এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বাংলায় লোকাল ট্রেন চালু হওয়া নিয়ে হয়ে গেল বড়সড় সিদ্ধান্ত, শীঘ্রই আসছে নয়া টাইম টেবিল!

বাংলায় লোকাল ট্রেন চালু হওয়া নিয়ে হয়ে গেল বড়সড় সিদ্ধান্ত, শীঘ্রই আসছে নয়া টাইম টেবিল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ আছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা, যা নিয়ে ক্ষোভ করছেন অনেকে। শেষপর্যন্ত, করোনাকালীন সময়ে লোকাল ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল সোমবার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের। গতকাল এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো নবান্নে। এই বৈঠকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এলো, যার মধ্যে একটি হলো অর্ধেক সংখ্যার যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করতে ইচ্ছুক রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী বৃহস্পতিবার আবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বসতে চলেছে রাজ্যের সঙ্গে রেল। কবে থেকে, কিভাবে, কটি করে ট্রেন চালু হবে, তা আগামি বৈঠকে নির্ধারিত হবে। রাজ্য চাইছে অফিসের সময় বেশি করে ট্রেন চালাতে, যার ফলে উপকৃত হবেন অফিস যাত্রীরা।

প্রসঙ্গত, আনলক পর্বে মেট্রো, বিমান, বাস পরিষেবাগুলি চালু হলেও দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ আছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বহু যাত্রীকে। এদিকে রেল কর্মীদের সার্ভিস স্পেশাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে গিয়ে বেশ কয়েকবার গোল বেঁধেছে । অনেক সময় সার্ভিস স্পেশাল ট্রেনে উঠতে গিয়ে রেল পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধেছে সাধারণ যাত্রীদের। গত শনিবার হাওড়া স্টেশনে যা দেখা গেল। গতকাল সোমবার আবার এক প্রস্থ গন্ডগোল হলো।

গতকাল হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি স্টেশনে ১২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। জি টি রোড পর্যন্ত অবরোধ করে দেয়া হলো। যার ফল ভুগতে হলো, প্রায় গোটা হুগলি জেলাকেই। আবার গত শনিবার রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে রেলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী একটি চিঠি দিয়েছিলেন। গতকাল ছিল এই বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পরিবহন সচিব ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে রেলের আধিকারিকদের বৈঠক হলো। এই বৈঠকে রেল জানালো যে, রেলের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে।সাধারণ ভাবে, একটি লোকাল ট্রেনে ১২০০ জন যাত্রী বসে যাতায়াত করতে পারেন। রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিষেবা চালু হবে।

এদিকে স্বাভাবিক সময়ে শিয়ালদহ থেকে ৯১৫ টি ও হাওড়া থেকে ৪০৭ টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে থাকে রবিবার বাদে প্রতিদিন। গতকালের বৈঠকে রেল কর্তারা জানালেন, সম্প্রতি রেলের মোট সংখ্যার ১০ – ১৫ শতাংশ ট্রেন নিয়ে রেল পরিষেবা চালু করা হবে। কিছুদিন পর তা ২৫ শতাংশ করা যেতে পারে। গতকালের এই বৈঠক শেষে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ” যাত্রীস্বার্থে ট্রেন পরিষেবা চালু করতে হলেও অতিমারির পরিস্থিতি এখনও রয়েছে। তাই ট্রেন চালানোর সঙ্গে কোভিডের সুরক্ষাবিধিগুলি মেনে চলা বিশেষ জরুরি। রেল কর্তৃপক্ষ গোটা প্রস্তুতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে চূড়ান্ত পরিকল্পনার জন্য আগামী ৫ নভেম্বর বিকেলে ফের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগামী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে স্থির করা হবে, কোন রুটে, কোন সময়, কোন ট্রেন চালানো হবে। সেইসঙ্গে কতগুলি ট্রেন অল স্টপ বা কতগুলি গ্যালপ করা হবে, তাও স্থির করা হবে আগামী বৈঠকে। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, শারীরিক দূরত্ব, থার্মাল স্ক্যানিং, জীবানুনাশক, মাস্ক ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনে আগমন-প্রস্থানের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশ সহায়তা করবে রেল পুলিশকে। সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন কিভাবে চালানো হবে, তা আগামী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা করবেন রেল কর্তারা।

সম্প্রতি, দেশের বেশ কিছু স্থানে লোকাল ট্রেন চলাচল করলেও সেখানে ট্রেনে উঠতে পারেন জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই একমাত্র। এই রাজ্যে এরকম ব্যবস্থা চালু করা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আবার মেট্রোর মতো টিকিটের পরিবর্তে, রেলের পুরনো টিকিট পদ্ধতিই রাখা হচ্ছে। তবে যাত্রী অধিক হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে ।

গতকালের বৈঠকে স্থির হয়েছে, লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার পর ভিড় কেমন হচ্ছে, তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। আবার লোকাল ট্রেন চালু হলে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে কিনা সেদিকেও দেখা হবে।অনেকেই মনে করছেন, লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হলে মেট্রো ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই মেট্রো ট্রেন বারবার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে গতকালের বৈঠকে অনেকেই আশা করেছিলেন যে, লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালুর দিনক্ষণ এই বৈঠকে নির্ধারিত হতে চলেছে। কিন্তু তা না হাওয়ায় অনেকেই হতাশ। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর এর পক্ষ থেকে রঞ্জিত শূর জানালেন যে, অল্প ট্রেন চালালে সমস্যার সমাধান হবে না। বেশি করে ট্রেন চালানোর প্রয়োজন আছে। এছাড়াও হকারদের যেন উচ্ছেদ না করা হয়, সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!