এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লোকসভা মগের মুলুক নয়, টের পেয়েছেন মমতাও ! তীব্র কটাক্ষ বিজেপির!

লোকসভা মগের মুলুক নয়, টের পেয়েছেন মমতাও ! তীব্র কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হারে হারে বুঝতে পারছেন, বিরোধিতা কি জিনিস। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিরোধী বিধায়করা এই সরকারের ত্রুটি চোখে পড়লেই সেই নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন। আর তাতেই অস্বস্তি তীব্র হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে কিছু বিষয় নিয়ে বিরোধীরা তাদের প্রতিবাদ জানাতেই তেড়েফুঁড়ে ওঠেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে তিনি একটি মন্তব্য করেন। লোকসভার কথা তুলে ধরে তিনি বুঝিয়ে দেন যে, সেখানে কত সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন। কিন্তু রাজ্য বিধানসভায় তেমন কিছু করা হয় না, এইরকম একটা ইঙ্গিত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার থেকেও যে ভয়ংকর কাজকর্ম এই রাজ্যের সরকার করে, সেটা হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুলে গিয়েছেন। তাই তার এই সমস্ত চোখ রাঙানি এবং লোকসভায় কি ঘটেছে, সেই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের শাসানিতে অন্তত বিজেপি ভয় পায় না, সেটা পরিষ্কার। বরঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী এদিনের অধিবেশনে যে বক্তব্য রেখেছেন, তার পর পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তাদের প্রশ্নের কাছে রীতিমতো বেকায়দায় এই রাজ্যের শাসক দল।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বাজেট ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিরোধীদের তরফে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। আর তারপরেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের বেঞ্চ থেকে উঠে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “লোকসভায় 147 জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমরা সেরকম করি না। এটা মনে করিয়ে দিলাম। আপনারা দুর্বল হতে পারেন, আমি দুর্বল নই।” অনেকের প্রশ্ন, এসব কথা বলে কাকে ভয় দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! যদি তিনি দুর্বল নাই হন, তাহলে কেন তিনি এর আগের অধিবেশনে শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করাতে বাধ্য করেছিলেন! কেন তার দলদাস স্পিকার এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে গোটা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেছিলেন! আর লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা এক নয়। আর এই রাজ্য বিধানসভায় লাইভ সম্প্রচার করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু লোকসভার গোটা ঘটনা সম্প্রচারিত হয়। আর সেখানে কি হচ্ছে, সেটা গোটা দেশের মানুষ জানে। তাই বিরোধী সাংসদরা যখন অসভ্যতা করে, তখন তাদের সাসপেন্ড করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আর সেটাকে তুলে ধরে রাজ্য বিধানসভায় তিনি দয়া দেখাচ্ছেন, এমন একটা ভাব মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইলেও, তাতে বরফ গলবে না বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, বিধানসভায় আজকে লাইভ সম্প্রচার হয়েছে, আর তাতেই দেখা গিয়েছে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে বিরোধীদের দমন পীড়ন করেন। তাহলে বাকি দিনগুলোতে এই সরকার এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে বিরোধীদের হুমকি দেয়, তা তো পরিষ্কার। পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। বর্তমানে শাসকের আইন চলছে। কিন্তু লোকসভায় তেমন কিছু হয় না। তাই লোকসভায় নিজেরা বিশৃঙ্খলা করে বিধানসভায় সভ্যতার নজির দেখাতে চাইলেও, তৃণমূলকে কেউ বিশ্বাস করে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও খুব ভালো মতো জানেন যে, বিরোধী সাংসদরা কি পরিমান অসভ্যতা লোকসভায় করেছেন! সেই কারণেই সেখানে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন লোকসভার স্পিকার। কিন্তু বিধানসভায় তিনি তো প্রতিহিংসা পরায়ন শাসকের আচরণ করেন। সেই কারণেই তো প্রতিনিয়ত বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে হামলার শিকার হয় বিরোধী বিধায়করা। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের ধমক চমক দেখে আর যাই হোক, এখন কেউ ভীত, সন্ত্রস্ত নয়। প্রত্যেকেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ এবং মুখোশ দেখে বিরক্ত। তাই বাজেট অধিবেশনে নিজেকে উদার, মহানুভব দেখাতে চাইলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই চালাকি যে ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়, তা স্পষ্ট। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!