এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্বের, সরাসরি রিপোর্ট পাঠানোর ভাবনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে

পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্বের, সরাসরি রিপোর্ট পাঠানোর ভাবনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে


কিছুদিন আগেই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে সংসদে বিল পাস করেছে কেন্দ্র। আর এই 370 ধারা অবলুপ্তির পরই তার আনন্দে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়েছিল। আর এবার সেই মিছিল পুলিশ রুখে দেওয়ায় পুলিসের ভূমিকায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব।

তবে বিষয়টিকে হালকা করে দেখতে নারাজ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গেছে, মালদহের বিজেপি সাংসদ মারফৎ এই রিপোর্ট সরাসরি জমা পড়তে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে।

যে রিপোর্টে মালদহের বেশ কয়েকজন পুলিস আধিকারিকের নাম এবং তাঁদের পুরানো কাজকর্ম উল্লেখ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ মালদহের পুলিস আধিকারিকরা। তবে রাজ্য পুলিশের এই আধিকারিকদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে বলে দাবি একাংশের।

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বাইক মিছিল করতে চেয়েছিলাম। দেশের সংসদের দু’টি কক্ষই এই সিদ্ধান্তকে বিপুলভাবে সমর্থন জানিয়েছে। সংসদে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল করতে চেয়েছিলাম আমরা। অথচ রাজ্য পুলিসের নির্দিষ্ট কয়েকজন আধিকারিক দলদাসের মতো আমাদের মিছিল আটকেছেন। সংসদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই মিছিল আটকানোর অধিকার ওই পুলিস আধিকারিকদের আদৌ আছে কীনা, তার শেষ দেখে ছাড়ব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার জোর করে কেড়ে নেওয়া হলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। পুলিস জেনে রাখুক, গণতান্ত্রিক আন্দোলন গায়ের জোরে আটকালে যা যা করণীয় তার সবই আমরা করব।” তবে এই ব্যাপারে কিছুটা হুঁশিয়ারির সুর দিতে দেখা যায় বিজেপি নেতা অজয় গঙ্গোপাধ্যায়কে।

তিনি বলেন, “আমরা শুধু আওয়াজ দিই না। যাঁর যা প্রাপ্য তাঁকে তা নির্দিষ্ট সময়ে পাইয়ে দিই। সারা দেশের দিকে নজর রাখুন। তাহলেই বুঝবেন। পুলিস নিজেদের ভূমিকা পালন করুক। আমরা চুপ থাকব। কিন্তু জোর করে মিছিল আটকালে তার ফল কী হয় তা ২০২১ সালের পর বুঝিয়ে দেব।” কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও আধিকারিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পুলিসের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “পুলিসের উপর রাগ করে কী হবে? আমরা সরকারি কর্মী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই আমাদের কাজ। নির্দিষ্ট বিধি মেনেই বিজেপির মিছিল আটকানো হয়েছে। সকলকেই পুলিসের বাধ্যবাধকতা বুঝতে হবে।” বস্তুত, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অবলুপ্তি করার পরই বৃহস্পতিবার বিজেপির পক্ষ থেকে বাইক মিছিলের আয়োজন করা হয়।

সূত্রের খবর, মালদহের জেলা সদর কার্যালয় শ্যামাপ্রসাদ ভবন থেকে মিছিল বের হয়ে এগোতে না এগোতেই নেতাজি সুভাষ মোড়ে তা আটকে দেয় পুলিস। যার সামনে ছিলেন ইংলিশবাজার থানার ইনস্পেক্টর ইনচার্জ শান্তনু মিত্র। আর সেই পুলিশের পক্ষ থেকে বাঁধা দিলে তাঁর সঙ্গে সরাসরি বচসায় জড়িয়ে পড়েন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল। আর গোবিন্দবাবু ও খগেনবাবুর মনোভাব দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মিছিলে অংশ নেওয়া বিজেপি কর্মীরা। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিস মেজাজ ঠাণ্ডা রাখায় পুলিসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি কঠোর বাক্য ছুঁড়ে দেন খগেন মুর্মু।

তবে উত্তেজনা তৈরি হলেও পুলিশ আধিকারিকরা সংযত থাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিসের দাবি। কিন্তু এই যুক্তি না মেনে বিজেপির দাবি, বিজেপি কর্মীরা আইন মেনে চলেছেন বলেই উত্তেজনা। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অন্তত তিনজন পুলিস আধিকারিকের নামে সরাসরি রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। সব মিলিয়ে 370 ধারা অবলুপ্তির পরই বিজেপির মিছিল হলে পুলিশের পক্ষ থেকে তা বাধা দেওয়ায় সেই পুলিশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দ্বারস্থ বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!