এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিভিক পুলিশদের ললিপপ ধরালেন মমতা, গর্জে উঠলেন শুভেন্দু! উত্তাল রাজ্য!

সিভিক পুলিশদের ললিপপ ধরালেন মমতা, গর্জে উঠলেন শুভেন্দু! উত্তাল রাজ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই সব জায়গায় পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের আটকানোর চেষ্টা করেন। এমনকি সিভিক পুলিশদের দিয়েও আদালতের বারণ সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তবে বিজেপিকে শত বাধা দিলেও, রাজ্যের বঞ্চিত সরকারি কর্মচারীদের হয়ে সিভিক পুলিশদের হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আওয়াজ তুলে আসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার একটাই কথা, বিরোধীদের আটকাবেন আটকান। কিন্তু যাদের দিয়ে বিরোধীদের আটকে দিচ্ছেন, সেই সিভিক পুলিশদের বেতন বৃদ্ধির দিকে অন্তত নজর দিন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

তাই আজ রাজ্য বাজেটে সেই সিভিক পুলিশদের বেতন এক হাজার টাকা বৃদ্ধি করার ঘোষণা করার সাথে সাথেই তাদের হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সামান্য এই টাকা বৃদ্ধি করে সিভিক পুলিশদের যে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অপমান করেছেন এবং তাদের অভাব অভিযোগ যে তিনি বিন্দুমাত্র উপলব্ধি করতে চাইছেন না, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কি দরকার ছিল বলুন তো শুভেন্দুবাবুর এই সিভিকদের হয়ে কথা বলার! কারণ এই সিভিক পুলিশরাই তো তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এবং তার দলের নেতা কর্মীদের মিটিং মিছিল করতে বাধা দেয়। তাহলে তাদের হয়ে তো কথা বলার কোনো দরকার ছিল না রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। কিন্তু শুভেন্দুবাবু বঞ্চিতদের বিরোধী নেতা। তাই তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে, এই সরকারের অবহেলার বিরুদ্ধে সেই সিভিকদের হয়ে সোচ্চার হয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, যেখানেই মানুষ বিপদে পড়বেন, যেখানেই মানুষ অবহেলার শিকার হবেন, সেখানেই তিনি অবহেলিতদের পাশে দাঁড়াবেন।

প্রসঙ্গত, এদিন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের 9 হাজার টাকা থেকে 1 হাজার টাকা বেশি বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। রাজ্য বাজেটেই সেই কথা ঘোষণা করা হয়। আর তারপরেই এই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই সামান্য বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সোচ্চার হোন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার বক্তব্য, সামান্য এই বেতনে কিছুই হয় না। অন্তত 20 হাজার টাকা বেতন করা উচিত ছিল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। কিন্তু সেখানে 1 হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা চরম বৈষম্য ছাড়া আর কিছু নয়। বিজেপির দাবি, এই রাজ্যে সমস্ত কর্মচারীরাই অবহেলিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোষাগার শূন্য। তিনি শুধুমাত্র ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছেন। আর সেই কারণেই আজকে পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা ঘোষণা না করে ভোট কেনার চেষ্টা করেছেন। লক্ষীর ভান্ডারের টাকা বৃদ্ধি করে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সামান্য বেতন বৃদ্ধি করে তিনি ভেবেছেন, তিনি মানুষের ভোট আদায় করবেন। কিন্তু এসব করে মানুষ তার চুরি, দুর্নীতিকে বরদাস্ত করবে না। আগামী দিন তৃণমূলকে বিদায় দেওয়ার জন্য গোটা রাজ্যের মানুষ প্রস্তুত হয়ে রয়েছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কতটা মানবিক হলে একজন বিরোধী নেতা এই কাজ করতে পারেন! একটু ভেবে দেখুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বিরোধী নেত্রী থাকতেন এই সময়, তাহলে তিনি কি করতেন! এই সমস্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারদের হয়ে একবারও আওয়াজ তুলতেন না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তেমন পক্ষপাতের রাজনীতি করেন না। তার দলকে বিভিন্ন জায়গায় এই পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা মিলে কতই না বাধাদান করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরেও শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য বাজেটে তাদের 1 হাজার টাকা বৃদ্ধির কারণে এই সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সেই সিভিক ভাইদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!