এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে আটকাতে কি মমতার ভরসা মদন!

শুভেন্দুকে আটকাতে কি মমতার ভরসা মদন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মুকুল রায়, মদন মিত্র সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্দিনের সঙ্গী। কিন্তু এই তিনটে নামের মধ্যে দুটি নাম এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ টিমে নাম লিখিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মদন মিত্র এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের রয়েছেন। জোরদার ব্যাটিং করে চলেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে।

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লেখানোর পর যেন তার সেই ব্যাটিংয়ের জোর আরও বেড়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকাতে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পুরনোদিনের সঙ্গী মদন মিত্রের উপর আবার ভরসা রাখতে চলেছেন, এখন এই জল্পনা তৈরি হতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বস্তুত, একসময় সারদা কাণ্ডের জন্য শ্রীঘরে যেতে হয় এই মদন মিত্রকে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু শ্রীঘরে যাওয়ার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ওপর ভরসা রেখে তাকে কামারহাটিতে প্রার্থী করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করে নেন তিনি। পরবর্তীতে জেল থেকে বেরোনোর পর তাকে ভাটপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হলেও, শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে হয় তাকে। আর তারপর থেকে ক্রমাগত তৃণমূলে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েন মদন মিত্র বলে দাবি করে একাংশ।

তবে কখনও নেত্রী বা দলের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়নি তাকে। সাম্প্রতিক কালে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার পর সেই মদন মিত্র তার বিরুদ্ধে আরও বেশি করে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। নানা সভা-সমিতি থেকে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আর এর ফলে পুরোনো দিনের মদন মিত্রকে আবার দেখতে শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই এখন গুঞ্জন তৈরি হতে শুরু করেছে, তাহলে কি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করার পর দলের পুরোনো কর্মীদের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে পুরনো দিনের নেতা হিসেবে পরিচিত মদন মিত্রকে সামনে নিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি কর্মীদের বার্তা দিতে চাইছেন যে, তৃণমূলের প্রকৃত সম্পদরা এখনও দলের প্রতি আনুগত্য পোষণ করছেন!

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মুকুল রায় যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম থেকে ছিলেন, ঠিক তেমনই ছিলেন মদন মিত্র। তবে সারদাকাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই ধীরে ধীরে শাসক দলের মূল স্তরের রাজনীতির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে মদনবাবুর। কিন্তু এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট নেতাকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পুরোনো নেতাকর্মীদের মধ্যে যাতে ভয় গ্রাস না করে, তার জন্য অক্সিজেন যোগানোর কারণ হিসেবে মদন মিত্রকে সামনের সারিতে আনতে শুরু করেছেন। তবে মদন মিত্রকে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে যদি চাপে ফেলার চেষ্টা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে তা কতটা সম্ভব হবে, তা নিঃসন্দেহে সংশয়ের কারণ রাজ্য রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!