এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বন সহায়ক পদে চাকরির জন্য লক্ষ লক্ষ আবেদন, সক্রিয় দালালচক্র? তড়িঘড়ি কোনোরকমে শেষ ইন্টারভিউ?

বন সহায়ক পদে চাকরির জন্য লক্ষ লক্ষ আবেদন, সক্রিয় দালালচক্র? তড়িঘড়ি কোনোরকমে শেষ ইন্টারভিউ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে দেশে চাকরির অবস্থা যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে একটি চাকুরীযোগ্য ছেলে বা মেয়ের কাছে যেকোন চাকরি জোগাড় করাটাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বস্তুত, করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন এতোসব কিছুর মধ্যে দেশের অর্থনীতি যেভাবে ভেঙে পড়েছে, তাতে চাকরির বাজার যে অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। তাই উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি।

এমন পরিস্থিতিতে যদি আসে কোন চাকরির সুযোগ, তবে সেই চাকরি হাতছাড়া করতে চাইবেন না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বন সহায়ক পদে চাকরির জন্য আবেদনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৮০০০। পূর্ব মেদিনীপুরের বন সহায়ক পদের জন্য আবেদনকে কেন্দ্র করে দালালচক্র থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ সবকিছু সামলাতে তাই হিমশিম খেয়েছেন বনদপ্তরের কর্তারা।

জানা গেছে, মাত্র ১৫ দিনেই চাকরির ইন্টারভিউ শেষ করে সামনের মাস থেকে যাতে প্রার্থীরা নিজেদের কাজে যোগ দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই ষষ্ঠীর মধ্যেই সমস্ত ইন্টারভিউ শেষ করার এই প্রক্রিয়ায় কার্যত নাজেহাল অবস্থা বনদপ্তরের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ৫ই অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইন্টারভিউতে প্রথমে ৪০০ জন প্রার্থীকে ডেকে পাঠানো হলেও, পরবর্তীকালে তা বাড়িয়ে যথাক্রমে ৬০০, ৮০০ এবং ২১০০ করা হয়। এরপর ১৯শে অক্টোবর সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ৩০০০জনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এত প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য ৮টি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তার মধ্যে দুটি বোর্ডে ছিলেন ডিএফও অনুপম খান এবং এডিএফও বলরাম পাঁজা। এছাড়া অন্যান্য গ্রুপ সি কর্মীরাও ইন্টারভিউয়ের জন্য দায়িত্ব পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সারা রাজ্যে ২০ হাজার পদে কর্মী নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল।

তবে ষষ্ঠীর দিনে ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে কারণ হিসেবে অনুপম খান জানিয়েছেন, পুজোর ছুটির আগেই সমস্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ ছিল, আর সেই মতোই তারা কাজ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শেষের দিকে তাই ইন্টারভিউয়ের জন্য অনেক বেশি সংখ্যক আবেদনকারীকে ডাকা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। তবে যারা ইন্টারভিউতে ছিলেন, তারা প্রত্যেকেই এই বিষয়ে যথাযথ সহযোগিতা করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, এই পদের জন্যই প্রায় কুড়ি লক্ষ আবেদন পড়ে। যেখানে অস্থায়ী পদ এবং প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা বেতনের জন্য জমা পড়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ থেকে শুরু করে পিএইচডি করা উচ্চশিক্ষিত বেকারদের আবেদন। আর তারই মধ্যে শুরু হয় তাই দালালচক্র। চাকরি টোপ দেখিয়ে দালালচক্রের কার্যকরী হয়ে ওঠার খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

তাই যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ১৮০০০ আবেদনকারীর মধ্যে থেকে ৯ হাজার জনকেই ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তবে এরই মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে অনেকে আসতে পারেননি এবং মাত্র ১০টি পদের কথা ভেবে অনেকেই চাকরি পাওয়ার আগ্রহ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে কোন লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই আবেদনকারীরা ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এরই মধ্যে অধঃস্তন কর্মীদের ইন্টারভিউ এর সঙ্গে সঙ্গে স্পেশাল ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!