এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিপদের দিনে দলের কর্মীর পাশে না দাঁড়ানোয় বিক্ষোভের মুখে স্বয়ং বিজেপির রাজ্য সভাপতি

বিপদের দিনে দলের কর্মীর পাশে না দাঁড়ানোয় বিক্ষোভের মুখে স্বয়ং বিজেপির রাজ্য সভাপতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা। বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের মারধর, হেনস্থা, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট চলছে, এমন অভিযোগ বারবার উঠেছে বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির আরো অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের এই বিপদের দিনে পাশে এসে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছেনা দলের নেতৃত্বকে। নানান অজুহাত দেখিয়ে অনেক সময়ই দলের নেতারা সরে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে কর্মীদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়তে হলো বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।

গতকাল চুঁচুড়াতে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে এক বৈঠকে যোগদান করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৈঠকের পর একাধিক বিজেপি কর্মী তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। যার ফলে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি জানান, ভদ্রভাবে কথা বলতে। তাদের চিৎকার শুনতে তিনি সেখানে যাননি। চিৎকার না করার পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি জানান, কেউ দলের জন্য মার খেয়েছেন, তো কি হয়েছে? দশবার মার খেয়েছেন তিনি। তিনি জানালেন, বিজেপি করবেন, আর মার খাবেন না? তাহলে দল ছেড়ে দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করুন। কিন্তু পরিবেশকে উত্তপ্ত না করতে। তাঁর এই বক্তব্য নিমেষের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়। জানা গেছে, দলের একাধিক কর্মী তাঁর এই মন্তব্য ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, গতকাল হুগলিতে যারা বিজেপি র রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন, তাঁরা হলেন দলের আদি কর্মী। নির্বাচনে ভুল প্রার্থী দেবার জন্য তাঁদের জেতা আসন হারতে হয়েছে বলে, অভিযোগ করলেন তাঁরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ভুল প্রার্থী নির্বাচনের কারণে এই পরাজয় এসেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়কে জোচ্চোর, চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করলেন তাঁরা। ধনিয়াখালির বিজেপি প্রার্থী তুষার মজুমদার যিনি নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন, তাঁর কোন ডাক্তারের সার্টিফিকেট নেই বলেও অভিযোগ করলেন তাঁরা। তাঁরা জানান, সবটাই সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাঁরা অভিযোগ করেন, যেসব মানুষ দিনের বেলায় বিজেপির সঙ্গে থাকেন ও রাতের বেলায় তৃণমূলের ঘরে গিয়ে টাকা পয়সার ভাগবাটোয়ারা করে থাকেন, তাদেরকেই নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছিল।

বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বালি চোর, সিন্ডিকেটের দালাল এই ধরনের মানুষকে নির্বাচনের প্রার্থী করা হয়েছিল। তাঁরা জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও দীপাঞ্জন গুহের অপসারণের দাবি করছেন। তাঁরা জানান, তারা প্রথম দিন থেকেই দলের কাছে দায়বদ্ধ। তৃণমূলের মত জোচ্চর, চিটিংবাজ তাঁরা চান না। তাঁদের অভিযোগ, দলের কর্মীরা পড়ে পড়ে মার খাচ্ছেন। অনেকে ঘরছাড়া, বাড়ি ফিরতে পারেন নি, অনেকে প্রাণ বাঁচাতে কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের সকলের দায়িত্ব নিতে হবে দলকে।

ইতিপূর্বে অনেকবার তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। তবে এ প্রসঙ্গে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, তৃণমূল থেকে লোক পাঠিয়ে এসব করা হয়েছে। কোন বিজেপি কর্মী এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসার সময়ে দলের নেতারা দলের কর্মীদের পাশে নেই, এমন অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, যারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে দলের জন্য লড়াই করেছেন, আজ বিপদের দিনে দল তাঁদের পাশ থেকে সরে পড়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!