এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খড়গপুরে মার্জিন কমলেও জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, জয়ের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূলও

খড়গপুরে মার্জিন কমলেও জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, জয়ের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূলও

 

প্রচার শেষ। নির্বাচনও শেষ। কিন্তু এখন যাকে কেন্দ্র করে এত প্রচার, এত নির্বাচন, সেই ভোটের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে এলাকাবাসী থেকে ভোট প্রার্থীরা। লোকসভায় বাংলায় অভূতপূর্ব ফলাফল চোখে পড়েছে সকলের। প্রায় সব জায়গাতেই উত্থান ঘটতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। কিন্তু লোকসভার ফলাফলের উপরে ভরসা রেখে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার সাহস দেখাতে পারছিল না ভারতীয় জনতা পার্টি।

তারা মনে মনে প্রার্থনা করেছিল যাতে সেই নির্বাচনের আগে আরও একটা নির্বাচন আসে। যেখানে তারা তাদের শক্তিপরীক্ষা করতে পারে। সেইমত চলেও এল রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। ইতিমধ্যেই করিমপুর, খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে।

আগামী বৃহস্পতিবার এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে। যার আগে এতদিন বিজেপির দখলে থাকা এই খড়গপুর কেন্দ্র কার দখলে যাবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে গত 2016 সালে 6 হাজার ভোটে এগিয়ে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপর যতদিন গিয়েছে, ততই সেখানে বিজেপির উত্থান ঘটেছে।

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়ানো দিলীপ ঘোষ খড়গপুর বিধানসভায় ভোট পেয়েছেন 45 হাজারের মত। তাই সেদিক থেকে বিজেপি আশাবাদী এই কেন্দ্র দখলের ব্যাপারে। কিন্তু প্রথম থেকেই প্রেমচাঁদ ঝাকে প্রার্থী করা নিয়ে যেভাবে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ শুরু হয়েছিল, তাতে তৃণমূল চেষ্টা করছে এই কেন্দ্র নিজেদের দখলে আনবার।

দলীয় প্রার্থী তথা খড়গপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারকে দিয়ে তৃণমূল তাদের হারানো সিট ফিরে পেতে চাইছে। অপেক্ষা আর একদিনের। তার পরেই বোঝা যাবে কার দখলে যাচ্ছে খড়গপুর। তবে তার আগে এখন থেকেই চায়ের ঠেক, খবরের কাগজ সহ বিভিন্ন দোকানে এই ব্যাপারে প্রবল চর্চা শুরু হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, বিজেপিই এই কেন্দ্র দখল করবে। তবে অনেকের আবার আশা, এখানে এবার শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে একাংশ আবার স্বচ্ছ মুখ‌ হওয়ার সুবাদে বাম- কংগ্রেস জোট প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মন্ডলকে এগিয়ে রাখছেন। তবে সাধারণ মানুষের সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান হবে আগামীকাল। কিন্তু তার আগে যে জমজমাটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে খড়্গপুরে, তা উপভোগ করতে চান না কেউই। জয়ের ব্যাপারে তারা কতটা আশাবাদী!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি সমিত দাশ বলেন, “তৃণমূল কয়েকটি জায়গায় ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমরা তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি। সাতটি বুথ থেকে ওরা আমাদের এজেন্টদের তুলে নিয়েছিল। আমরা জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। অন্তত 15 হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হব।” কিন্তু যেখানে তারা লোকসভায় এই খড়গপুর বিধানসভা থেকে 45 হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন, সেখানে বিধানসভা উপনির্বাচনে এত কম কেন! তাহলে কি তাদের সমর্থন ধীরে ধীরে কমে আসছে?

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি বলেন, “লোকসভা আর বিধানসভা ভোট এক নয়। এই নির্বাচনে স্থানীয় কিছু বিষয় থাকে। তাই গত বিধানসভায় আমরা যে ভোটে জয়ী হয়েছিলাম, এবার তার দ্বিগুণ ভোট পেয়ে আমাদের প্রার্থী জয়ী হবেন।” তবে বিজেপি এই কেন্দ্র দখলের ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব প্রকাশ করলেও পাল্টা তার জবাব দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “এবারের নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় বিজেপি ভোট লুট করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মানুষ তা প্রতিহত করে দিয়েছে। এই বিধানসভার মানুষ বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আমরা 15 হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হব।”

অন্যদিকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাত শিবিরও। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন খান বলেন, “খড়গপুর নির্বাচনের আগে শাসকদল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। কিন্তু নির্বাচনে প্রশাসনের ভূমিকা খুবই ভালো ছিল। অধিকাংশ মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন। কত ভোটে জয়ী হব, তা বলা সম্ভব নয়। তবে এটুকু বলতে পারি, জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।”

আর সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী থেকে নেতারা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও, জনতা জনার্দনের রায়ে যে একজনই জয়লাভ করবেন, তা জানেন প্রত্যেকেই। আর তাই এখন মুখে সব কিছু বললেও বাস্তবে ভোটবাক্স খোলার পর ঠিক কোন সমীকরণ এসে উপস্থিত হয় খড়্গপুরে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!