এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অহেতুক বিরোধিতা, সিএএ নিয়ে কিছুই বোঝেন না! মমতাকে হাসির পাত্র করলেন অমিত শাহ!

অহেতুক বিরোধিতা, সিএএ নিয়ে কিছুই বোঝেন না! মমতাকে হাসির পাত্র করলেন অমিত শাহ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সিএএ নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সভা, সমিতি এবং প্রশাসনিক বৈঠকেও তিনি বলছেন, বাংলায় তিনি এটা হতে দেবেন না। কিন্তু যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ শিরদাঁড়া সোজা রেখে জিজ্ঞেস করেন যে, দিদি এই সিএএ মানেটা কি, আপনি একটু বলতে পারবেন? হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এর উত্তর দিতে পারবেন না। কারণ তিনিও এর বিন্দু বিসর্গ কিছুই জানেন না। শুধুমাত্র বিরোধিতা করতে হবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। তাই একটা বিরোধীতা করে ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখার চেষ্টা করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তবে কেন্দ্রের তৈরি করা এই আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে এবার চরম বিপাকে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একটি সাক্ষাৎকারে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একেবারে সকলের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাসির পাত্র হিসেবে পরিণত করলেন তিনি। যার ফলে যদি বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকে, তাহলে আর কেন্দ্রের তৈরি করা এই আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বড় বড় গলায় তিনি এটা বলার সাহস পাবেন না যে, কেন্দ্রের আইন তিনি বাংলায় লাগু হতে দেবেন না! আর যদি এরপরেও তিনি সেটা বলেন, তাহলে ধরে নিতে হবে যে, রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গেলেই এই ধরনের কথা বলা যায়। অন্তত বিজেপির পক্ষ থেকে তেমনটাই বলা হচ্ছে। কিন্তু কি এমন বলেছেন অমিত শাহ?

প্রসঙ্গত, এদিন সংবাদ সংস্থা এনআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিএএ নিয়ে বিরোধিতা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হাতজোড় করে বলছি, অযাচিতভাবে এর বিরোধিতা করবেন না। শুধুমাত্র ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছেন। উনি সিএএ এবং অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে পার্থক্য বোঝেন না। বাংলায় অনুপ্রবেশ হচ্ছে। বিজেপি সরকারে এলে সেটা বন্ধ করবে।”

আর এখানেই অনেকে বলছেন যে খুব ভালো লাগলো তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে এই ধরনের কথা শুনতে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো নিজেও এই সিএএ আইনে কি আছে, সেটা নিয়ে কোনো কিছু বলতে পারবেন না। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ একদম সঠিক জবাবটা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর পার্থক্য বোঝেন না। আসলে একজন অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী হলে যা হয়। শুধুমাত্র ভোটব্যাংক রক্ষা করতে গিয়ে সংখ্যালঘুদের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করার জন্যই এই এত বড় একটি কেন্দ্রের মহতী কর্মযজ্ঞের বিরোধিতা করছেন। তাই এর জবাব যতটা কঠিন হওয়া উচিত, ততটা কঠিন করেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হলো বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একজন সঠিক মানুষের উচিত, কোনো বিষয়ে না জেনে কথা না বলা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব বিষয়ে কথা বলা চাই। কেন্দ্র যে সিদ্ধান্তই নেবে, সেটা ভালো হোক বা অতি ভালো হোক, কিন্তু তার দুর্নাম ওনাকে করতেই হবে। এক্ষেত্রেও তিনি সেই পদ্ধতিই অবলম্বন করেছেন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে তিনি একেবারে ভুলে গেলেন যে, এটা তার ক্ষেত্রে কত বড় রাজনৈতিক বাঁশ হয়ে আসতে চলেছে। তাই যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশেপাশে থাকেন, তারা এবার একটু তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে, আর অযাচিতভাবে এর বিরোধিতা করবেন না। কারণ কেন্দ্র আর যাই হোক, এই আইন যে এনেছে, এটা তারা সব রাজ্যেই লাগু করবে। কোনোভাবেই সেটা আটকাতে পারবেন না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর এখনও পর্যন্ত এই আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর একজনেরও নাগরিকত্ব গিয়েছে, সেটারও প্রমাণ দিতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তার বিরোধিতার যে তত্ত্ব, সেটা ধীরে ধীরে খারিজ হতে শুরু করেছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!