এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হারের আতঙ্কে ভুগছেন মমতা, রাজ্য বাজেটেই স্পষ্ট! বিস্ফোরক শুভেন্দু!

হারের আতঙ্কে ভুগছেন মমতা, রাজ্য বাজেটেই স্পষ্ট! বিস্ফোরক শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো মতোই বুঝতে পারছেন যে, লোকসভা নির্বাচনে তার পক্ষে এবং তার দলের পক্ষে কোনোমতেই পশ্চিমবঙ্গে সেভাবে জয়লাভ করা সম্ভব হবে না। মুখে তিনি যতই বড় বড় কথা বলুন না কেন, বাংলার মানুষের কাছে এই সরকারের চুরি, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, সন্ত্রাস সবকিছু নিয়ে একটা বিরক্তি ভাব তৈরি হয়েছে। তাই চাকরি না দিয়ে, ছেলে মেয়েদের স্বনির্ভর না করে ঘুরপথে আবার একটা ভোট পাওয়ার রাজনীতি করলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাজ্য বাজেটে পরিকাঠামো গত উন্নয়নের ঘোষণা না করে এমন কিছু ঘোষণা করা হলো, যার ফলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, ভোটের জন্যই তৈরি হয়েছে এই রাজ্য বাজেট। মানুষের মেরুদন্ডকে ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন কেন্দ্রিক কিছু ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে মানুষের ভোট কেনার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

রাজ্য বাজেট শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক কিছু অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনিতেই বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে অনেক জনপ্রিয় এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ফলে বাজেটে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকে খুশি হতে পারেন, তৃণমূল তা নিয়ে প্রচার করতে পারে। কিন্তু যারা রাজ্যের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ, তারা কিন্তু এই বিষয়টাকে মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না। তাই তাদের ভাবনার সঙ্গে কোথাও যেন মিলে যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য। কিন্তু কি এমন বলেছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বাজেট পেশ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি স্পষ্ট ভাষায় দাবি করেন যে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই বাজেট তৈরি হয়েছে। হেরে যাওয়ার আতঙ্কে কিছু চমকপ্রদ ঘোষণা মধ্য দিয়েই এই বাজেট করা হয়েছে। এখন অনেকেই বলতে পারেন যে, বিরোধীরা তো বিরোধীতা করবেনই। কিন্তু লক্ষীর ভান্ডারের 500 টাকা করে তো বাড়িয়ে দিল তৃণমূল সরকার। তাহলে মা-বোনেদের কত সুবিধা হলো! তবে এখানেই একটা বড় ভুল করবেন সেই ভাতা পেয়ে খুশি থাকা মানুষরা। কারণ তারা বুঝতে পারছেন না যে, এই ভাতা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার ভোট কিনতে চাইছেন। কিন্তু তার ঘরের যে ছেলেটি বা মেয়েটি বেকার হয়ে পড়ে রয়েছে, তাদের চাকরি হচ্ছে না এই রাজ্যে। ফলে মানুষকে কয়েকশো টাকা দিয়ে কিছু চমকপ্রদ ঘোষণা করে এই সরকার লোকসভার আগে সমস্ত আসন পেতে চাইছে। কিন্তু বাস্তবে মানুষের পরিকাঠামো উন্নয়নের অভাব এবং রাজ্যের চরম সর্বনাশ হচ্ছে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্যকে সবদিক থেকে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের সরকার। শুধুমাত্র ভোট পাওয়ার লোভ তাদের। ক্ষমতা দখল করার জন্য সমস্ত সীমা লংঘন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই মানুষের আর্থিক উন্নয়নের চেষ্টা না করে রাজ্যের ওপর দেনার বোঝা বাড়িয়ে দিয়ে লক্ষীর ভান্ডারে টাকা বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের রাস্তাকে বন্ধ করে দিচ্ছে এই সরকার। তাই এই সর্বনাশী সরকারের বিদায় অবশ্যম্ভাবী। সাময়িক সুবিধার জন্য অন্ধকার ভবিষ্যৎ রাজ্যের মানুষ চায় না। লোকসভায় তৃণমূলকে জব্দ করে, এই বাজেটের বিরুদ্ধেই নিজেদের জনমত স্থাপিত করবেন সাধারণ মানুষ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভাতা, ভর্তুকি নিয়ে এত প্রশ্ন উঠছে গোটা রাজ্যজুড়ে, তারপরেও এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের লজ্জা নেই। তারা বুঝতে পারছে যে, সাময়িক লক্ষীর ভান্ডারের টাকা বাড়িয়ে দিলে লোকসভা ভোটের আগে সেটা নিয়েই খুশি থাকবেন সাধারণ মানুষ। তাই সুকৌশলে সেই বিষয়টি রাজ্য বাজেটে ঘোষণা করে মহিলাদের ভোট নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের সরকার। কিন্তু সাধারণ মানুষ এত সহজে এই রাজ্যের চুরি, দুর্নীতিকে ভুলে যাবে না। তাদের ঘরের শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা চাকরি পেতে গিয়ে যেভাবে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে তৃণমূল নেতাদের, সেই যন্ত্রণা তাদের মধ্যে রয়েছে। তাই তার প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বেই। ফলে হেরে যাওয়ার আতঙ্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার এই চমকপ্রদ বাজেট ঘোষণা করলেও, তাতে কোনো রাজনৈতিক লাভ হবে না তৃণমূল কংগ্রেসের। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!