দীপদা তোমাকে কল করেনি? গুঞ্জা – না অভি – তাতেও তোমাদের বাড়ি থেকে এই বিয়েটা দিচ্ছিলো , তুমিও বিয়েটা করছিলে? গুঞ্জা – আমি অনেকবার মানা করেছিলাম, বাড়ির সবাই বলেছিলো খুব ভালো ছেলে তাই কথা বলে না। অভি – হোয়াট ? আর ইউ সিরিয়াস ? মানে তোমাকে সেই দেখতে এসে তোমাদের মধ্যে যা দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। গুঞ্জা – আমাকে দেখতে আসেনি। অভি – কি…………….?মানে? গুঞ্জা – ওরা একটা বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলো সেখানেই আমাকে দেখে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অভি – আর তুমি সেই বিয়েটা করছিলে? গড। মানে তোমার কাছে সন্দীপদা, আমি, এক্স ওয়াই জেড সবাই সেম ছিলাম। গুঞ্জা – আমি অনেকবার মানা করেছিলাম। কিন্তু কেউ শোনেনি। অভি- বিয়ের দিন যখন কথা বলতে গিয়েছিলাম তোমার সাথে , তুমি ওই ভদ্রমহিলাকে না করে দিয়েছিলে তাই না ? গুঞ্জা – হুম। অভি – কেন আমাকে পছন্দ ছিল না? গুঞ্জা – আপনার এই বিয়েতে মত ছিল না, জোর করে বিয়েটা হচ্ছিলো। অভি – আচ্ছা ছাড়ো, বিয়ের আগে আমাকে দেখেছিলে?মানে সেদিনের আগে? গুঞ্জা – হুম, ধাক্কা লেগেছিলো আপনার সাথে। অভি – কোথায়? গুঞ্জা – প্রবীরদার দোকানের বাইরে। অভি মনে করার চেষ্টা করলো ,মনে পড়লো না. কেনান এমন মারকাটারি সুন্দরীর সাথে ধাক্কা লাগলে সেটা চট করে ভোলা যাবে না। বললো – আমার সাথে?সিওর ? গুঞ্জা – হুম, আমার মুখে ওড়না বাঁধা ছিল আপনি আমার মুখ দেখেননি। মনে পড়েছে অভির এবার। অভি প্রবীরের দোকান থেকে বের হচ্ছিলো। আর মেয়েটা ঢুকছিল। অভি সরি বলেছিলো। মেয়েটা চোখের ইশারায় বলেছিলো ঠিক আছে। ওর সাথে আর একটা মেয়ে ছিল সে হা করে তাকিয়েছিলো অভির দিকে। অভি বেগতিক দেখে বাইক নিয়ে কেটে পড়েছিল। অভির মনে পড়েছে – তাহলে গুঞ্জাকে নিয়েই ওরা অমন করতো। প্রবীর ওদের সাথেই পড়তো। ১২ ক্লাস পাস করে ও আর পড়েনি। বাজারে একটা মোবাইল, রিচার্জ, কসমেটিক,এইসবের দোকান করেছে। ওর দোকানেই আড্ডা বসে।অভি গেলেও ওখানেই পুরোনো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়। সেদিন আড্ডা দিয়েই বেরোচ্ছিল। তখনি ধাক্কা লাগে। সন্ধেবেলা ফের যখন আড্ডায় যায়। বাকিরা বলেছিলো- অভি তুই হেভি লাকি।আমাদের সাথে কথাও বলেনা আর তুই ধাক্কা খেলি। অভি বলেছিলো কি হয়েছে তাতে এমন করার কি আছে ? ওরা বলেছিলো – মেয়েটাকে দেখিস নি বলে বলছিস? অমন দেখতে কোটিতে একটা পাওয়া যায়। যে ওকে বিয়ে করবে সে ভীষণ লাকি। অভি হেঁসে উড়িয়ে দিয়েছিলো। তাহলে গুঞ্জার কথাই বলছিলো। অভি – আগে এসেছো? আমাদের বাড়ির পুজো দেখতে ? গুঞ্জা – না, আমরা পুজোতে থাকিনা এখানে, আমাদের দেশের বাড়ি চলে যাই, ভাইফোঁটা মিটিয়ে ফিরি। আন্দাজ করেছিল অভি, কেননা এই মেয়েকে দেখলে মনে থাকতো। বৃষ্টি ছেড়েছে, বাইরে থেকে ডাক এলো- অভি দাদা, বৌমনি মালতী পিসি ডাকছে। অভি চিচিয়ে বললো – যাচ্ছে, তুমি যায়। মালতী চলে গেলো। গুঞ্জা বললো – আমি আসছি, চলে গেলো। কিছুক্ষন পরে অভি নিচে নামলো। সবাই রয়েছে গুঞ্জা নেই। মায়েরা টিভিতে যত ফালতু সিরিয়াল দেখছে। নাকে নল নিয়ে হেঁটে হেঁটে অপারেশন থিয়েটারে যাচ্ছে রোগী। মা এগুলো বন্ধ করো। এগুলো দেখলে তোমরাই সাইকো হয়ে যাবে। রোগী নাকে নল নিয়ে অপারেশন থিয়েটারে যাচ্ছে এটা হয়, ছোট পিসে থাকলে এটা দেখলে অজ্ঞান হয়ে যেত। সুপ্রিয়া- চুপ কর তুই বুঝবি না। তোর ঠাকুমা আর মায়ের এটা প্রিয় সিরিয়াল। আর ওটা গরিব নায়িকা, অভি – এত বড় হসপিটালে আসতে পেরেছে ,তাছাড়াটাকা না দিলে অপারেশন হবে কি করে ?আরটাকা নেই তাতে অপেরায়ণ হবে কিন্তু স্ট্রেচার দেবে না ? রোগীকে হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে অপেরেশনে নিয়ে যাবে ?মায়েদের কোনো হেলদোল নেই তারা প্রায় চোখটা ঢুকিয়ে দিয়েছে টিভিতে। সুপ্রিয়া – অনেক কান্ড আছে , যাই হোক দেখলে দেখ, কোনো মানে খুজবি না। চা খাবি তো? তুই এলি গুঞ্জা কোথায়? অভি – গুঞ্জা তো অনেক্ষন আগে নেমে এসেছে? আগের পর্ব- অকালে প্রেমের বোধন – কলমে – অপরাজিতা , পর্ব ৮ পরের পর্ব — অকালে প্রেমের বোধন – কলমে – অপরাজিতা , পর্ব ১০ আপনার মতামত জানান -