এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সন্দেশখালীর পথেই বাংলা! মমতাকেও তাড়া করবে জনতা, চাপ বাড়ালো বিজেপি!

সন্দেশখালীর পথেই বাংলা! মমতাকেও তাড়া করবে জনতা, চাপ বাড়ালো বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভেবে নিয়েছিলেন, ক্ষমতা বুঝি চিরকালের জন্য। তিনি একবার ক্ষমতায় বসে পড়েছেন, সুতরাং তাকে আর কেউ সরাতে পারবে না। কিন্তু তিনি ভুল করেছিলেন। ক্ষমতার নেশায় ডুবে গিয়ে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে মানুষকে ভয় দেখাতে দেখাতে শেষ সীমায় চলে গিয়েছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাই এবার খেলা ঘুরতে শুরু করেছে। আর সেই খেলা শুরু করে দিয়েছে সন্দেশখালি। যেখানে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে পালিয়ে বাঁচতে বাধ্য হচ্ছেন তৃণমূলের দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতারা। আর মানুষের মধ্যে যখনই সচেতনতার উদয় হয়েছে, তখন যথেষ্ট খুশি বিরোধীরা। তাই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এই রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তিকে দ্বিগুণ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন। আর তার বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আগামী দিনে গোটা বাংলাতেই এইরকম মানুষের বিক্ষোভ দেখতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে? কিন্তু কি এমন বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি!

প্রসঙ্গত, আজ সন্দেশখালিতে মহিলাদের বিক্ষোভ এবং তার ফলে তৃণমূল নেতাদের পড়ি কি মরি অবস্থান নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আজকের সন্দেশখালিতে হচ্ছে, আগামী দিনে গোটা বাংলায় এটা হবে। আজকে ওখানকার তৃণমূল নেতাদের শুনতে হচ্ছে, আগামী দিনে আমি আপনাদের বলে রাখছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চোর, চোর বলে তাড়া করবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাই সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা নিক তৃণমূল কংগ্রেস।” অনেকে বলছেন, বিগত বাম আমলেও সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম থেকে জনতার প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল। আর তারপরেই গোটা রাজ্যের মানুষ জেগে উঠেছিল। তাই তৃণমূল আমলে সেই প্রতিরোধের আগুন জ্বলে উঠেছে সন্দেশখালি থেকে। আগামী দিনে সেই জনতার জাগরণ গোটা বাংলায় লক্ষ্য করা যাবে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বাস্তব কথাটাই সুকান্ত মজুমদার বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এর পরেও যদি তৃণমূলের শুভবুদ্ধির উদয় না হয়, তারা যদি এরপরেও পুলিশ দিয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে এবং এলাকায় সাধারণ মানুষদের কন্ঠরোধ করবার জন্য গুন্ডাদেরকে সামনে রাখে, তাহলে এই শাসকের বিদায় নিতে খুব একটা দেরি নেই বলে মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, তৃণমূলের শেষের সময় চলে এসেছে। এতদিন অনেক পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেবেছিলেন এই ভাবেই সবকিছু চলবে। কিন্তু মানুষ আজকে এই তৃণমূলের ওপর এতটাই বিরক্ত যে, তারা নিজেরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে। সন্দেশখালি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত ছিল। এখানে গুন্ডা শাহজাহানকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এখন মানুষ আর কাউকে ভয় পায় না বলেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। আর তাতে পুলিশ থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতা, সকলেই চুপসে গিয়েছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সন্দেশখালি যা করে দেখিয়েছে, তা সত্যিই বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রচন্ড সাহস না থাকলে করা যায় না। এই তৃণমূল বিগত বাম সরকারের থেকেও ভয়ঙ্কর। তারা যে পরিমাণ অত্যাচার, যে পরিমাণ চুরি, দুর্নীতি করেছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেও ভয় পাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। কারণ প্রতিবাদ করলেই পুলিশ দিয়ে কেস দেওয়া হবে এবং গুন্ডারা বাড়িতে এসে অত্যাচার করবে। তবে বুকে সাহস নিয়ে গতকাল থেকেই সন্দেশখালি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে শুরু করেছে। যে এলাকায় তৃণমূলের এত বাড়াবাড়ি ছিল, সেখানেই সাধারণ মানুষের জনজাগরণ তৃণমূলকে কাগুজে বাঘে পরিণত করেছে। তবে রাজ্যের কোথাও একটা এই ধরনের প্রতিবাদ হওয়া দরকার ছিল‌‌। স্বাভাবিক ভাবেই সন্দেশখালীর এই ঘটনার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষরাও এবার প্রতিবাদী সত্তাকে সামনে রেখে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন। আগামী দিনে সন্দেশখালীর মডেলেই হাঁটবে গোটা রাজ্য। আর তাতেই গুটিসুটি মেরে পালাতে বাধ্য হবেন ফ্যাসিস্ট শাসকের সর্বগ্রাসী নেতা নেত্রীরা। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!