তৃণমূলে এখন মুষলপর্ব চলছে – তৃণমূল নিয়ে মন্তব্য বিজেপি নেতার তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের একের পর এক বিধায়ক। যার ফলে ক্রমশ সংকট বাড়ছে তৃণমূলের। গতকাল মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের নাম, প্রতীক ছাড়াই নন্দীগ্রাম দিবসের অনুষ্ঠান করলেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে আবার পাল্টা সভা করতে দেখা হলো তৃণমূলকে। যে সভামঞ্চ থেকে সরাসরি নাম না নিয়েও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মীরজাফরের প্রসঙ্গ টানলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর কার্যকলাপকে ইঙ্গিত করে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানালেন যে, শাসকদল তৃণমূলে এখন মুষল পর্ব শুরু হয়েছে। একের পর এক বিধায়কের বিদ্রোহে জেরবার শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূলে ক্রমশ বাড়ছে বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সংখ্যা। কোচবিহার থেকে যেমন বিদ্রোহ করছেন মিহির গোস্বামী, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে শুভেন্দু অধিকারী, সিঙ্গুর থেকে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর থেকে শীলভদ্র দত্ত। এই সবকিছু নিয়েই তৃণমূলকে বিধলো বিজেপি। তবে মিহির গোস্বামী প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য প্রকাশ্যে দল বা মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে কিছু বলেননি। মহাভারতে যেভাবে মুষল পর্বে শ্রীকৃষ্ণের যদুবংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, সেভাবেই ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে তৃণমূল এমনটাই ইঙ্গিত করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান হয়েছিল নন্দীগ্রাম থেকে। এবার সেই নন্দীগ্রামেই তৃণমূলের ধ্বংসের বীজ বপন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভার আয়োজন করলেন তিনি। সভা মঞ্চ থেকে তিনি হুংকার দিলেন যে, নন্দীগ্রাম কারোর একার আন্দোলন নয়। সভায় বক্তব্য দানকালে তিনি একবারের জন্যও মুখ্যমন্ত্রীর নাম নেন নি। এই সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের নাম, প্রতীক, মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও দেখতে পাওয়া যায়নি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুভেন্দু অধিকারীর এই সভার বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে পাল্টা সভা করতে দেখা গেল তৃণমূলকে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সভা মঞ্চ থেকে সরাসরি নাম না নিয়েও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন। জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করে বিজেপির হাত শক্তিশালী করছে দলের কিছু নেতা। তাঁর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তীব্র হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার প্রয়োজন আছে। এদিকে দলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ক্ষোভ প্রকাশ করছেন কোচবিহারের দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। সর্বসমক্ষেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি তৃণমূলে আর ফিরবেন না। তবে বিধায়ক হিসেবে তাঁর কাজ তিনি করে যাবেন। দলের সাংগঠনিক সমস্ত পদ থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডাক পেলে তিনি যাবেন, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। ভোট কুশলি প্রশান্ত কিশোরের নেতৃত্বে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের লড়াইকে যথেষ্ট সমালোচনা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। এদিকে ব্যারাকপুরের সাংসদ শীলভদ্র দত্ত দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। পিকের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তিনিও সরব হয়েছেন। সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে, সরাসরি দলত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। সবকিছু নিয়ে চাপ বাড়ছে তৃণমূল শিবিরের। হাসি চওড়া হচ্ছে বিজেপির। আপনার মতামত জানান -