এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের খড়গপুর নিজেদের দখলে রাখতে চাল দিলেন দিলীপ ঘোষ, জেনে নিন বিস্তারিত

ফের খড়গপুর নিজেদের দখলে রাখতে চাল দিলেন দিলীপ ঘোষ, জেনে নিন বিস্তারিত

বর্তমানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ভারতীয় জনতা পার্টি। লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির রাজ্যে যে জনস্রোত ছিল, তা দিনকে দিন তলানীতে ঠেকতে শুরু করেছে। সম্প্রতি রাজ্যে অনুষ্ঠিত 3 বিধানসভা উপনির্বাচনের তিনটিতেই পর্যুদস্ত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

খড়গপুর তাদের শক্ত ঘাঁটি হলেও, সেখানে জয়লাভ করতে পারেনি বিজেপি। তবে লোকসভায় খড়গপুর বিধানসভা যার অন্তর্গত, সেই মেদিনীপুরে জয়লাভ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তাইতো খড়্গপুরে জয়লাভ করতে না পারলেও, ভবিষ্যতে কিভাবে জয় আনা যাবে! তার জন্য এখন থেকেই রণকৌশল সাজাতে শুরু করলেন এখানকার ভূতপূর্ব বিধায়ক তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, শনিবার সকাল থেকেই খড়গপুর শহরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রোজকার মত প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে তৃণমূলের বিরোধীতাকে মুছে ফেলতেও জৈন, শিখ, বৌদ্ধ সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের জনাদেশ নিজেদের বাগে আনার চেষ্টা করেন দিলীপ ঘোষ।

জানা যায়, এদিন প্রথমে খড়্গপুরের খরিদা এলাকার একটি হলে জৈন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর সেখানেই এনআরসি এবং সিএএ ঠিক কি! তার সম্পর্কে সেই সমস্ত মানুষদের বোঝান তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীতে খরিদার অন্য একটি এলাকায় শিখ সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করে সেই একই কাজ করেন দিলীপ ঘোষ। এরপর দুপুরে নিজের বাংলোতে ফিরে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে ভবিষ্যতে কিভাবে এগোতে হবে, তার বার্তা দেন তিনি। পরবর্তীতে বিকেলে খড়গপুর শহরের সালুয়া এলাকায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করে তাদেরকেও নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে বোঝানোর চেষ্টা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আর তৃণমূল যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিরুদ্ধে বিজেপিকে আক্রমণ করে রাস্তায় নামছে, ঠিক তখনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিজের গড় খড়্গপুরে এভাবে সব সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলায় তৃণমূল যে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “মানুষকে যতই মুখ্যমন্ত্রী ভুল বোঝানোর চেষ্টা করুন, ওনার দলের লোকেরাই বুঝে গিয়েছেন, ভুল কোনটা। তাই হাঁটতে বের হলেও সঙ্গে সেভাবে লোক দেখা যাচ্ছে না। আমরা বোঝানোর আগেই মানুষ তা বুঝে নিয়েছে। ওদের বিরোধিতা, অবস্থান-বিক্ষোভ এখন হাস্যকর হয়ে দাঁড়াবে।”

সব মিলিয়ে এখন দিলীপ ঘোষ নানা সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে নাগরিকত্ব ইস্যুতে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, বিজেপি কতটা সুফল পায়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!