এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম লজ্জা, স্বাস্থ্যের কি দুর্দশা ! মমতার আমলে সাঙ্ঘাতিক ক্ষতি, তুলোধোনা বিজেপির !

চরম লজ্জা, স্বাস্থ্যের কি দুর্দশা ! মমতার আমলে সাঙ্ঘাতিক ক্ষতি, তুলোধোনা বিজেপির !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট-ভদ্রমহিলা রাজ্যের কি সাংঘাতিক ক্ষতি করছেন, ভাবতে পারেন? হ্যাঁ, ভদ্রমহিলা বলে এখনও পর্যন্ত সম্বোধন করতে হচ্ছে, কারণ এটাই বাংলার সংস্কৃতি। কিন্তু যে জায়গায় তিনি রাজ্যকে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আশ্চর্য হওয়ার মত অনেক কিছু রয়েছে। কিন্তু এবার এই রাজ্যে যে ঘটনা ঘটলো, তার সবকিছুকে ম্লান করে দিল। ইতিমধ্যেই মালদহের বামনগোলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক অসুস্থ রোগী মহিলাকে মাচায় করে রোদের মধ্যে দুই ব্যক্তি কাঁধে করে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন। প্রায় 11 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তারা সেই অসুস্থ মহিলাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। আর তারপরেই সেই মহিলাকে মৃত বলে জানিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, এদিন মালদহের এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই লজ্জায় মুখ ঢাকছে গোটা রাজ্য। যে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এত উন্নত বলে দাবি করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে এই দশা হয় কি করে? এত বীভৎস চিত্র কি করে সামনে আসতে পারে এগিয়ে বাংলায়! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কত বড় বড় কথা! তার সরকার নাকি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সেরা, তিনি নাকি রাজ্যকে এক নম্বরে নিয়ে গিয়েছেন! অথচ সেই রাজ্যে মাচায় করে রোগীকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। সামান্য গাড়ি পর্যন্ত পাওয়া যায় না। আজকে গ্রাম বাংলার এই দৃশ্য সামনে আসার পরেই সরকারের উন্নয়ন যে শুধুই ভাওতা এবং বুজরুকিতে ভরা, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। সামান্য লজ্জা থাকলে এই গোটা ঘটনার জন্য বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলেই দাবি করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে রাজ্যকে তুলোধোনা করছে বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, মুখেই শুধু উন্নয়নের বুলি। কিন্তু কাজের বেলায় কিছুই নেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু পুলিশ দিয়ে বিরোধী দলকে ঠান্ডা করতে ব্যস্ত। থানার ভেতরে নিরীহ মানুষদের পিটিয়ে খুন করতে ব্যস্ত তার পুলিশ। কিন্তু যারা অসুস্থ হয়ে পড়ে রয়েছেন, তাদের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার মত সময় নেই স্বাস্থ্য কর্তাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে সাংঘাতিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে ঘুরে দাঁড় করাতে হলে অবিলম্বে তৃণমূল সরকারের উৎখাত প্রয়োজন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যকে খাঁদের কিনারায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এই মুহূর্তেও যদি রাজ্যে পরিবর্তন আসে এবং বিজেপি নিজেদের হাতে ক্ষমতা তুলে নেয়, তবুও যে ক্ষতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দিয়েছেন এই রাজ্যের, তা থেকে রাজ্যকে ঘুরে দাঁড় করানো বড় কঠিন। অনেকটা সময় নিতে হবে পট পরিবর্তন হলে সেই ক্ষমতাসীন দলকে। কিন্তু সেই পট পরিবর্তন, সেই ক্ষমতার বদল আর এক সেকেন্ড সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে প্রয়োজন। রাজ্যের মানুষকে বাঁচাতে হলে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করা ছাড়া আর বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। আজকে সামান্য হাসপাতালে যাওয়ার মত পরিস্থিতি নেই সঙ্কটজনক রোগীদের। কোন অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছে এই রাজ্য? কিন্তু তারপরেও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ভাইপোকে তোষামোদ করতে ব্যস্ত। কি করে ক্ষমতা ভোগ করা যাবে, কি করে টাকা চুরি করে নিজেদের পকেট ভরানো যাবে, সেটাই তৃণমূলের প্রধান টার্গেট। বিরোধীদের বক্তব্য তেমনটাই। তবে এদিন মালদহের বামনগোলার দৃশ্য সবকিছুকে ওলটপালট করে দিয়েছে। লজ্জায় মাথা হেঁট হচ্ছে রাজ্যের গণতন্ত্র প্রেমী সাধারণ মানুষদের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!