এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার মন্ত্রীর এ কোন রুচি! রোগী মৃত্যুর পরেও সামান্য লজ্জা নেই, সিদ্দিকুল্লার বিরুদ্ধে সোচ্চার বিজেপি!

মমতার মন্ত্রীর এ কোন রুচি! রোগী মৃত্যুর পরেও সামান্য লজ্জা নেই, সিদ্দিকুল্লার বিরুদ্ধে সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এরা কি আদৌ মন্ত্রী? মন্ত্রী বলে কি এদের আদৌ পরিচয় দেওয়া যায়? সেই যোগ্যতা কি এদের রয়েছে! না, এটা শিক্ষাগত যোগ্যতা নয়। এই যোগ্যতা মানবতার যোগ্যতা, মনুষ্যত্বের যোগ্যতা। মন্ত্রী, প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তা, এই সমস্ত তো অনেক দূরের কথা। একজন মানুষ হিসেবে কেউ কি কাউকে এই ধরনের কথা বলতে পারেন? সেখানে মন্ত্রী সাহেব বামনগোলার ঘটনায় বলে বসলেন, ভাগ্যে ছিল, তাই নাকি মৃত্যু হয়েছে। এখন সকলেই বলবেন যে, কে এই কথা বলেছে? এই উক্তি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বামনগোলার ঘটনা গোটা রাজ্যের মানুষের সামনে চলে এসেছে। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, এই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর! আর একজন মন্ত্রী হয়ে সেই ঘটনার নিন্দা করা তো অনেক দূরের কথা। সাফাই গাইতে গিয়ে উল্টে এমন একটা ভাব দেখালেন সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব, যেন যা হয়েছে সেটা স্বাভাবিক বিষয়। তার সরকারের কোনো দোষ নেই, তারা যেন ধোঁয়া তুলসীপাতা।

প্রসঙ্গত, এদিন মালদহের বামনগোলায় একটি অসুস্থ মহিলাকে মাচায় করে দুই ব্যক্তি প্রায় 11 কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যেখানে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এত উন্নত, সেখানে এই দৃশ্য বেমানান বলেই দাবি করেন সকলে। এমনকি এই ভিডিও সামনে আসার পর বিরোধীরাও নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই সেই মহিলাকে মৃত বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অনেকে বলছেন, যদি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঠিক পরিকাঠামো থাকত, যদি গাড়ি পাঠানো যেত, যদি অ্যাম্বুলেন্স থাকত, তাহলে এই মহিলা হয়ত তার প্রাণ ফিরে পেতেন। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এক আজব বক্তব্য রাখলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভাগ্যে ছিল, তাই মৃত্যু হয়েছে।” একবার ভেবে দেখুন তো? একজন মন্ত্রীর কাছ থেকে কি এই বক্তব্য কাম্য? ছেড়ে দিন, তিনি মন্ত্রী নন। কিন্তু একজন সাধারন মানুষও কি এই কথা বলতে পারেন? সামান্য মনুষ্যত্ববোধ এই রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে নেই। সামান্য বিবেকবোধ তাদের মধ্যে নেই। তাদের সবটাই ভালো, সবটাই সেরা, এটা প্রমাণ করতে গিয়ে নিজেকে কান্ডজ্ঞানহীন এবং দেউলিয়া হিসেবে প্রমাণ করলেন সিদ্দিকুল্লা সাহেব বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, সিদ্দিকুল্লা সাহেব মন্ত্রী নন, তিনি এই বক্তব্য রেখে নিজেকে অমানুষ হিসেবে সকলের সামনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজেদের দোষ ত্রুটি কিছুই মানতে চাইছেন না এই রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা। আসলে ঝাড় যেমন, বাঁশ তো তেমনই হবে। আর সিদ্দিকুল্লা বাবুদের তো এখন মেরুদন্ড বলতে কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রীকে তো খুশি থাকতে হবে। তাই এই রাজ্যের খারাপ কিছু বলা যাবে না। আর সেই কথা বলতে গিয়ে নিজেকে একেবারে দায়িত্ব জ্ঞানহীন হিসেবে সকলের সামনে তুলে ধরলেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। অবিলম্বে এই বক্তব্যের জন্য মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। মানুষের চোখের জল নিয়ে ফুর্তি করার দিন শেষ। এই সমস্ত মানুষকে চিনে নিয়ে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হন জনতা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, এই রাজ্যে ভালো কাজ বলতে আজকে আর কিছু হয় না। আর যে সমস্ত খারাপ দৃশ্য রাজ্যের মাটিতে প্রতিদিন প্রতি সেকেন্ডে মানুষ লক্ষ্য করছে, সেখানেও রাজ্য সরকার নিজেদের গা থেকে সমস্ত দোষ ঝেড়ে ফেলতে চায়। হয়তো একটা সরকার রাজ্যে আছে। কিন্তু তারা নাম কে ওয়াস্তে। কাজের কাজ তাদের দ্বারা কিছুই হবে না। আজকে মালদহের মাটিতে এই ধরনের একটা অমানবিক ঘটনা ঘটে গেল, তারপরেও মন্ত্রী ভাগ্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বিতর্ক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই সমস্ত নির্লজ্জপনা দেখে রীতিমত বিরক্ত রাজ্যের সাধারণ মানুষ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!