এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাসকদল তৃণমূ‌লের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিরাম নেই পান্ডুয়ায়, এবার বঙ্গধ্বনি নিয়েও দুভাগ দল

শাসকদল তৃণমূ‌লের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিরাম নেই পান্ডুয়ায়, এবার বঙ্গধ্বনি নিয়েও দুভাগ দল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের স্থানে স্থানে শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। পান্ডুয়াতে শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার দেখা গেছে। বস্তুত, পান্ডুয়াতে শাসকদল তৃণমূল দুটি সমান্তরাল শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগে পান্ডুয়ায় তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে বহু নেতা উপস্থিত ছিলেন না। সম্প্রতি বঙ্গধ্বনি কর্মসূচি নিয়ে দেখা দিলো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পান্ডুয়াতে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির দুবার উদ্বোধন করল তৃণমূলের দুই বিরোধী গোষ্ঠী। বঙ্গধ্বনির দুবার উদ্বোধন দুবার যাত্রা চললো। এক কর্মসূচির দুবার উদ্বোধনের ফলে শোরগোল পড়ে গেল রাজনীতি মহলে।

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে জনগণের কাছে সরকারের উন্নয়নের প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়ে তৃণমূল সরকারের ১০ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড তুলে দেয়া হচ্ছে জনসাধারণের কাছে, বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির মাধ্যমে। রাজ্যবাসীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেবার কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। রাজ্যের সমস্ত ব্লকে শুরু হয়েছে বঙ্গ ধ্বনি যাত্রা।

গত শুক্রবার বিকেলে পান্ডুয়ার কলবাজারে তৃণমূল কার্যালয়ে থেকে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আনিসুল ইসলাম। বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির উদ্বোধন কালে সেস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য শিল্পা নন্দী, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ, সহ-সভাপতি সঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায়, রহিম নবি প্রমুখরা। এরপর, এই কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে পদযাত্রাও শুরু করা হলো। এরপর, গত শনিবার দুপুর বেলায় নিয়ালা থেকে পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় আবার এই কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন। উদ্বোধনকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী চম্পা হাজরা। এর প্রচারে পদযাত্রা শুরু করলেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এভাবে তৃণমূলে একই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হলো দুবার। আবার দুবার এক গোষ্ঠীর নেতারা অন্য গোষ্ঠীর নেতাদের করা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। একই কর্মসূচির দুবার উদ্বোধন দেখে অনেকেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এর দিকে আঙুল তুলেছেন। অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর দু’পক্ষের নেতাদের লড়াইয়ের কারণে দলের সাধারণ কর্মীদের দিশেহারা অবস্থা হয়ে পড়েছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, দুই গোষ্ঠীর নেতাদের বিরোধের ফলে সুবিধা হচ্ছে বিরোধী দলগুলির। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এ প্রসঙ্গে সহ-সভাপতি সঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বে নির্দেশেই গত শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বঙ্গধ্বনি যাত্রার সূচনা করেছিলেন তাঁরা। তার পরদিন আবার এর উদ্বোধন হয়েছে কিনা? তা তিনি জানেন না। অন্যদিকে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই গত শনিবার বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন তিনি। দলের অপর একটি গোষ্ঠীর এই কর্মসূচির উদ্বোধন সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, কে কোথায় কি করছেন? এ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না।

আবার, এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির অন্যতম সদস্য ও সেইসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র প্রবীর ঘোষাল জানালেন যে, পান্ডুয়া ব্লকে বঙ্গধ্বনি যাত্রা কর্মসূচির দুবার উদ্বোধন হয়েছে কিনা? সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে একই কর্মসূচির দুবার উদ্বোধন অনুচিত বলে তিনি মনে করেন। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানালেন যে, সরকারের উন্নয়নের কাজের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরাই তৃণমূলের কাজ। তৃণমূল কর্মীরা তা হৃদয় দিয়ে করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, পান্ডুয়াতে তৃণমূলের এই তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যথেষ্ট অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে তাদের মতামত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!