এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনার মধ্যে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বিজেপি ছেড়ে বড় যোগদান তৃণমূলে!অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে

করোনার মধ্যে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বিজেপি ছেড়ে বড় যোগদান তৃণমূলে!অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে

বর্তমান সময়টা একদমই স্বাভাবিক সময় নয়। করোনা মহামারীতে বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা। অন্যান্য সময়ে শাসক এবং বিরোধী একে অপরকে টেক্কা দিতে নানা কৌশল প্রয়োগ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে করোনাকে টেক্কা দেওয়াই সকলের কাছে প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে এবং লকডাউনের কারণে সেভাবে কোনো দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

আর লকডাউনের সময় যখন বিজেপি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যু তুলে ধরে সরব হতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই সেই বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে তাদের দলেরই নেতাকর্মীরা যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসে। যার ফলে করোনা ভাইরাসের এই সময়কালে বিজেপির চিন্তা আরও অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, বুধবার জয়পুর ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং কুচিয়াকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট 52 টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এদিন এই বিশাল যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের মন্ত্রী সহ জয়পুর ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক ইয়ামিন শেখ সহ অন্যান্যরা। কেন তারা হঠাৎ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে জয়পুরের পড়াইরি বুথের সভাপতি বাপ্পাদিত্য ঘোষ বলেন, “নেতাদের মুখে মানুষের পাশে থাকার বড় বড় কথা শুনে আকৃষ্ট হয়ে একসময় বিজেপিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই দুরাবস্থার সময় আসল বন্ধু কে, তা সহজেই চিনতে পেরেছি। তাই তৃণমূলে যোগদান করেছি।” আর লকডাউনের সময় প্রায় 52 টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় এখানে তৃণমূল অনেকটাই উজ্জীবিত হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মন্ত্রী শ্যামলবাবু বলেন, “লকডাউনের মত কঠিন সময় বিজেপি নেতাদের বাস্তবে দেখা যায়নি। শুধু ফেসবুকে বড় বড় কথা বলেছেন। তাই ওই দলের প্রায় আড়াইশো কর্মী এদিন আমাদের দলে যোগদান করেছেন। যদিও বা এই যোগদান পর্বকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির জয়পুর মন্ডল 2 এর সভাপতি মানু চন্দ্র বলেন, “লকডাউনের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জনধন যোজনা থেকে শুরু করে বার্ধক্য, বিধবা সহ একাধিক ভাতার টাকা সরাসরি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে দেওয়া হচ্ছে। এখানে কাটমানি খাওয়ার রাস্তা নেই। তাই তৃণমূল ছেড়ে একসময় বিজেপিতে আসা কোনো কোনো কর্মী কাটমানির আশায় পুনরায় ওদের দলে ফিরেছেন। এতে আমাদের দলের ক্ষতি হবে না। বরং দল শুদ্ধ হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে বিজেপি নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে প্রচুর পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন, তাতে বিজেপি এখানে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে গেল বলে মত বিশ্লেষকদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!