করোনা নিয়ে নাজেহাল, তার মাঝেই এলো নতুন রোগ, আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে অন্যান্য রাজ্য শরীর-স্বাস্থ্য হাওড়া-হুগলি November 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একে করোনার প্রকোপ, তারপর যেন খাঁড়ার ঘা এর মত চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। শীত পড়তে শুরু করেছে, আর এরই মধ্যে চিকিৎসকরা সাবধান করেছিলেন সাধারণ মানুষকে। কারণ করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গ হিসাবে যেখানে সর্দি-কাশির কথা লক্ষ্য করা যায়, সেখানে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বিশেষত এই সময়টা বেশিরভাগ মানুষকে সাধারণ জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই সেক্ষেত্রে সাধারণ জ্বর সর্দি কাশি হলেও তার উপসর্গগুলো এবং করোনার উপসর্গগুলো প্রায় একইরকম হওয়ায় চিকিৎসাক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেছিলেন চিকিৎসকরা। তাই এরই মধ্যে মানুষকে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছিল। সেইসঙ্গে যাদের ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা আছে, তাদের সাবধানে থাকা এবং সেইসঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। যাতে মানুষ সহজে রোগাক্রান্ত না হয়ে পড়ে, সেদিকেও নজর রাখার কথা বলা হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে হুগলি শ্রীরামপুর মহকুমায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দেওয়া স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও দুর্গাপূজার সময় থেকে এই অঞ্চলগুলিতে জ্বরের প্রকোপ দেখা যায়। সেখানে ডেঙ্গি ছাড়াও ম্যালেরিয়া টাইফয়েড রোগের উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। সেখানে এবছর করোনা পরিস্থিতিতে তা সামাল দেওয়া নতুন করে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুরের মাহেশ, জগন্নাথ ঘাট লেন, খটিরবাজার— এই জায়গাগুলিতে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্প্রতি এই অঞ্চল থেকে অন্তত ৩০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেইসঙ্গে, রিষড়ার এনকে ব্যানার্জি স্ট্রিট, বাগখাল প্রভৃতি জায়গা থেকেও ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে, কিছুদিন আগে পতঙ্গবিদ এবং মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে শ্রীরামপুর এবং রিষড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন বলে জানা গেছে। বস্তুত, দুই পুর কর্তৃপক্ষই করোনা নিয়ে সতর্ক রয়েছেন এবং ডেঙ্গি মোকাবিলায় অভিযানের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট তৎপরতা অবলম্বন করেছেন বলেই দাবি করেছেন। তাঁদের কথায়, রাজ্য সরকারের নির্দেশে ডেঙ্গি মোকাবিলায় কার্যত বছরভর কর্মসূচি চালান তাঁরা। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। সেইসঙ্গে আবর্জনা বা নর্দমা সাফাই থেকে শুরু করে মশার লার্ভা মারতে তেল ছেটানোর কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে পুর-স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা করছেন। তবে পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, সাধারণ ভাবে রাস্তা বা মানুষের বাড়িতে অভিযান চালানো হলেও পরিত্যক্ত ব্যক্তিগত জমি বা পুকুরের ক্ষেত্রে তাঁদেরকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ অনেকেই জমি কিনে ফেলে রাখেন। সেখানে ঝোপজঙ্গল গজায়। ফলে মশা জন্মাতে পারে এমন কিছু জায়গা চিহ্নিত করা গেলেও তা নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, মশা নিধনের ব্যবস্থা করতে কিছু পরিত্যক্ত জায়গায় জল জমা এবং তা থেকে মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ে পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গোটা জেলায় জ্বরের পরিস্থিতি মোটের উপরে স্বাভাবিকই আছে। তবে শ্রীরামপুর মহকুমায়, বিশেষত শ্রীরামপুর এবং রিষড়া শহরে ডেঙ্গির কিছু রিপোর্ট হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যা যা করা দরকার, সবটাই করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -