এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার সেনাপতির একি ঔদ্ধত্য! লোকসভাতেও বুথ দখল তৃণমূলের? তুলোধোনা বিজেপির!

মমতার সেনাপতির একি ঔদ্ধত্য! লোকসভাতেও বুথ দখল তৃণমূলের? তুলোধোনা বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে আঞ্চলিক ভোটগুলো কিভাবে হয়, কিভাবে তৃণমূল এখানে শেষ চেষ্টা করে নিজেদের দখলে আনে সবকিছু, সেটা সকলেই জানেন। তাই রাজ্যের মানুষ অপেক্ষায় রয়েছে, লোকসভা ভোটের। কারণ লোকসভা ভোটে রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তায় থাকবে না। থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে মানুষ অন্তত তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। আর দিনের শেষে মানুষ যদি নিজের ভোট নিজে দিতে পারে, তাহলে আর যাই হোক, তারা তৃণমূলকে সমর্থন করবেন না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। আর পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে যেভাবে হরণ করা হয়, যেভাবে শাসক দল নিজেদের মত করে বুথ ক্যাপচার করে, ভোট করার চেষ্টা করে, সেটা খুব ভালো মতই জানে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আর সেই কারণে ভোটের বহু আগেই তারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছে। আর বর্তমানে এই রাজ্যের শাসক দলের যা পরিস্থিতি, তাতে তৃণমূল এবার যদি এক অঙ্কের আসন সংখ্যাতেও পৌঁছে যায়, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ সবাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে।

তবে এতকিছুর পরেও এই রাজ্যের নির্লজ্জ শাসক দল কি অন্য কিছু করার পরিকল্পনায় রয়েছে? তারা কি এবারেও ভাবছে যে, তারা মানুষের ভোট পাবে না জন্য অন্য পন্থা তাদেরকে প্রয়োগ করতে হবে! কেন এই প্রশ্ন উঠছে? এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকলেও, নিজেকে অনুব্রত মণ্ডল মনে করতে শুরু করেছেন সেখানকার তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। একটি কর্মী সভায় গিয়ে তিনি যে হুইপ দিয়েছেন, তা শুনে অনেকেরই চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে যাচ্ছে। আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে যে, বীরভূমে কি তাহলে এবারেও সন্ত্রাস করে অন্য পদ্ধতিতে ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে এই রাজ্যের শাসক দলের? যদিও বা দিনের শেষে এই সমস্ত চেষ্টায় এক বালতি জল পড়ে যাবে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। কিন্তু কি এমন বলেছেন কাজল শেখ?

প্রসঙ্গত, এদিন লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে একটি কর্মী সভায় উপস্থিত হন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। আর সেখানেই তার একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, গ্রামে ভোটার রয়েছে 16 হাজার। কিন্তু 10 হাজার ভোট তৃণমূলের পক্ষে আনতে হবে। পাশাপাশি কিভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, সেটা তিনি বলে দেবেন বলেও কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। আর এখানেই প্রশ্ন যে, ভোট তো ভোটের মতো হবে। মানুষ তো তাদের ভোট দেবে। তাহলে সেখানে আবার কি পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন কাজলবাবু? তাহলে কি এবারও মানুষকে ভয় দেখানোর প্রক্রিয়া হবে! কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কি বুথ দখল করে নির্বাচনী পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস করার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের? অনেকে বলছেন, এরা এতটাই গভীর জলের মাছ যে, এদেরকে কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। তাই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করার পাশাপাশি বাংলার দিকে কড়া নজর রাখতে হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে।

যদিও বা বিরোধীদের পক্ষ থেকে কাজল শেখের এই সমস্ত বক্তব্যকে একেবারেই আমল দেওয়া হচ্ছে না। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এসব করে কোনো লাভ হবে না। এখন যদি কর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য কাজলবাবু এই কথা বলে থাকেন, তাহলে তিনি বলতেই পারেন। কিন্তু ভোটের বাক্সে মানুষ ভোট দেবে। নিজের ভোট যাতে সাধারন মানুষ দিতে পারেন, তার জন্য সব চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আর কাজল শেখ যদি নিজেকে অনুব্রত মণ্ডল ভেবে নেন, তাহলে অনুব্রতবাবুর যে পরিণতি হয়েছে, ভবিষ্যতে কিন্তু কাজলবাবুর সেই পরিণতি হতে পারে। মানুষের অধিকার হরণ করলে তার ফল খুব একটা ভালো হয় না। তাই কোনোরূপ চালাকি না করে নির্বাচনে লড়াই করে মানুষের মতামত নিয়ে জিতে আসা উচিত সকলের। তা না হলে যদি উল্টো কিছু করতে যায় তৃণমূল, তাহলে শাসক দলের এমনিতেই যে করুন পরিণতি, তাতে তারা আরও জনতার রোষে পড়ে লোকসভা ভোটে জামানত জব্দ হওয়ার মত জায়গায় পৌঁছে যাবে। তাই অহংকার, ঔদ্ধত্যকে বিসর্জন দিয়ে এই সমস্ত ধমক চমক দেওয়া বন্ধ করুন তোলামূলের নেতারা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!