এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কোন ফর্মুলায় বাংলায় চলবে লোকাল ট্রেন? আজকেই হতে চলেছে চূড়ান্ত? তীব্র জল্পনা সব মহলেই

কোন ফর্মুলায় বাংলায় চলবে লোকাল ট্রেন? আজকেই হতে চলেছে চূড়ান্ত? তীব্র জল্পনা সব মহলেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা।আনলক পর্বে বিমান, মেট্রো, বাস, পরিষেবা চালু হলেও চাকা ঘোরেনি লোকাল ট্রেনের। শেষ পর্যন্ত নিত্যযাত্রী ও সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই সকালবেলা ও সন্ধ্যাবেলার ব্যস্ত সময়ে অল্পসংখ্যক লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য সরকার। কলকাতা ও শহরতলীর লোকাল ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু করার বিষয়ে আজ সোমবার বিকেল পাঁচটায় নবান্নে রাজ্য প্রশাসন, পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হবার আশায় আশাবাদী অনেকে।

প্রসঙ্গত দীর্ঘ সময় ধরে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। গত শনিবার হাওড়া স্টেশনে কিছু যাত্রী রেল কর্মীদের স্পেশাল ট্রেনে উঠতে গেলে ব্যাপক গোলমাল বাঁধে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালায় রেল পুলিশ। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি লেখেন। এই চিঠিতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালুর বিষয়ে রেলের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। আজ রেলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি (আইনশৃঙ্খলা), কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার, প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশন ম্যানেজার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।

লোকাল ট্রেন পরিষেবা দ্রুত চালু করার দাবি জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী গতকাল রবিবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠিতে তিনি হাওড়া স্টেশনের ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি দ্রুত রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রেল কর্মীদের জন্য স্থির করা ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে যাওয়ায় বারবার সমস্যা বাড়ছে। যা গত একমাস ধরেই চলছে। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হলো, রাজ্যকে ইতিপূর্বে ১ লা সেপ্টেম্বর, ১৩ ই অক্টোবর চিঠি পাঠানো হয়েছিল।গত শনিবার তার প্রথম উত্তর দিয়েছে রাজ্য। পরামর্শের ভিত্তিতে লোকাল ট্রেন চালানো হবে বলে জানালেন পূর্ব রেলের এক আধিকারিক।

আবার, দীর্ঘদিন লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি প্রশ্ন করেছেন, লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য রেলের সঙ্গে এতদিন কেন বৈঠকে বসেনি রাজ্য? তাঁর অভিযোগ, এ বিষয়ে রেলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে কেন্দ্র একাধিকবার রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাঁর বক্তব্য, অন্যান্য রাজ্যে যদি লোকাল ট্রেন চলতে পারে, এ রাজ্যে যদি বাস, ট্রাম, অটো, টোটো চলতে পারে ও তাতে যদি করোনা সংক্রমণ না বাড়ে। তবে ট্রেন চালালে করোনা সংক্রমণ কেন বাড়বে? এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, গত ৭ মাস ধরে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে বেশ কিছু মানুষের উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত এর বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু করোনা সংক্রমনের মধ্যে কিভাবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করা যায়? সেই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট ভাবতে হচ্ছে রাজ্যকে। সংক্রমনের মধ্যেও কিভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা চালু করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে আজকের বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, মেট্রোর মত ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হবে। যে সংস্থাটি মেট্রোয় ই পাস এর দায়িত্বে রয়েছে, তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।

অন্যদিকে, মুম্বাই শহরে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৮৫ লক্ষ যাত্রী লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন। কিন্তু সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এক চতুর্থাংশ যাত্রীকে লোকাল ট্রেন যাতায়াতের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। মোট ২২ লক্ষ যাত্রী যারা এখন লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করছেন, তাদের মধ্যে জরুরী পরিষেবাতে আছেন সাড়ে ১৩ লক্ষ যাত্রী। আবার, কলকাতাতে স্বাভাবিক সময়ে লোকাল ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা ৩৫ লক্ষের মত। আবার মুম্বইয়ে লোকাল ট্রেনে ভিড় নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনার বিষয়ে কলকাতা মেট্রোয় ই পাসের দায়িত্ব প্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে রেলের আলোচনা হলো।

বেশ কিছু বিষয় আজকের বৈঠকে গুরুত্ব পেতে চলেছে। যা হলো মেট্রোর ধাঁচে ভিড় নিয়ন্ত্রণ। সরকারের ইচ্ছা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা। তাই সমস্ত ব্যবস্থাপনা করতে কিছু দিন সময় লাগতে পারে। স্বাভাবিক সময়ে হাওড়া, শিয়ালদাতে রোজ ১৪০০ টি ট্রেন চলে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এক-তৃতীয়াংশ ট্রেন চলবে। অন্যদিকে যাত্রীসংখ্যা যতটা সম্ভব কম রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্টেশনে ভিড়, অশান্তি রোধে মেট্রোর মতো ভার্চুয়াল নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।তাই সম্পূর্ণ ব্যবস্থা তৈরী করতে কয়েক দিন সময় লেগে যেতে পারে।কবে লোকাল ট্রেন রাজ্যে চালু হবে সেদিকেই দৃষ্টি সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!