এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কোচবিহারে আর শাসক বিরোধী হাওয়ায় নয়, সাংগঠনিক ক্ষমতায় জিততে মন্ডল কমিটি সাজিয়ে ফেলল বিজেপি

কোচবিহারে আর শাসক বিরোধী হাওয়ায় নয়, সাংগঠনিক ক্ষমতায় জিততে মন্ডল কমিটি সাজিয়ে ফেলল বিজেপি


 

2014 সালের পর 2019 সালে সারা ভারতবর্ষে মোদী ঝড়’ কাজ করেছিল। আর তার ফলে যে ভারতীয় জনতা পার্টি বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তা স্বীকার করে নেন প্রত্যেকেই। বাংলায় তাদের সংগঠন পাকাপোক্ত না হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের ভরকেন্দ্র গুলোতে ফুটে গিয়েছিল পদ্মফুল। আর বিজেপির এই সাফল্যের পেছনে মোদী ম্যাজিক কাজ করেছে বলে মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু রাজনীতিতে 1 থেকে 2 বার, বা খুব বেশি হলে তিন থেকে চার বার, ব্যক্তির উপর ভরসা করে হাওয়ায় ভোটের বৈতরণী পার হওয়া যায়। তবে পরিবারে চলতে গেলে যেমন একতা প্রয়োজন, ঠিক তেমনই ভোটে জিততে গেলে কোনো একটা রাজনৈতিক দলের পাকাপোক্ত সংগঠন প্রয়োজন।

তাই সেদিক থেকে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করা ভারতীয় জনতা পার্টিও চেষ্টা করছিল, তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করবার। সংগঠন দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গে যেভাবে পদ্মফুল ফুটেছে, তাতে সেখানে সংগঠন বৃদ্ধি করলে আগামী 2021 এ শুধুমাত্র ব্যাক্তি ম্যাজিক নয়, নিজেদের ভোটব্যাঙ্কও বৃদ্ধি করা যাবে বলে মনে করেছিল তারা। আর এই পরিস্থিতিতে অবশেষে কোচবিহার জেলায় মণ্ডল কমিটির সভাপতিদের নির্বাচন প্রক্রিয়া সমাপ্ত করল ভারতীয় জনতা পার্টি।

সূত্রের খবর, এদিন কোচবিহার জেলায় বিজেপি 40 টি মণ্ডল কমিটির মধ্যে 38 টি মণ্ডল কমিটির সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে কোচবিহার উত্তর এবং 25 নম্বর জেলা পরিষদ এলাকার মণ্ডল কমিটির সভাপতির নাম এদিন ঘোষণা করা হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিনের এই মন্ডল কমিটি ঘোষণার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় এবং বিজেপি ডিস্ট্রিক্ট রিটার্নিং অফিসার তথা রাজ্য সম্পাদক দীপেন প্রামানিক। আর সেখানেই চল্লিশটি মণ্ডল কমিটির মধ্যে 38 টি মণ্ডল কমিটির সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেন দীপেনবাবু। কিন্তু 38 টি কেন! বাকি দুজনের নাম ঘোষণা করা গেল না কেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই দীপেন প্রামাণিক বলেন, “কিছু নথিপত্র না থাকার কারণে ওই দুটি মন্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা আমরা এদিন করতে পারিনি। তবে খুব দ্রুত সেটা করা হবে। আমরা এদিন দলের 40 জন জেলা পরিষদ সদস্যের নামও ঘোষণা করেছি।” তবে এই মন্ডল সভাপতি ঘোষণার আগে কোচবিহার জেলায় অনেকের মনেই প্রবল চিন্তা বাসা বেঁধেছিল।

কেননা যেভাবে একেকটি মন্ডলের থেকে একাধিক সভাপতি পদপ্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন জমা পড়েছিল জেলা এবং রাজ্যের কাছে, তাতে শেষ পর্যন্ত কোনো একজন সভাপতি হওয়ায় বাকিরা কি পন্থা নেবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। জানা গেছে, যে 38 টি মন্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে 18 জনকে পুনর্বহাল করা হয়েছে। তবে বাকি 20 জনের জায়গায় নতুন মুখ নিয়ে আসা হয়েছে।

সেক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যুব এবং মাঝবয়সী নেতাদের। এদিন এই মন্ডল সভাপতি ঘোষণার পর কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, “আমাদের দলের সাংগঠনিক নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় মন্ডল কমিটি গঠন করা হয়। একইভাবে দলের জেলা পরিষদ সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হল। এর আগে আমরা বুথ কমিটি গঠন করেছি। তার মাধ্যমেই মন্ডল সভাপতিদের নির্বাচন করা হয়েছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচবিহার জেলা বিজেপি নেতৃত্বের মণ্ডল কমিটির সভাপতিদের ঘোষণা থেকেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল যে, বিজেপি এবার নিজেদের সংগঠনের ওপর নির্ভর করে বিধানসভাকে পাখির চোখ করে জয়লাভ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে যদি তখন মোদি হাওয়া নাও থাকে, তাহলেও তারা চেষ্টা করছে নিজেদের ক্যারিশমায় জয়লাভ করতে। তবে নিজেদের সাংগঠনিক দিককে শক্তিশালী করতে কোচবিহার জেলা বিজেপির এই উদ্যোগ কতটা কার্যকরী হয়, সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!