অমিত শাহের সভায় পরিচিত বুদ্ধিজীবীদের উপস্থিতি নিয়ে শাসক- বিজেপির তীব্র তরজা কলকাতা জাতীয় রাজ্য June 25, 2018 রাজ্যের 34 বছরের বামফ্রন্ট সরকারের অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠা করতে পরিবর্তনের পক্ষে রাস্তায় নেমে ছিলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। এবার সেই তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং বাংলায় পদ্ম ফুটাতে বঙ্গ বিজেপির মূল টার্গেট সেই বুদ্ধিজীবী মহলই বলে জানা গেছে, আগামী বুধবার রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেদিন বিকেলে কলকাতার জি ডি বিড়লা সভাগৃহে বাংলার প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে একটি সভা করার কথা রয়েছে তার। কিন্তু আদৌ কি বিজেপি সভাপতির ডাকা এই সভায় উপস্থিত হবেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা? দলীয় সূত্রে খবর, এখনো এই বুদ্ধিজীবীদের আসার ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারেনি এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেছেন শাসকদলের দিকেই।এদিন তিনি বলেন যে, “শাসকদলের সন্ত্রাসের জেরে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন বাংলার একদা পরিবর্তনপন্থী বুদ্ধিজীবীরা।” বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু কটাক্ষের জবাব দিতে মাঠে নেমেছে ঘাসফুল শিবিরও। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, “বাংলার সুশীল সমাজ কৃষ্টি ও সৃষ্টিতে বিশ্বাসী।যারা নাচতে জানে না তারা তো উঠোন বাঁকা বলবেই। তৃণমূল পরিচালিত সরকার সাধারণ মানুষের উন্নয়নে আগ্রহী আর সমাজের বিশিষ্টজনরা সেই কারণেই তৃণমূলের পাশে থাকবেন।” অপরদিকে বিজেপির বুদ্ধিজীবি সেলের আহ্বায়ক পঙ্কজ রায় বলেন, “সমাজের প্রত্যেক বুদ্ধিজীবীকে এই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।” তবে সাথে সাথে তাঁর আশঙ্কা, শাসকদল তৃনমূলের হুমকি উপেক্ষা করে নৈতিক সমর্থন থাকলেও তারা আমাদের সভায় কতটা অংশগ্রহণ করবেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর আগেরবারও ঠিক একইভাবে বঙ্গ সফরের সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বাংলার বুদ্ধিজীবীদের সাথে বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু সেই বৈঠকের আয়োজক হিসেবে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি বর্তমানে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।আর এখানেই শেষ নয় বুদ্ধিজীবীদের তরফে অমিত শাহ এর উদ্যোগে ওই বৈঠকে কোনো সুবক্তা না থাকায় দলীয় স্তরে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। অনেকেরই আশঙ্কা, গতবারের মতোই ফের এবার বুদ্ধিজীবীদের সাথে অমিত শাহর এই বৈঠকে যদি সবুজ সংকেত না আসে তাহলে মুখ পড়বে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির। যা 2019 এর লোকসভা ভোটের আগে প্রবল অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বঙ্গ বিজেপি-র অন্দরে। আপনার মতামত জানান -