এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভার রেকর্ড সংখ্যক দপ্তরের বরাদ্দ গিলোটিনে যাবার সম্ভাবনা, তীব্রভাবে সরব বিরোধীরা

বিধানসভার রেকর্ড সংখ্যক দপ্তরের বরাদ্দ গিলোটিনে যাবার সম্ভাবনা, তীব্রভাবে সরব বিরোধীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃতীয়বারের তৃণমূল সরকার গঠনের পর শুরু হয়েছে বিধানসভার প্রথম বাজেট অধিবেশন, আজই এই অধিবেশন শেষ হতে চলেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এবার বিধানসভার রেকর্ড সংখ্যক দপ্তরের বরাদ্দ গিলোটিনে চলে যাবার সম্ভাবনা আছে। এই সমস্ত দপ্তরের বাজেট কোনরকম আলোচনা না করেই পাস করতে চলেছে সরকার। যে ইস্যুতে তীব্রভাবে সরব হয়ে উঠেছে বিরোধী শিবির। আজ অল্পকিছু বাজেট নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে, বাকি সমস্ত দপ্তরের বাজেট চলে যাবে গিলোটিনে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে বিধানসভার রীতিনীতি না মেনেই একতরফাভাবে বাজেট পেশ করে চলেছে রাজ্য সরকার। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সমস্ত দপ্তরের বাজেট নিয়ে সবসময় আলোচনা হয় না। গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের বাজেট নিয়েই আলোচনা বা বিতর্ক হয়ে থাকে।

এবার বিধানসভার ৪৮ টি দপ্তরের মধ্যে ৪৬ টি দপ্তরের বাজেট চলে যাচ্ছে গিলোটিনে। গতকাল বিএ কমিটির বৈঠকে বাজেট নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, নারী ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের বাজেট নিয়ে আলোচনা চলবে এক ঘন্টা, অন্যান্য দপ্তরগুলোর বাজেট এক ঘন্টার মধ্যে আলোচনা শেষ হবে, এগুলিকে ফেলা হবে গিলোটিনে। গত বছরও এমন দেখা গিয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ছাড়া অন্যন্য দপ্তরের বাজেই নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা বা বিতর্ক হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ইস্যুতে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বকে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি পরিমাণে দপ্তর যেতে চলেছে গিলোটিনে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে বিধানসভার রীতিনীতি না মেনেই একতরফা ভাবে চলতে চাইছে রাজ্য। তবে, রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মূল বাজেট গুলি নিয়ে বিতর্ক চলছে, সমস্ত দপ্তরের বাজেট নিয়ে কখনোই বিশদ আলোচনা চলে না, বেশ কিছু দপ্তরের বাজেট একসঙ্গে পাস করা হয়ে থাকে বিধানসভায়।

এদিকে, বাজেট অধিবেশনে বিএ কমিটির বৈঠকে বিজেপি বিধায়কের যোগদান করতে দেখা যায়নি। এ কারণে বিরোধীশূন্য অবস্থাতেই বিধানসভার কার্যকরী উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল গতকাল। যেখানে বহু দপ্তর দপ্তরের বাজেটকে গিলোটিনে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আবার, ইতিপূর্বে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সূর্যকান্ত মিশ্র প্রমুখরা বাজেট বিতর্কে অংশগ্রহণ করেননি। অর্থনীতির বিষয়ে অভিজ্ঞ যারা, তাঁরাই বাজেট বিতর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এবারের বাজেটেও বিজেপির বিধায়ক ও অর্থনীতিবীদ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অশোক লাহিড়ীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল।

এবারের বাজেট প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, তাঁদের দাবি করা মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিধানসভায় আলোচনার অনুমতি দেননি। বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ কম করে দেয়া হচ্ছে। আমরা ২৩৫ এর মত এখন ২১৩ এর দম্ভে চলেছে রাজ্য সরকার। যারা সব কথায় ক্ষমতা দেখাতে চান, তাঁরাই আলোচনার সূচি ঠিক করে নিচ্ছেন। এ কারণেই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি তাঁরা।

শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের জবাবে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বিরোধীদের কোনো উৎসাহ নেই। কাগজে বিভিন্ন জিনিস লিখে নিয়ে এসে বাইরে হইচই করতেই বিরোধীরা পছন্দ করেন। পরিষদীয় রীতিনীতি তাঁরা জানেন না, জানতেও চান না। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এ বছর বাজেট বিতর্কে বিরোধী দলনেতা অংশগ্রহণ করেননি, সেটাও একটা ঐতিহাসিক ঐতিহাসিক ব্যাপার। তবে, ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবারের মতো গিলোটিনে যাওয়া দপ্তরের সংখ্যা ইতিপূর্বে কখনো দেখা যায়নি, যা এক কথায় বেনজির।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!