পেগাসাস আতঙ্কের জেরে এবার স্মার্টফোন ছেড়ে কিবোর্ড ফোনে ফিরে গেলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন যাবৎ পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে পেগাসাস এর ছোঁয়া বাঁচাতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই স্মার্টফোনকে লিউকোপ্লাস্টার দিয়ে ঢেকে ফেলেছে। অন্যদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও পেগাসাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে সাবধান করেছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে এখন মুখ্য হয়ে উঠেছে পেগাসাস এর মতন স্পাইওয়্যার এড়ানো। সেক্ষেত্রে দিদির নির্দেশের দিকে নজর রেখে এবার নিজের স্মার্টফোন ছেড়ে পুরনো কিপ্যাড ফোনে ফিরে গেলেন হাবড়ার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কার্যত বর্তমানে তিনি যেভাবে মন্ত্রীত্ব সামলাচ্ছেন ঠিক সেভাবেই জেলার সংগঠনও সামলাচ্ছেন। এই দুই কাজ করতে অন্তত তাকে 5 টি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে হতো। কিন্তু ইদানিংকালে পেগাসাস বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ায় এবং দিদির নির্দেশ মেনে চলার দিকে ইঙ্গিত রেখে তিনি তাঁর স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করে দিলেন। কথা বলার জন্য তিনি আবার পুরনো পন্থায় ফিরে গিয়েছেন অর্থাৎ কিপ্যাড ফোন ব্যবহারে আবার সক্রিয় হলেন। তবে জানা গিয়েছে, সবকটি স্মার্টফোন তিনি বাতিল করলেও একটিকে নিজের কাছে রাখছেন। কারণ ফেসটাইম অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য স্মার্টফোনের প্রয়োজন। স্মার্টফোন যত বেশি সহজলভ্য হয়ে উঠেছে, ঠিক সেভাবেই পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের স্পাইওয়্যার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর মন্ত্রী-সাংসদদের ফোনে এবার আড়ি পাততে ব্যবহার করা হয়েছে পেগাসাস সফটওয়্যার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ছোট ফোন ব্যবহার করলেও তিনি কোনো রকম অসুবিধার সম্মুখীন হবেন না। যদি দপ্তরের আধিকারিক কিংবা দলের কারোর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি ফোন করে ডেকে নেবেন কিংবা নিজেই পৌঁছে যাবেন সেক্ষেত্রে বলে জানান বনমন্ত্রী। অন্যদিকে স্মার্টফোন থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার অত্যন্ত বেশি হচ্ছিল, সে কথা স্বীকার করেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। সাবধানতা অবলম্বনে স্মার্ট ফোন ছেড়ে কিপ্যাড ফোনটি বেছে নিলেও রাজ্যের বনমন্ত্রী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার যে বেশ কিছু সুবিধা হয়েছিল, সে কথা মেনে নিয়েছেন। তবে এবার থেকে কাউকে কিছু নির্দেশ দিতে গেলে চিঠি দিয়ে তিনি নির্দেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে পেগাসাস আতঙ্ক যে এখন রাজনৈতিক অন্দরমহলে বেশ ভালোই চেপে বসেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত পেগাসাস এর সহায়তায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকি প্রশান্ত কিশোরের ফোনেও আড়িপাতা হয়েছিল বলে শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় নজরদারির হাত থেকে বাঁচতে শুধু বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নন, কার্যত রাজ্যের মন্ত্রীসভার অনেকেই এবার পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে আসার কথা মনে করছেন। আপনার মতামত জানান -