এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ভোটের মুখে ফের বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল, অভিষেকের কেন্দ্র নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

ভোটের মুখে ফের বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল, অভিষেকের কেন্দ্র নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

আগামী রবিবার সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনে বাংলার নটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই নির্বাচনী প্রচারের মাঝেই গত মঙ্গলবার ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা। শাসক দল তৃণমূল বনাম বিরোধী দল বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হতে থাকে।

আর এরপরই রাজ্যে 324 ধারা প্রয়োগ করে এই প্রথম নজিরবিহীনভাবে প্রচারের সময় 24 ঘন্টা কমিয়ে দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। সপ্তম তথা শেষ দফার প্রচারে যেখানে শুক্রবার পর্যন্ত সময় ছিল, সেখানে তা কমিয়ে বৃহস্পতিবার রাত 10 টা পর্যন্ত করে দেওয়া হয়।

পাশাপাশি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য্য এবং রাজিব কুমারকেও সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে এই ঘটনার পরই কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনের আগে ফের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও মিতুন দে এবং আমহার্ট স্ট্রিট থানার ওসি কৌশিক দাসকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। আর নির্বাচনের আগে কমিশনের এই পদক্ষেপ তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত চাপের হল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি বিজেপির দাবি , ডায়মন্ডহারবারের পুলিশের একাংশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। আমরা সেই বিষয়ে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। বিরোধীদের দাবি এত দিন পুলিশকে কাজে লাগিয়ে যা খুশি তাই করেছে। কিন্তু এবার আর তার আসা শেষ গোহারা হারবে তৃণমূল।

কিন্তু তৃণমূল বিরোধীদের এই দাবিকে নস্যাৎ করে নতুন দাবি তুলেছে। তাদের দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কেন্দ্রে যে কাজ করেছেন তা আর কেউ করতে পারেন নি। জনগণ উন্নয়নের সঙ্গে আছেন।ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। কেউ আটকাতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন যাই করুক।

তবে কমিশনের তরফে অবশ্য জানানো হচ্ছে, গত মঙ্গলবার বিদ্যাসাগর কলেজের ওই ঘটনার জেরেই আমহার্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে শেষ দফার নির্বাচনের আগে একের পর এক অফিসারদের অপসারণ রাজ্যের শাসকদলের কাছে অন্যতম চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।তবে এর কোনো প্রভাব পড়বে কি নির্বাচনে তা জানা যাবে ২৩ সে মের ফলাফলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!