রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রাজনৈতিক শহিদ’ করা হবে।- বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি December 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবির থেকে অভিযোগ উঠছে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়া নিয়ে গেরুয়া শিবির বহুবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথাও বলেছে। সম্প্রতি বেশকিছু ঘটনায় তৃণমূল ও গেরুয়া শিবিরের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা কয়েক ধাপ চড়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শিবির শুরু করেছে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিজেপি। আর এই প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত । এদিন তিনি হুগলীর শ্রীরামপুরে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন এবং সেখান থেকেই তিনি জোর গলায় বললেন, পশ্চিমবঙ্গে যদি কখনো রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় তাহলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরোক্ষে ‘রাজনৈতিক শহীদ’ করে দেওয়া হবে। তাই সেই ভুল বিজেপি কখনোই করবেনা। কিন্তু পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূল বারংবার চাইছে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হোক যাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যায় এই রাজ্যে। ডায়মন্ড হারবার, জলপাইগুড়ি, হালিশহর থেকে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র এই মুহূর্তে চলছে বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি এবং সেই কর্মসূচি করতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকরা যে ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের হাতে সে অভিযোগ ব্যাপকভাবে উঠে এল স্বপন দাসগুপ্তের কথায়। তিনি অভিযোগ জানান, তৃণমূল শিবিরের হামলায় বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এভাবে রাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবেনা। তাই স্বপন দাশগুপ্ত কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ কিংবা নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। অন্যদিকে রাজ্যে সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ডায়মন্ড হারবারের পথে আক্রান্ত হন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসার যারা জেপি নাড্ডার কনভয়ের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদেরকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাই নিয়েও যথারীতি চাপানউতোর চলছে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে। বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এ দিন ওই তিন আইপিএস অফিসারের নাম উল্লেখ করে জানান, তাঁরাই নাড্ডার ওপর হামলার জন্য দায়ী। তিনি আরও জানিয়েছেন, তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লার নেতৃত্বে লোকজন জড়ো হবে, সেটা আগের দিন থেকেই জানা ছিল। পাশাপাশি তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, যা সবাই জানতে পারলো তা পুলিশ কি করে জানতে পারলো না তাই নিয়ে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যজুড়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে লাগাতার দ্বন্দ্ব বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় নাড্ডার কনভয়ে হামলা ঘিরে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই নাড্ডার কনভয়ে হামলার পর থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজ্যজুড়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া নিয়ে। কিন্তু বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত যেভাবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে বিবৃতি দিলেন, তা থেকে স্পষ্ট একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনরকম সুযোগ দিতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। আপনার মতামত জানান -