এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হেভিওয়েট বিধায়কের পদত্যাগে শোরগোল তৃণমূল ভবনে! গণ-পদত্যাগ আটকাতে বড়সড় পদক্ষেপ শীর্ষনেতৃত্বের

হেভিওয়েট বিধায়কের পদত্যাগে শোরগোল তৃণমূল ভবনে! গণ-পদত্যাগ আটকাতে বড়সড় পদক্ষেপ শীর্ষনেতৃত্বের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের অন্দরে বিধানসভা ভোটের আগে পরিবর্তনের পালা শুরু হয়েছে। সেখানে তৃণমূল শাসকদলের তরফ থেকে একাধিক প্রশাসনিক পদে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দলের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীরা দল ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলেও জল্পনা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে। এমন পরিস্থিতিতে দলের গোষ্ঠী কোন্দল সামলাতে তৃণমূল যে পদক্ষেপ নেবে, সে কথা বলাই বাহুল্য।

বস্তুত, সমস্যার সূত্রপাত হয় সিঙ্গুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে। জানা গেছে, সম্প্রতি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামী হিসেবে পরিচিত মহাদেব দাসকে সরিয়ে সম্প্রতি বেচারাম মান্নার এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত গোবিন্দ ধাড়াকে সভাপতি পদে বসায়। আর তাতেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ক্ষেপে ওঠেন বলে জানা গেছে।

সেইসঙ্গে তিনি দল ছাড়ার হুমকিও দেন বলে জানা যায়। বস্তুত, সিঙ্গুরের জনপ্রিয় ‘মাস্টারমশাই’ এহেন ক্ষোভ প্রকাশ করলে সেটা মেটাতে মাঠে নামতে হয় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে বুধবার রাতে তিনি বেচারাম মান্নার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আর সেখানে যে মহাদেব দাসকেই আবারও ব্লক সভাপতি পদে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, সেটা বলাই বাহুল্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সেখানে সম্ভবত তিনি আপত্তি করার চেষ্টা করলে তাঁকে দলকে এভাবে ‘ব্যবহার’ না করার জন্য সতর্ক করা হয় বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে তিনি যে সামনের ভোটে হরিপালে টিকিট পাবেন না, সেই বার্তাও সম্ভবত তাঁকে দেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাতেই সম্ভবত আরও রেগে যান তিনি।

ফলস্বরূপ বিধায়ক পদে অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই অনুযায়ী দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে বেচারাম মান্না ইস্তফা জমাও দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভোল পাল্টে ফেলেছেন এই হরিপালের বিধায়ক। জানা গেছে, তাঁর ইস্তফা দেওয়ার পরই তাঁর অনুগামীরাও ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

আজ সিঙ্গুর ও হরিপালে তাঁর অনুগামীরা দল থেকে গণ-পদত্যাগ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। আর এর পরই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল কর্তৃত্ব। জানা গেছে, এরপর তাঁকে তৃণমূল ভবনে দলের রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী ডেকে পাঠান। সেখানে তাঁরই ‘অভিভাবক সুলভ ধমক’— খেয়ে তিনি ইস্তফা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!