এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সিএএ নাকি মানবেন না! সাত সকালে মমতার বারোটা বাজালেন অমিত শাহ!

সিএএ নাকি মানবেন না! সাত সকালে মমতার বারোটা বাজালেন অমিত শাহ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করার পথে হেঁটেছে। সিএএর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যার ফলে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে নাগরিকত্বের দাবিতে আন্দোলন করা সাধারণ মানুষদের মধ্যে। কিন্তু এই নিয়ে অযাচিত বিরোধিতা করতে শুরু করেছে দেশের কিছু বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দাবি, তিনি নাকি কোনোভাবেই বাংলাতে সিএএ হতে দেবেন না। এসব লাগু হলে নাকি অনেকের নাগরিকত্ব চলে যাবে! কিন্তু কিভাবে নাগরিকত্ব যাবে, কেন তিনি লাগু হতে দেবেন না! এইরকম কোনো যুক্তিগত উত্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। আসলে বিরোধিতা করতে হবে। ভোটের মরশুম সামনে। যে করেই হোক, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মানুষকে ভুল বোঝাতে হবে, সেই চেষ্টা করার জন্যই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত গরমাগরম কথা বলছেন, তা স্পষ্ট বিজেপির কাছে।

তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যতই এই সিএএ নিয়ে আপত্তি জানান না কেন, এমনকি তিনি এটাও বলুন না কেন যে, তিনি রাজ্যে এটা লাগু হতে দেবেন না, কিন্তু তার এই সমস্ত কথায় কারওর কিছু এসে যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধি নিষেধ, তার আপত্তি এই সমস্ত কিছুকে একেবারে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সাত সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে কথা বললেন, তারপর বেলুন চুপসে গেল ঘাস ফুল শিবিরের। তাদের নেত্রী যে বড় বড় ডায়লগ দিতেন, এবার তিনি সেটা দেওয়ার মত জায়গায় থাকবেন কিনা, সেটা নিয়েও একটা বড় প্রশ্ন তৈরি হয়ে গেল। কিন্তু কি এমন বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! যার ফলে হাবুডুবু খেতে হচ্ছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে!

প্রসঙ্গত, এদিন সাতসকালে এএনআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সিএএ নিয়ে বিরোধিতা করছেন, সেই নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কোনোভাবেই এই সিএএ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে না। এটা প্রত্যেকটি রাজ্যেই হবে। কেউ এটাকে আটকাতে পারবেন না। নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের। এতে রাজ্যের কোনো ভূমিকা নেই।” অর্থাৎ যে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট নিয়ে বিরোধিতা করছেন এবং রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন, তাদের সেই চেষ্টাতে জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

একাংশের যুক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো করে জানেন, তিনি এই ভুল বোঝানোর কাজটা জারি রেখেছেন বলেই সংখ্যালঘুরা তার পাশে আছে। সংখ্যালঘুদের তিনি প্রত্যেকবার ভয় দেখান যে, কেন্দ্রীয় সরকার, বিজেপির সরকার তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। সিএএ হলে নাকি সেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে! কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর একজনেরও নাগরিকত্ব গিয়েছে, এই প্রমাণ দিতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যারা এর বিরোধিতা করছেন, সেই দলের নেতা নেত্রীরা। তাই ভোট রাজনীতির জন্য মানুষের যে সর্বনাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকে আনছেন এবং যে চালাকি করার চেষ্টা করছেন, সেই দিন কিন্তু ফুরিয়ে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকার তার এই সমস্ত আপত্তিতে যে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেয় না, সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যকে পৃথক একটি দেশ ভাবেন। আসলে তিনি যেভাবে পুলিশকে পরিচালনা করেন, যেভাবে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখান, তিনি ভাবেন, সেই ভাবেই সবকিছু চলবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গটা যে ভারতবর্ষের মধ্যে, এটা হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুলে গিয়েছিলেন। তাই তাকে সেটা স্মরণ করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি নিজেকে অনেক বড় মাপের নেত্রী মনে করতে পারেন। অনেক বড় বড় ডায়লগ দিতে পারেন। মানুষকে ভুল বোঝাতে তিনি সিদ্ধহস্ত, এটা সবাই জানে। কিন্তু কেন্দ্রের তৈরি করা আইন যদি তিনি এই রাজ্যে লাগু না করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে যে সংবিধানকে অমান্য করার অভিযোগ উঠবে, সেটা কি করে ভুলে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

আর এই সিএএ নিয়ে তো সাধারণ মানুষের কোনো আপত্তি নেই। তাহলে তিনি কেন মানুষকে রাগিয়ে দিয়ে একটা বিশৃঙ্খলার পরিবেশ এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে তৈরি করার চেষ্টা করছেন! যারা উদ্বাস্তু হিসেবে এখানে এসেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে চেয়েছেন, যাতে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, সেই প্রত্যাশা কেন্দ্রীয় সরকার পূরণ করছে। আর তখন ভুল বোঝানোর রাজনীতি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তাই তার এইসব আপত্তি, তার এই সব বড় বড় ঢক্কানিনিদ, কোনো কিছুতেই যে কেন্দ্র বিচলিত নয়, দিনের শেষে বাংলাতেও যে সিএএ লাগু হবে, আর সব থেকে বড় কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এতে কিছুই করতে পারবেন না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। অমিত শাহের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!