এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তারুণ্যের ওপরেই জোর, অভিষেকের চোখ দিয়েই সংগঠনকে সাজাতে চান মমতা, একাধিক রদবদলের জল্পনা!

তারুণ্যের ওপরেই জোর, অভিষেকের চোখ দিয়েই সংগঠনকে সাজাতে চান মমতা, একাধিক রদবদলের জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতা দখল করার পরেই সংগঠনের দিকে বেশি করে মনোযোগী হতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা দখলের পর তাদের নেক্সট টার্গেট 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করা। আর সেই কারণেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তারলাভ করাতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তরুণ তুর্কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধু তাই নয়, সংগঠনে ‘এক ব্যাক্তি এক পদ’ নীতি কার্যকর করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিক থেকে কেউ একটির বেশি পদে থাকতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে যারা সংগঠনের শীর্ষ পদে এবং মন্ত্রী রয়েছেন, তাদেরকে যে কোনো একটি পদ থেকে সরে যেতে হবে, দলের শৃঙ্খলা অনুযায়ী এটাই নিয়ম।

আর এই পরিস্থিতিতে একাধিক রদবদল হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। যেখানে একাধিক জেলার সংগঠনের মাথা পরিবর্তন করা হতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেক রাঘববোয়ালদের ডানা ছাটা হতে পারে বলেও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। তবে এবার সংগঠনের রদবদলে সবথেকে বেশি প্রাধান্য পাবে যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এক্ষেত্রে দলকে আগামী দিনের জন্য আরও চনমনে করে তুলতে যুবদের ওপরেই সবথেকে বেশি ভরসা রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই খুব তাড়াতাড়ি দলের সংগঠন ঢেলে সাজাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে বড় রদবদল হতে পারে। সেদিক থেকে প্রায় একগুচ্ছ জেলার সভাপতি পরিবর্তন করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ যারা সরকারি বড় বড় পদে রয়েছেন এবং জেলার সাংগঠনিক শীর্ষ পদে রয়েছে, সেই সমস্ত জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের সরিয়ে সেখানে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে ‘এক ব্যক্তি এক পদ নীতি’-কে মান্যতা দিয়ে তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, প্রায় 10 থেকে 12 টি জেলার সভাপতি পরিবর্তন করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দলের শীর্ষ পদে থাকা নেতা-নেত্রীদের নিয়ে কিছুটা হলেও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ কিমের মত নেতারা যেমন মন্ত্রী, ঠিক তেমনই তারা সংগঠনের শীর্ষ পদেও রয়েছেন। তাই “এক পদ এক নীতি” যদি কার্যকর করা হয় তাহলে তো পার্থবাবু থেকে শুরু করে ফিরহাদবাবুদের যে কোনো একটি জায়গা ছাড়তে হবে। তাহলে তাদের ক্ষেত্রে কি সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল, তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।

তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ধীরে ধীরে গোটা বিষয়টি পরিবর্তন করা হবে। একবারে ঝটকা দিলে অনেকেই তা মেনে নিতে পারবেন না। তাই জেলাস্তরে পরিবর্তন করে ধীরে ধীরে রাজ্যস্তরে সেই নীতি লাগু করবে দল। তবে খুব তাড়াতাড়ি যে বিশাল মাপের একটি পরিবর্তন দলীয় সংগঠনে হতে চলেছে, তা বলাই যায়। একাংশ বলতে শুরু করেছেন, এই পরিস্থিতিতে 2024 এর লোকসভা নির্বাচন এখন সবথেকে বড় প্রধান বিষয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর সেই কারণেই তারুণ্যের উপর ভরসা রেখে সংগঠনকে আলোচনা করে তুলতে একাধিক রদবদলের কথা চিন্তা করতে শুরু করেছেন তিনি।

তবে সংগঠন পরিবর্তন হোক বা দলের নীতি গ্রহণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এখন তার অনেকটাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ছেড়ে দিয়েছেন, সেই ব্যাপারেও কার্যত একমত বিশেষজ্ঞরা। তবে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলার রদবদলের কাদের কাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে এবং কাদের ডানা ছাটা যায়, তা নিয়ে তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের মধ্যে পারদ ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!