রাজধর্ম পালনে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যপ্রার্থী স্বয়ং যোগগুরু বাবা রামদেব! পুরোটা জনালে চমকে যাবেন কলকাতা জাতীয় নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য December 23, 2018 বর্তমানে দেশের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে সরাতে তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করতে নবান্নে আসছেন প্রায় প্রতিটি অ-বিজেপি দলের নেতা-নেত্রীরাই। এবারে তাঁর শরণাপন্ন হলেন যোগগুরু বাবা রামদেবও। তিনি আর কেউ নন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দেশের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করতে এলেও বাবা রামদেবের উদ্দেশ্য কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। সূত্রের খবর, গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোবিন্দপুরে এক বেদ পাঠশালার সূচনা করতে আসেন যোগগুরু। আর সেই অনুষ্ঠান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই বেদের উন্নতির জন্য সাহায্যের আর্জি জানান তিনি। এদিন যোগগুরু বাবা রামদেব বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের বাজেটের কিছু অংশ বেদ পাঠশালার জন্য রাখতে বলব। এই রকম পাঠশালাকে সরকারের সাহায্য করা উচিত। এটা এক ধরনের রাজধর্ম”। এদিন বাবা রামদেবের এই অনুষ্ঠানে যোগ গুরুর কাছ থেকে শরীরকে ফিট রাখার জন্য টোটকা শুনতে প্রচুর সাধারণ মানুষ সেখানে উপস্থিত হন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে বাবা রামদেবকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জেরে অনেকেই তাঁর ধারেকাছে ঘেষতে পারেননি। তবে দর্শকেরা এদিন যোগগুরুর বেদ প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বেশ মনোযোগ সহকারেই শোনেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। বেদ এমন একটা বিষয় যেখানে অঙ্ক, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মত সমস্ত বিষয়ের ছোঁয়া রয়েছে। তাই এই বেদকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বাবা রামদেব। তিনি বলেন, “একসময় ভারত সারা বিশ্বের শীর্ষে ছিল। কিন্তু এখন পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ঢুকে পড়ায় আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলতে বসেছি”। হিন্দু পুরোহিতদের অনেকেই টিকি না রাখায় সেই ব্যাপারে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের স্কুলগুলির পাঠ্যক্রমে যোগ বিষয়কে অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবিও জানিয়েছেন যোগগুরু। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যোগ সিলেবাসে ঢুকলে এবং এটি যদি অভ্যাসে থাকে তাহলে সকলেই সুস্থ থাকবেন”। এদিকে কদিন আগেই দেশের অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে নাসিরুদ্দিন শাহের মন্তব্যেরও এদিন কড়া সমালোচনা করেছেন বাবা রামদেব। তিনি বলেন, “আমি মনে করি দেশের রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা আছে এবং তা শিখরে উঠেছে। কিন্তু ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা আমি এই দেশে কখনো দেখিনি। আর যদি কেউ ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কথা বলে তাহলে তা দেশের গৌরবের প্রতি আঙুল তোলার সমান”। আপনার মতামত জানান -