এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তৃণমূল নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অস্বস্তিতে শাসকদল !

বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তৃণমূল নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অস্বস্তিতে শাসকদল !

 

লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পর দলকে যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন সকলেই আশ্বস্ত হয়েছিলেন যে, এবার হয়ত তৃণমূলে দ্বন্দ্ব কিছুটা হলেও কমবে। কিন্তু না। বিজেপির বিরুদ্ধে এনআরসি ইস্যুতে যখন প্রতিবাদ করছে তৃণমূল, ঠিক তখনই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল।

সূত্রের খবর, এদিন মালদহের রতুয়ায় তৃণমূলের হেভিওয়েট যুব নেতা মহম্মদ ইয়াসিন এনআরসির বিরুদ্ধে সভা করছিলেন। আর সেই সময়ই জল্পনা বাড়িয়ে সেখান থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পাল্টা সভা করতে দেখা গেল রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক মুখোপাধ্যায়কে। আর একই দিনে তৃণমূলের দুই নেতার সভা নিয়ে এখন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু কেন তারা এক বিধানসভা এলাকায় হেভিওয়েট বিধায়ক এবং নেতা হয়েও, ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দুটো সভা করলেন! এতে কি দলের অস্বস্তি বাড়ল না! প্রকাশ্যে কি চলে এল না তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল যুব নেতা মহম্মদ ইয়াসিন বলেন, “জেলা নেতৃত্বে নির্দেশেই আমি এই সভা করছি। কিছুটা দূরত্বে পাল্টা সভা ডেকে দলকে ছোট করেছেন বিধায়ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত লোকসভা নির্বাচনে নিজের এলাকায় উনি ভোট করাতে পারেননি। ফলে বিধায়কের বুথে তৃণমূলের থেকে বিজেপি অনেক বেশি ভোট পেয়েছিল। যার ফলে এখন এই সভা ডেকে দলকে মানুষের কাছে আরও ছোট করছেন তিনি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে দলের এই যুবনেতাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “ওখানে কারা সভা করছে, তা বলতে পারছি না‌। আমি মালদহ জেলার সহ-সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সভা করছি।”

তাহলে কে ঠিক! মহম্মদ ইয়াসিন নাকি সমর মুখোপাধ্যায়! এখন তা নিয়েই তৃণমূলের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। একই দিনে দুই নেতার ঢিলছোড়া দূরত্বে এই সভা কি দলের বিড়ম্বনা বাড়াল না!

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “রতুয়া এলাকায় দুটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। সেই কারণেই হয়ত দুটি সভা হচ্ছে।” তবে দুলালবাবু দলের অস্বস্তি ঢাকতে যতই এই ধরনের কথা বলুন না কেন, তৃণমূলে যে গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে, তা এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করছে বিরোধী সংগঠন থেকে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!