এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > সীতারাম ইয়েচুরি ও রাহুল গান্ধীর বৈঠকের পরেও সমাধানসূত্র অধরা, ভেস্তে যাওয়ার পথে বাম-কংগ্রেস জোট

সীতারাম ইয়েচুরি ও রাহুল গান্ধীর বৈঠকের পরেও সমাধানসূত্র অধরা, ভেস্তে যাওয়ার পথে বাম-কংগ্রেস জোট

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপিকে ঠেকাতে হলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেসের হাতে হাত ধরে লড়া উচিত বলে প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছে রাজ্যের বাম ও কংগ্রেসের নেতারা। আর সেই মতো রাজ্যের বিধান ভবন ও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা নিজেদের মধ্যে এই জোটের ব্যাপারে আলোচনা চালালেও সেখানে বাধ সাধছে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনটি। আর এই দুই লোকসভা আসনই এখন বাম ও কংগ্রেসের জোটের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

সূত্রের খবর, সিপিএমের দখলে থাকা এই রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রটি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কংগ্রেসের তরফে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের জানানো হয়নি। হলে কংগ্রেসের তরফে কোনও বার্তা না পৌঁছানোয় আজ রাজ্য বামপন্থীর বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ চূড়ান্ত করার ব্যাপারে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাম নেতারা।

সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই যাতে বামেরা তাদের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে, সেই ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। তবে তাদের দখলে থাকা দুটি লোকসভা আসন কেন কংগ্রেস দাবি করছে তা নিয়ে কিছুটা হলেও হাত শিবিরের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছে কাস্তে- হাতুড়ি। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই নিজেদের ক্ষোভ চাপা রাখতে না পেরে তার উগড়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, একটি সর্বভারতীয় অনলাইন চ্যানেলে তিনি বলেন, “বিজেপি এবং তৃণমূলের হাতে তামাক খেয়েই এইসব করা হচ্ছে। যে বা যারা এই দুই দলের হাত শক্ত করার চেষ্টা করছেন তারা ভোটের পর আর কংগ্রেসে থাকবেন না। আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে প্রাথমিক শর্তই থাকে যে, জেতা কেন্দ্রে কেউ কারো বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না। কিন্তু এখানে তা ভুলে ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কোনোমতেই সেলিমকে সংসদে যেতে দেওয়া হবে না।”

এদিকে মুখে না বললেও রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের এহেন মন্তব্য যে কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশ্য করেই বলা হয়েছে, তা বুঝতে পেরে ইতিমধ্যেই মহম্মদ সেলিমের এহেন মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর তরজা। এদিকে আগামী বছর রাজ্যের পাঁচটি রাজ্যসভার আসন খালি হওয়ায় তখন রায়গঞ্জের এই দীপা দাশমুন্সিকে রাজ্যসভায় পাঠানোর ব্যাপারে কংগ্রেসের তরফে সিপিএমকে শর্ত বেঁধে দিলে সিপিএমের নেতৃত্বরা ইতিমধ্যেই এই শর্তে রাজি হয়ে গিয়েছে বলে খবর।

রায়গঞ্জ লোকসভা ও মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সিপিএম। পাশাপাশি যাদবপুরে বিকাশ ভট্টাচার্য, দক্ষিণ কলকাতায় নন্দিনী মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুরে সুদর্শন রায়চৌধুরী, দমদমে তন্ময় ভট্টাচার্য, পূর্ব বর্ধমানের দুটি কেন্দ্রের একটিতে আভাস রায়চৌধুরী ও অপরটিতে ঈশ্বর দাস এবং ডায়মন্ডহারবারে ডাক্তার আবু হাসনাতের নাম সিপিএমের প্রার্থী তালিকার অগ্রাধিকারে রয়েছে।

তবে শেষ পর্যন্ত রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে বাম এবং কংগ্রেসের ঠিক কী সিদ্ধান্ত হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!