এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সম্পর্ক ছেদ মমতার, তবুও হাওড়া নিয়ে নিজের জেদ বহাল রাখলেন বাবুন!

সম্পর্ক ছেদ মমতার, তবুও হাওড়া নিয়ে নিজের জেদ বহাল রাখলেন বাবুন!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের নাটক বাড়তে শুরু করেছে। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ স্ক্রিপ্টেড গন্ডগোল! নাকি সত্যি সত্যিই একটা গন্ডগোল তৈরি হয়েছে, এটা কেউ জানে না। কারণ মুহুর্তের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হলে আবার মুহূর্তের মধ্যে সেই গন্ডগোল শেষ হয়ে গেল। তবে সেই নিয়ে কিছু খবর তো করতে হবে। তাই যে দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার পর ভাই সুর নরম করে কলকাতায় ফিরে আসার পর আবার যে পরিস্থিতি শুরু হলো, তা নিয়ে কিন্তু নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। ভেবে নেওয়া হয়েছিল যে, দিদি যখন এত কড়া হয়েছেন, তখন হাওড়া নিয়ে হয়ত সুর নরম করবেন তার ভাই বাবুন বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু না, দিদির সঙ্গে দেখা করে অভিমান মিটিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নিজের জেদ বহাল রাখলেন ব্যানার্জি পরিবারের অন্যতম সদস্য। তার ওই আপত্তির জায়গা একটাই। কিন্তু কি সেই আপত্তির জায়গা! দিল্লি থেকে ফিরে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় আবার কি বললেন?

প্রসঙ্গত, বুধবার হঠাৎ করে এই খবরের শিরোনামে চলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দোপাধ্যায়। তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, এমন জল্পনা তৈরি হয়। যদিও বা বিজেপিতে নয়, বরঞ্চ হাওড়ায় যে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে তিনি নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়াবেন বলে জানিয়ে দেন বাবুনবাবু। আর তারপরেই গোটা বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আবার নিজের ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার কথা জানিয়ে দেন। চূড়ান্ত নাটকীয় মুহূর্তে পৌঁছে যায় গোটা পরিস্থিতি।

অনেকেই বলতে শুরু করেন, তৃণমূল এখন বেকায়দায় পড়েছে। তাই এটা তাদের স্ক্রিপ্টেড নাটক ছাড়া কিছু নয়। তবে সমস্যা যে কিছু একটা তৈরি হয়েছে দিদি ভাইয়ের মধ্যে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দিদির সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণার পরেই ভাই কিছুটা সুর নরম করেন। তিনি বলেন যে, নেত্রী যা বলবেন, সেটাই তার সিদ্ধান্ত। তিনি নির্দলের টিকিটেও আর ভোটে দাঁড়াবেন না। এত পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরামাত্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দোপাধ্যায় নিজের জেদ বহাল রাখলেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে, হাওড়ায় অন্য কাউকে প্রার্থী করলেই ভালো হত। অর্থাৎ দিদি ভাইয়ের মধ্যে যে বিষয় নিয়ে গন্ডগোল, তা কিন্তু জিইয়ে থাকলো বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল একটা পরিবার তান্ত্রিক দল, এটা অনেকদিন আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই সেটাকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করুন না কেন, যতই তিনি বলুন না কেন যে, তিনি পরিবার তন্ত্রে বিশ্বাস করেন না, সেই কারণে তার ভাইকে টিকিট দেবেন না, এইসব গল্প মানুষ আর খাচ্ছে না। দিদি-ভাইয়ের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক হয়ত খুব একটা ভালো নয়। সেই কারণেই তিনি তার ভাইকে টিকিট দিচ্ছেন না, এটা স্পষ্ট। তা না হলে ভাইপোর হাতে গোটা দল তুলে দিতে পারতেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দের অভিযোগ তেমনটাই। তবে দলের টিকিট নিয়ে তৈরি হওয়ার সমস্যা যে ব্যানার্জি পরিবারের অন্দরে প্রবেশ করেছে এবং ভবিষ্যতে যে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, কলকাতায় নামার পর বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেদ বহাল রাখার ঘটনাতে সেই আশঙ্কাই মাথাচাড়া দিচ্ছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!