এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মহারাষ্ট্রে সেনার শর্ত ঘিরে বাড়ছে চাপ, বিজেপি-শিবসেনা জোটে কি ধরছে ফাটল, জল্পনা তুঙ্গে

মহারাষ্ট্রে সেনার শর্ত ঘিরে বাড়ছে চাপ, বিজেপি-শিবসেনা জোটে কি ধরছে ফাটল, জল্পনা তুঙ্গে


গত 21 অক্টোবর মহারাষ্ট্রে হয়ে গেল বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি ও শিবসেনা জোট বেঁধে এই নির্বাচনে লড়াই করেন। যদিও এই বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন সংক্রান্ত সমঝোতা নিয়ে এই জোট ভেস্তে যেতে বসেছিল। কিন্তু তারপরে সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ঘটনার হাল ধরেন। তিনি ঘোষণা করেন, জোট হচ্ছেই। আর এই জোটের হাত ধরেই মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গেল। মহারাষ্ট্রে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করেছে। কিন্তু এবার মহারাষ্ট্রের শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী তাই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

শিবসেনার পক্ষ থেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দাবি করা হয়েছে। আর সে কারণেই মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজেপি, সরকার গঠন করতে পারছেন না এখনো। এরই মধ্যে বিজেপি শিবিরের খবর, শিবসেনার হাতে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়ার কোন প্রশ্নই আসে না। যদিও সেনা শিবির তাদের ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলায় এখনো অনড়।

2014 সালেই মন্ত্রিত্ব বন্টনের ক্ষেত্রে বিধায়কদের সংখ্যার অনুপাত নির্ধারণ করেছিল বিজেপি শিবসেনা জোট। ঠিক ছিল, প্রতি 12 জন বিধায়কের জন্য একজন করে পূর্ণমন্ত্রী থাকবেন ও 6 জন বিধায়কের জন্য একজন করে জুনিয়র মন্ত্রী থাকবেন। আর এই ফর্মুলাতেই সরকার তৈরি করে পাঁচ বছর সরকার চালান দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এবারও বিজেপি সেই একই ফর্মুলায় সরকার গঠন করার কথা ভেবেছে।

গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি শিবসেনা আলাদাভাবে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জোট হিসেবে লড়লেও আসন সংখ্যা কিন্তু কমেছে দুই দলেরই। সেই হিসাবে গতবারের 18 জন মন্ত্রীর জায়গায় এবারে বিজেপির মন্ত্রী হওয়ার কথা 17 জন। অন্যদিকে, শিবসেনার মন্ত্রী সংখ্যা ও একজন কমে গিয়ে হয়েছে 5।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বিজেপি অনুপাত এর মাধ্যমে মন্ত্রিত্ব বন্টন করা কথা বললেও শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবীতে অনড়। শিবসেনার দাবি, সমান ক্ষমতার। সে ক্ষেত্রে শিবসেনা কে আড়াই বছরের জন‌্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিতে হবে। বাকি সময় অর্থাৎ বাকি আড়াই বছর বিজেপি নিজেদের মুখ্যমন্ত্রীকে একই আসনে বসাতে পারে। অন্যদিকে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এর কাছের লোকেরা শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।

সূত্রের খবর, গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করে মহারাষ্ট্রে জোটের জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এবং সরকার গঠনের ব্যাপারে দীপাবলীর পরে কথা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে শিবসেনার পক্ষের খবর, তাঁরা আশা করেছিল যে অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে জট কাটাবেন।

অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সে ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং শিবসেনার আদিত্য ঠাকরে দুজনের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ আদিত্যর থেকে অভিজ্ঞতা এবং বয়সে অনেকটাই বেশি। সুতরাং আদিত্যকে শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দিলে তিনি রাজ্যের ব্যাপারে কতটা কি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন সে বিষয়ে মতভেদ আছে। তবে মহারাষ্ট্র নিয়ে বিজেপির হেডকোয়ার্টার আপাতত কোন বিশেষ পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে এখন দেশের রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!