এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে রাজ্যে সরকারের নতুন নির্দেশিকায় তীব্র আলোড়ন

শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে রাজ্যে সরকারের নতুন নির্দেশিকায় তীব্র আলোড়ন

এই মাসেই রাজ্যের প্রতিটি জেলায় স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বদলির বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছ সরকার। আর যা নিয়ে চরম আলোড়ন সৃষ্ঠি হয়েছে শিক্ষামহলে।  কি আছে সেই নির্দেশিকায়? সূত্রের খবর, সরকারের তরফে জেলায় জেলায় পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শিক্ষার স্বার্থে, প্রশাসনিক কারনে বা জনস্বার্থে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষক/ শিক্ষিকাকে বদলি করা হতেই পারে। আর এই ঘটনার পরই তৃনমূল প্রভাবিত শিক্ষক হংগঠনের তরফে এই বিজ্ঞপ্তিকে স্বাগত জানালেও অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনের দাবি, এই বদলির মাধ্যমেই বিরোধীদের কন্ঠরোধের চেষ্টা করছে সরকার। সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কথায়, 4 জুন এই নির্দেশিকা তাদের জেলায় পৌছোয়। সুত্রের খবর, বদলির পাশাপাশি এই নির্দেশিকায় বলা আছে,বদলি সংক্রান্ত নির্দেশে  সেই শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মীকে ঠিক কোন স্কুলে বদলি করা হবে সেই জয়েনিং এর দিন ও সময় সেখানে উল্লেখ করা থাকবে। পুরোনো স্কুল থেকে রিলিজ নেওয়ার তিন দিনের মধ্যেই তাদের যোগ দিতে হবে নতুন স্কুলে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এমনকী এই শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মীরা যে স্কুলে যোগ দেবেন সেখান থেকেই জয়েনিং লিভের টাকা পাবেন। আর সবশেষে লেখা আছে, কারও বদলি নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হলে তা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনারের কাছে। জানা গেছে, এই বদলির নির্দেশিকায় খুশি শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকেরা। কারন হিসাবে তারা বলছেন, বহু স্কুলে ছাত্র অপেক্ষা বেশি শিক্ষক রয়েছে। তাই সেই অতিরিক্ত শিক্ষকদের এই নতুন আইনের ফলে বেশি পরিমান ছাত্র যেখানে রয়েছে সেখানে পাঠানো সহজ হবে। অন্যদিকে ওয়েষ্টবেঙ্গল তৃনমূল সেকেন্ডারি অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি অনুপকুমার ভট্টাচার্য সরকারের এই নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এই নির্দেশিকার বিরোধীতা করে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির জেলা সম্পাদক পূর্নচন্দ্র দাস বলেন, ” বাড়ি থেকে দূরে বদলির ভয় দেখিয়ে অন্যায় ও দুর্নীতির প্রতিবাদ থেকে শিক্ষকদের সরিয়ে আনাই এই নির্দেনিকার মূল লক্ষ। তাই সরকারের এই নির্দেশিকার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” আর এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক বিকাশ মন্ডল আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, ” বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধ্বংস করৃর যে নতুন নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে তা এই নির্দেশিকার মাধ্যমেই পরিস্কার।” সব মিলিয়ে সরকারের শিক্ষা দপ্তরের তরফে নতুন এই নির্দেশিকায় রাজনৈতিক তরজা চরমে

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!