নন্দীগ্রামের পথেই সন্দেশখালি, মমতার বিদায়ের দিন শুরু! অতীত স্মরনে শুভেন্দু! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 14, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আজ সেই 14 মার্চ, যেদিন নন্দীগ্রামে বশ্যতা বিরোধী আন্দোলনে প্রচুর মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। প্রত্যেকবার সেই শহীদ বেদীতে সাত সকালে গিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। তবে এবার এই শহীদ বেদীতে সম্মান জানানোর পাশাপাশি তিনি সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যে কথা বললেন, তাতে একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, এই রাজ্যে আবার একটা বড় পরিবর্তন হতে পারে। যে পরিস্থিতি গোটা রাজ্যজুড়ে তৈরি হচ্ছে, যেভাবে সন্দেশখালির মত এলাকায় মা-বোনেরা কারওর ভয় না পেয়ে, কারওর মুখাপেক্ষী না থেকে এই সরকারের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, নন্দীগ্রামেও একসময় বিগত বাম সরকারের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন তৈরি হয়েছিল। আর তারপরেই বিদায় নিয়েছিল 34 বছরের সিপিএম। তাই তৃণমূল সরকারের আমলে যখন সন্দেশখালি পথ দেখাচ্ছে, তখন তৃণমূলের বিদায় নিতে যে খুব একটা বেশি দেরি লাগবে না, সেই কথা বারবার বলে রেখে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আজকেও নন্দীগ্রামের শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর পর সেই একই কথা শোনা গেল তার মুখ থেকে। প্রসঙ্গত, এদিন নন্দীগ্রামে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আজকে সন্দেশখালির মা-বোনেরা যেভাবে আওয়াজ তুলছে, একসময় নন্দীগ্রামেও মাতৃ মন্ডলী এই আওয়াজ তুলেছিলেন। আজকে নন্দীগ্রাম পথ দেখাচ্ছে। অনেকে বলতেই পারেন যে, কিসের পথ দেখানোর কথা বলা হচ্ছে? এক কথায় যদি উত্তর পেতে চান, তাহলে বলতেই হবে, এটা রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের পথ। যে পথ এক সময় বিগত বাম আমলে দেখিয়েছিল নন্দীগ্রাম, সেই পথই তৃণমূল আমলে দেখাতে শুরু করেছে সন্দেশখালি। তাই নন্দীগ্রামের শহীদ বেদীতে সম্মান জানানোর পর সন্দেশখালির আন্দোলনকে স্যালুট জানিয়ে তৃণমূল সরকারকে চাপে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পর্যবেক্ষকদের মতে, বাম আমলের শেষের দিকে সিপিএমের নেতারা যেমন হিংস্র হয়ে উঠেছিল, ঠিক তেমনই আচার-আচরণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল সরকারের মধ্যে। স্থানীয় স্তরের তৃণমূল নেতারা এতটাই অহংকারে ডুবে গিয়েছেন যে, তারা সাধারণ মানুষকে বিন্দুমাত্র সম্মান পর্যন্ত দিচ্ছেন না। সন্দেশখালির মত এলাকায় মা-বোনেদের কিভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তা তারা নিজের মুখেই বলেছেন। আর এই যে মুখ ফুটে কথা বলা, এটাই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। যেটা বিগত বাম আমলে নন্দীগ্রাম করেছিল। আর তারপর গোটা রাজ্য সেই পথে হেঁটেছিল। আর এবার নন্দীগ্রাম থেকেই উৎসাহ নিয়ে তৃণমূল সরকারের নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে, তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি যে পথ দেখাতে শুরু করলো, তা আগামী দিনে গোটা বাংলা অনুসরণ করবে। আর এই বিদ্রোহের আগুন সাধারণ মানুষের মধ্যে জ্বলতে শুরু করলে, তৃণমূলের বিদায় নিতে খুব বেশি দেরি লাগবে না। তাই এখন থেকেই বিদায়ের দিন গোনা শুরু করে দিন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -